আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমেরিকা নিপাত যাক । মুসলিম দালালেরা তোমাদের কেন লজ্জা হয় না ? এমেরিকা কে ???????

এক দিনের জন্য নায়ক হতে চাই । ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্য কেবল ইসরায়েলকে রক্ষা করা নয়। প্রায় এক দশক ধরে যারা ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক রব তুলেই যাচ্ছে তারা এখন স্বীকার করছে ইসরায়েলকে রক্ষাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য নয়। নব্য রক্ষণশীলরা প্রকৃত সত্যটি প্রকাশ করেছে। তবে তাতে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিবর্তন হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।

তাহলে কি ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ আসন্ন। চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনের প্রভাবশালী এক নব্য রক্ষণশীল আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (এইআই) ফরেন পলিসির প্রধান ডেনিয়েল প্লেটকা উদ্বেগের কারণটি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন_ 'ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে, কিন্তু ব্যবহার করছে না। ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা খারাপ কিছু করছে না; এ ক্ষেত্রে সমস্যাটি হচ্ছে সংশয়বাদীরা বলতে থাকবে_ আমরা বলেছিলাম ইরান একটি দায়িত্বশীল শক্তি।

বলেছিলাম এক্ষুনি ব্যবহারের জন্য ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। এখন দেখলে, ইরানের পরমাণু অস্ত্র কোনো সমস্যাই নয়। ' ইরান দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়, বরং বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ববোধসম্পন্ন এটি প্রমাণ হলেই ক্ষতি। সে ক্ষেত্রে হিটলারের নাৎসী বাহিনীর পর দ্বিতীয় দফা ইহুদি হত্যাযজ্ঞের ধুয়োর বিষয়টির কী হবে? ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আশঙ্কার কী হবে? তিনি ইরানের পরমাণু উচ্চাশাকে সেই ১৯৩৮ সাল ও হিটলারের উত্থানের সমার্থক বলেই মনে করছেন। কি হবে আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির (এআইপিএসি), যারা ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার খৰ তুলছে আর মার্কিন কংগ্রেস নিষ্ঠার সঙ্গে তা পাস করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই প্লেটকার এক সহকর্মী থমাস ডনলি উইকলি স্ট্যান্ডার্ডে লিখেন_ 'আমরা ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়েই পড়ে আছি, অন্যদিকে তেহরান ব্যস্ত আছে কর্মসূচির সত্যিকার মূল্য নিয়ে_ যেটি হলো পারস্য উপসাগর ও বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য। ' পরমাণু অস্ত্র নয়, মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার দান উল্টে যাওয়ার আশঙ্কাই মুখ্য। এইআই ও হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মতো প্রভাবশালী রক্ষণশীল থিংক ট্যাঙ্কের কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের আগেও রক্ষণশীল সংগঠনগুলো ইরাকের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা শুরু করেছিল। এবারও তারা এমনটিই শুরু করেছে।

আগামী সোমবার এইআইয়ে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, যে অনুষ্ঠানের মূল কথাই হচ্ছে, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তার অর্থ দাঁড়ায় একটাই_ হামলা চালাও। এসবের কারণ একটাই_ আঞ্চলিক শক্তির ঘুঁটি ঠিক রাখা; ইসরায়েলই হবে এ অঞ্চলের প্রধান সামরিক শক্তি আর সৌদি আরব তার সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাবে। এর জন্য প্রয়োজন ইরানের বর্তমান শাসকদের উৎখাত করা এবং সাবেক শাহদের মতো বশংবদ শাসক বসানো, যারা কোনোভাবেই ইসরায়েলের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে না। এর জন্য প্রয়োজন বহিঃশক্তির আক্রমণ।

কেননা ইরানের জনগণ পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও বহিঃশক্তির প্রতিরোধে তাদের সরকারের পক্ষেই রয়েছে। সূত্র আল জাজিরা অনলাইনের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।