আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রলীগ নেতা শফিকের যত কুকর্ম

সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করি। ঢাকা: সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে খাতির জমাতেন তাদের সাথে। আকর্ষণীয় কণ্ঠস্বরের কারণে ধীরে ধীরে আলাপচারিতা থেকে প্রণয়ে রুপ নিত সেই সম্পর্ক। সুঠাম দেহ আর সুন্দর বাচনভঙ্গির কারণে অপরিচিত হওয়া সত্ত্বেও নারীরা সহজেই তার প্রেমে পড়ে যেতো। এরপর সাক্ষাতে তারা নিজেদের সবকিছু উজার করে দিতেন।

কিন্তু এরপরেই বের হয়ে পড়ত তার কুৎসিত চেহারা। শারীরিক সম্পর্কের পরেই দূরে ঠেলে দিত এসব নারীদের। প্রতিবাদ করলেই গোপনে ধারণকৃত শারিরীক সম্পর্কের ছবি প্রকাশের হুমকি দিত। ফলে মানসম্মানের ভয়ে অনেকে সব কিছু নিরবে হজম করতেন। প্রতারণার শিকার এসব নারীদের একজন প্রতিবাদ করলে তাদের গোপন মিলনের ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়।

পরে ভিডিও ক্লিপটি মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে যায়। এসব কুকর্মের হোতা রাজধানীর বকশিবাজারস্থ সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়া শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুর রহমান শফিক। তিনি ছাত্রলীগ মহানগর উত্তরের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিসের সাথে রাজনীতি করছেন। জানা গেছে, রাজধানীর বদরুন্নেসা, ইডেন, লালমাটিয়া কলেজের অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছেন তিনি। কোরআনে হাফেজ ও হজ্ব করে আসার পরেও প্রতিনিয়ত তার এই প্রেমের জাল বিস্তার করে চলছেন রাজধানীজুড়ে।

মহানগর উত্তর ও আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের অনেক নেতা অভিযোগ করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, শফিক এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক মেয়ের সর্বনাশ করেছেন। অনেকেরই গোপনে ভিডিও ধারণ করে রেখেছেন তিনি। তার গোপন সম্পর্কের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশের পরেও তাকে পদ দেয়া হয়েছে যা ছাত্রলীগের জন্য মর্জাদাহানীকর। আর পদ পাওয়ার পরেই শফিক আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। নিজের স্ত্রী থাকার পরেও প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়–য়া সহজ-সরল মেয়েদের বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে তাদের সাথে গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

সম্প্রতি যাত্রবাড়ীর একটি মেয়েকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে শারীরিক মেলামেশা করেন ছাত্রলীগের এই নেতা। পরে মেয়েটি বিয়ের দাবিতে অনেক কান্নাকাটি করেন। সূত্র আরো জানায়, ছাত্রদলের অনেক প্রোগ্রামে কোরআন তেলাওয়াত করা ছাত্রলীগের নেতা শফিকের বিরুদ্ধে এসব কুকর্মের বাইরেও নারী ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, প্রশ্নফাঁস, প্রক্সি পরীক্ষা, সিট ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, বদরুন্নেসা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের খুব ভাল রেজাল্টধারী এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল শফিকের। শফিকের আসল চেহারা প্রকাশ হয়ে পড়লে মেয়েটি তার থেকে দূরে সরে যেতে চান।

কিন্তু বাধ সাধে শফিক। গোপণ ক্যামেরার ভিডিও’র ভয় দেখান মেয়েটিকে। এরপরেও মেয়েটি অন্য জায়গায় বিয়ে করতে মনস্থির করে। আর তখনই ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয় একান্ত মুহুর্তের সেই ভিডিও। এছাড়া গত বছর কুষ্ট্রিয়া একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কের জের ধরে তার সাথে অন্তরঙ্গ হয়ে পরে শফিক।

মেয়েটি তার পরিবারকে সবকিছু জানালেও কেটে পরেন তিনি। গত মাসে রুহুল আমিন নামের এক ব্যবসায়ীকে পল্টন থেকে ধরে এনে আল্লামা কাশগরী হলের ৩৫৪ নং রুমে আটকিয়ে রাখে শফিক। পরে ১ লাখ ৫৬ হাজারর টাকার বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। সর্বশেষ এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে শফিকের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার বাইরে মানুষের কাছে হলের সিট ভাড়া ও আলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে বিবাহিতদের কমিটিতে পোস্ট না দেয়ার বিধান থাকলেও স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও শফিককে আলিয়া মাদ্রাসার সভাপতি করা হয়েছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে শফিকুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইলে (০১৭১৮৬৬২১২৮) গত দুই দিন ধরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ছাত্রলীগ মহানগর উত্তরের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস বলেন, এ ব্যাপারে আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি অনলাইন থেকে সংকলিত।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।