আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মজার বিজ্ঞান- উৎপত্তি নিয়ে কয়েকটি বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক থিওরী

যে মুখ নিয়ত পালায়......। । আগেকার লোকেরা নাকী বলত পৃথিবী চারটা হাতির পিঠে। হাতিগুলো একটা কচ্ছপের পিঠে। কচ্ছপ টা কার পিঠে সেই চিন্তা কেউ করে নি।

এরকম কিছু একটা কথা দিয়ে শুরু হয়েছে ব্রিফ হিস্টরী অফ টাইমস। মাটির নিচে একটা ষাঁড় আছে। সেই ষাঁড় গা ঝাড়া দিলে ভুমিকম্প হয়। এরকম কথা নিজেও শুনেছি অনেকের কাছে। পৃথিবীর সব জায়গাতেই মানুষ মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে চিন্তা করেছে।

এরিষ্টটল মনে করতেন মানুষ বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছার পর সব ধ্বংশ হয়ে আবার গোঁড়া থেকে শুরু হয়। কম্পিউটার গেমের মত। সব লেভেল শেষ করে আবার নতুন শুরু। মহাবিশ্বের উৎপত্তি-প্রাণ সৃষ্টি এসব নিয়ে আরো মজার কিছু বৈজ্ঞানিক থিওরী- প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরী- একক মহাবিশ্ব এবং একক রিয়েলিটি বলতে কিছু নাই। অসংখ্য ভিন্ন ভিন্ন মহাবিশ্ব থাকতে পারে।

এক মহাবিশ্বে পৃথিবীর একটা চাঁদ, আরেক মহাবিশ্বের পৃথিবীতে দুটা চাঁদ এমনকী আরেক মহাবিশ্বের কোন চাঁদ নাও থাকতে পারে। (চাঁদে কাউকে দেখা যাওয়ার ব্যাপারেও একই কথা। এক মহাবিশ্বের পৃথিবীর চাঁদে এক মুখ। আরেক মহাবিশ্বের পৃথিবীর চাঁদে তিন মুখ দেখা যাওয়া অস্বাভাবিক না। ) প্যান্সপারমিয়া থিওরী- মহাবিশ্বে প্রানের অস্তিত্ব ছিল।

কোন উল্কাপিন্ডের মাধ্যমে তা পৃথিবীতে আসে। দি গারবেজ থিওরী- এলিয়েনরা পৃথিবীতে দূর্ঘটনাবশত কিছু ময়লা(গারবেজ) ফেলে যায়। তার মধ্যে থেকে প্রানের উৎপত্তি হয়। স্টিমুলেশন হাইপোথিসিস- মহাবিশ্ব এক বিরাট কম্পিউটার যা নিয়ন্ত্রন করছে অসাধারন বুদ্ধিমত্তার এলিয়েনরা। ক্লকোয়ার্ক থিওরী- মহাবিশ্ব বিরাট ঘড়ি তা চালু করেছেন ঈশ্বর।

দ্য ডিজাইনার ইউনিভার্স থিওরী- মহাবিশ্ব ডিজাইন করেছে অসম্ভব বুধিমত্তার এবং টেকনোজিক্যালী উন্নত এলিয়েন সম্প্রদায়। জু হাইপোথিসিস- মহান বিজ্ঞানী ফার্মির প্রশ্ন থেকে এর উদ্ভব। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন এলিয়েন থাকলে আমাদের দেখা দিচ্ছে না কেন? জু হাইপোথিসিস মতে তারা চিড়িয়াখানার পরিচালকদের মত চিড়িয়াখানার ভিতরের প্রানীদের পর্যবেক্ষন করছে। একটা ম্যাচুরিটির লেভেলে পৌছে গেলে দেখা দিবে। বিজ্ঞান মজার জিনিস।

এরকম থিওরী আমরাও দেই। তবে ক্ষুদ্র লোক বলে কেউ শোনে না এই আর কি! যেমনঃ কৃষানুর ব্যাকটেরিয়া থিওরী- এই মহাবিশ্ব এক বিরাট প্রানী। পৃথিবী তার অংশ। মানুষের ভিতরে যেমন ব্যাকটেরিয়া থাকে, আমরাও পৃথিবীর ব্যাকটেরিয়া বা অনুজীব। আমার পানি থিওরি- মহাবিশ্ব সৃষ্টির উদ্দেশ্য আসলে অন্য কিছু।

মানুষ হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় উপজাত। মাটিতে পানি গড়ালে বিভিন্ন ধুলিকনা যুক্ত করে। কিন্তু ধুলিকনা যুক্ত করার হয়ত তার উদ্দেশ্য না। এবং সর্বশেষ হল, ইন্টারনেট হাইপোথিসিস- মহাবিশ্ব আসলে বিশাল নেটওয়ার্ক। সেখানে পৃথিবী ফেসবুকের মত।

অন্য গ্রহ এগুলা ধরেন টুইটার, স্টাম্বলআপন, পিন্টারেস্ট এসব। রেফারেন্সঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Panspermia http://en.wikipedia.org/wiki/Multiverse Click This Link Click This Link http://en.wikipedia.org/wiki/Zoo_hypothesis  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪১ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.