আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টপ নিউজ:- আওয়ামিলীগের উপর শেষ মরন কামড় দিবে হিন্দুরা।এবার আরও হিট হবে বি.এন.পি

গেল কদিন আগের কথা, ভার্সিটির লাইব্রেরিতে পত্রিকা পড়ছি। তখন এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা। কথার মাঝে তিনি শবে বরাত নিয়ে জিজ্ঞাস করলেন। অবাক লাগল আজকাল মুসলিমদেরই ধর্ম নিয়া ওত মাথাব্যাথা নাই আর তিনি কিনা হিন্দু হয়ে এই প্রশ্ন করলেন। যাই হোক নিজের যতটুকু জ্ঞান আছে এই ব্যপারে সেটা তার কাছে প্রকাশ করলাম।

সেই সাথে কথা প্রসঙ্গে আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। ধর্মীয় আরো অনেক কৃষ্টি কালচার, বর্তমান রাজনীতি ইত্যাদি ইত্যাদি। অকস্মাৎ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হিন্দু উপাসানালয় যে সরকার রাষ্ট্রায়াত্ব করতে চাইছে সেটাকে আমি সমর্থন করি কিনা? আমি তো অবাক, আসলে আমার সেই ব্যাপারে কিছুই জানা ছিল না। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রায়াত্ব করলে সুফল কি আর কুফল কি তা আমার জানা নেই। তখন তিনি কিছু কুফলতার ব্যখ্যা দিলেন।

আমি কোন বিতর্কে না গিয়ে তার কথাগুলো মেনে নিলাম। যদিও আমার মন্তব্যের কোন দাম নাই তারপরও আমি জবাব দিলাম,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিভাবে থাকবে সেটা ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বদের সাথে রাষ্ট্রের আলোচনা করেই কোন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। পাশাপাশি এও বললাম যে বর্তমান সরকার তো হিন্দুদের প্রতি সফট করনার রাখে বলেই জানি। তারা এমন কিছু হয়ত করবে না যেটা আপনাদের বিরুদ্ধে যায়। কথা শেষ হওয়ার আগেই মনে হল তিনি রেগে যাচ্ছেন।

তিনি জবাব দিলেন, তুমি যা মনে কর তা আসলে সম্পুর্নই ভুল। নানা বিষয় তিনি তুলে ধরলেন যে কিভাবে সংখ্যলঘুরা সরকারের ক্যাডার বাহিনী দ্বারা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেছে। আমি জানি আওয়ামিলীগ যে কত বড় একটা চেতনাব্যবসায়ী ও ধর্মব্যবসায়ি একটা দল। তারা নিজেরা লুটপাট করে সহজেই অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয় আর নিজেরা ভদ্র সাজে। তবে তিনি যে কতগুলো ঘটনার কথা বললেন যেগুলো এই সরকারের নেতাকর্মি দ্বারা সংগঠিত হয়েছে তার সবগুলা আমার জানা ছিল না।

তার কথার মাঝেই বুঝতে পারলাম তিনি কতটা আওয়ামীবিদ্বেষ বুকে লালন করছেন। আমি জানতে চাইলাম বাংলাদেশের হিন্দু কমিউনিটি তো সবসময় এমনকি এখনো আওয়ামিলীগকে তাদের জন্য আশির্বাদ মনে করে। তখন তিনি বললেন,সেটাই তো আমাদের(হিন্দু) জন্য শাপেবর হয়ে গেছে। সাধারন হিন্দুদের মাঝে এই সিমপ্যাথি পাওয়ার কারনেই তারা আজ যা নয় তা করে চলছে। তারা না বুঝেই সরলতার সহিত আওয়ামিলীগকে সমর্থন দেয়।

কিন্তু যারা সবকিছু আবজার্ভ করে তারা কখনও মন থেকে আওয়ামিলীগকে সমর্থন দেয় না। জামাতের সাথে বিএনপি না থাকলে হয়ত অনেক হিন্দু বিএনপিকে সমর্থন দিত। মোটামোটি এই ছিল তার সাথে কথোপকথনের সারমর্ম। তার কথায় আমি বুঝতে পারলাম আজকালকার মুক্তমনা চুশীলরা যে হারে আওয়ামিলীগকে হিন্দুবান্ধব বলে অপপ্রচার চালায় তা কতটুকু মিথ্যা। ভাল লাগল এই ভেবে আজকাল হিন্দুরাও আওয়ামিলীগের প্রতি নিজেদের মনমানসিকতাকে চেন্জ করছে।

কারন একমাত্র এই দুর্বলতার কারনেই তারা আরো বেশি বেশি হিন্দু নির্যাতনের প্রেরনা পায়, তারা তো জানেই তাদের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য জামাত হেফাজত নাম ব্যবহার যথেষ্ঠ। । তাই চুশীল যারা আওয়ামিলীগকে চুশীলবান্ধব মনে করছেন আর আওয়ামিলীগের শক্তির অপব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা লুটার এক ফ্যসিবাদী খেলায় মত্ত হচ্ছেন মনে রাখবেন বুমেরাং হয়ে যাবে সবকিছু। এখন বন্দুকের নল হয়ত আপনাদের দিকে নাই কিন্তু একদিন আপনাদের দিকেই যাবে বন্দুকের নল আর সেই বন্দুক অন্য কোন বন্দুক না, এই বন্দুক সেই বন্দুক যা দিয়ে চেতনা ব্যবসার হলি খেলায় আপনারা মত্ত হচ্ছেন। এখন আর সেই দিন নাই, চেতনা আর ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের ধংস হবে অচিরেই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।