আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মারে-জোকোভিচের হাতে নতুন যুগের ঝান্ডা

উইম্বলডনের নতুন রাজা অ্যান্ডি মারে। ৭৭ বছর ধরে ব্রিটিশদের হূদয়ে জমে থাকা আক্ষেপের বিষবাষ্প কাল তিন সেটেই হাওয়া। সার্বিয়ান নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে ১৯৩৬ সালের পর প্রথম ব্রিটিশ হিসেবে উইম্বলডন জিতে অ্যান্ডি মারে দাঁড়িয়েছেন শ্রেষ্ঠত্বের স্তম্ভে। সেই সঙ্গে সারা বিশ্বকে শুনিয়েছেন টেনিসের নতুন দিন শুরুর বার্তা। রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ছাপিয়ে মারে সজোরে বাজিয়েছেন নতুন এক যুদ্ধের দামামা।

আগামীর টেনিস কি তাহলে বুঁদ হয়ে গেল জোকোভিচ-মারের নতুন এই যুদ্ধে? সর্বশেষ চারটি গ্র্যান্ড স্লামের তিনটির ফাইনালেই যে মুখোমুখি হলেন এই তারকাদ্বয়!
মারে ও জোকোভিচ—দুই তারকারই বয়স ২৬ ছুঁয়েছে। জন্মও তাঁদের মাত্র পাঁচ দিন আগে-পরে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলুন কিংবা বয়স, সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতার। টেনিসের ইতিহাসে নতুন কিছু সংযোজনের। নাদাল-ফেদেরারের যুগ কি তাহলে গোধূলির আলো দেখতে পাচ্ছে?
সর্বশেষ ৩৪টি গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতার ৩৩টিরই শিরোপা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন ফেদেরার, নাদাল, জোকোভিচ ও মারে।

এই চার টেনিস তারকাই যে শেষ ১০ বছর টেনিস বিশ্বকে শাসন করেছেন স্বমহিমায়—এ বিষয়ে কারও আপত্তির অবকাশ নেই। তবে একটি তথ্যেই টেনিসে নতুন যুগ-সূচনার ব্যাপারটি প্রকাশিত হয়ে পড়ে, সর্বশেষ ১১টি গ্র্যান্ড স্লামের সাতটির শিরোপাই যে মিলেমিশে জিতেছেন জোকোভিচ ও মারে!
কেবল মারে কিংবা জোকোভিচের সাফল্য-তালিকা নয়, সাম্প্রতিক কালে নাদাল ও ফেদেরারের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতাও টেনিসে নতুন যুগের সূচনা-সংগীত বাজিয়ে দেয়। ২০১০ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পর টেনিসের আর কোনো বড় প্রতিযোগিতা জিততে পারেননি ফেদেরার। নাদাল অবশ্য ফেদেরারের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। গত মৌসুমে হাঁটুর চোটের কারণে সাত মাস কোর্টের বাইরে কাটিয়ে ফিরেই সপ্তমবারের মতো জিতে নেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা।

তবে এই তথ্যটাও গুরুত্বপূর্ণ যে নাদাল ২০১০ সালের ইউএস ওপেনের পর ফ্রেঞ্চ ওপেন ছাড়া জিততে পারেননি আর কিছুই। এবারের উইম্বলডনে প্রথম রাউন্ড থেকে নাদালের বিদায় আর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ফেদেরারের ফেরা, এই দুই টেনিস মহারথীর যুগ-সমাপ্তির বিষয়টি যেন সবার চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিতে চাইছে।
মারে-জোকোভিচের নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই টেনিসে যে নতুন দিনের সূচনা করবে, ব্যাপারটি মানছেন অনেক টেনিস-বোদ্ধাই। আশির দশকে সাতটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জেতা ম্যাটস উইল্যান্ডারও এই দলেরই লোক। তিনিও মনে-প্রাণে মেনে নিয়েছেন মারে-জোকোভিচই টেনিসের নতুন দিনের ‘সুপার পাওয়ার’, ‘আমার মনে হয় অ্যান্ডি মারে অনেকগুলো গ্র্যান্ড স্লামের শিরোপা জয় করবে।

এই মুহূর্তে তাকে আটকানোর জন্য জোকোভিচ ব্যতীত অন্য কাউকে আমি দেখছি না। ’
ইতিহাসের পাতার ফয়সালাও তাঁদের হাতেই দেখছেন উইল্যান্ডার, ‘তারাই ঠিক করুক, ইতিহাসের পাতায় কে কার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। জোকোভিচ ও মারের মধ্যকার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সদ্যই শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি ইতিহাসের অন্যতম এক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিণত হবে। ’ সূত্র: ওয়েবসাইট।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।