আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ১০০ তম পোষ্ট। উৎসর্গঃ প্রিয় পটকা

আমি একাই পৃথিবী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম http://www.facebook.com/kalponikvalo বেশ কয়েক বছর আগের কথা। শবে বরাতের রাত। আমরা কয়েকজন পাপীষ্ট বান্দা মহা উৎসবে ধুমধামের সাথে 'পটকা' (সুশীল ভাষায় আতসবাজী) ফুটাচ্ছি। আমাদের যন্ত্রনায় আম্মা মহা বিরক্ত হয়ে অনেকটা কানে ধরেই ছাদ থেকে বাসায় নিয়ে গেল।

কঠিন রক্ত চক্ষু টাইপের দৃষ্টি দিয়ে ওযু করিয়ে নিয়ে আমাকে মসজিদে পাঠালেন। কিছুটা মনক্ষুন্ন হয়েই মসজিদে গেলাম। বিষন্ন মনে নামাজ পড়ছি। কয়েক রাকাত নামাজ শেষ করার পর শুনি হুজুর বয়ান দিচ্ছেন, শবে বরাত হচ্ছে সৌভাগ্যের রজনী। এই রাতে সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে সৌভাগ্য প্রার্থনা করে।

আমি সদ্য কলেজে উঠা একজন ছেলে। বাসায় কম্পিউটার, ইচ্ছেমত গেমস, ম্যাসেঞ্জারে বেশ কয়েকজন সুন্দরী বান্ধবী ইত্যাদি থাকার কারনে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না এর চেয়ে বেশি সৌভাগ্য আমার আর কি দরকার হতে পারে? হঠাৎ মনে পড়ল এলাকার জনৈক বালিকার কথা। যে কিনা আমাদের এলাকায় উদীয়মান তরুনদের মাঝে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিল। আমি যে স্কুল থেকে পাস করেছিলাম, বালিকা সেই স্কুলেই পড়ত বিধায় মাঝে মাঝে তাকে "গাইডেন্স" করার দূর্লভ সুযোগ পারিবারিক ভাবে আমার হয়েছিল এবং আমি সুযোগের কিছুটা সদ্ব্যবহারও করেছিলাম। ফলে অন্যরা হিংসিত হলেও আমি গর্বিত হয়েছিলাম।

কিন্তু সমস্যা হলো, মোটামুটি সুন্দরী টাইপের মেয়েরা অল্প বয়স থেকেই ধরি মাছ না ছুঁই টাইপের কৌশলী স্বভাব রপ্ত করে আর এই মেয়ে তো মোটামুটি আগুন। যাকে প্রতিবারই দেখার পর ইচ্ছে করে, ফায়ার ব্রিগেডের নাম্বার ডায়াল করি। ফলে পুড়ে যাওয়ার ভয়ে আমি হাতও দিতে পারি না, আবার মাঝে মাঝে পুড়ে গেলে সঠিক সময়ে পানিও পাই না। সে এক মহা মুসিবত। এই রকম যখন ভাবছি, তখন মনে হল, আরে! আমার তো বিশাল বড় সৌভাগ্য দরকার আর আমি কিনা ভাবছি কি চাইব?? কি বোকা আমি! জানি সৃষ্টিকর্তা অন্তর্যামী, তাও প্রার্থনার গভীরতা বাড়াতে ঠিক করলাম, সেই সৌভাগ্য বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই প্রার্থনা করব।

অন্তরে তো কত জনের কথাই আছে, সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই এতক্ষনে বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন এত অপশন দেখে। তাই এই সৌভাগ্যের উপর অধিক গুরুত্ব দেয়ার লক্ষ্যেই বালিকার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালাম। দু'হাত তুলে সৃষ্টিকর্তাকে বার বার আকারে ইংগিতে বুঝানোর চেষ্টা করছিলাম, হে প্রভু! আমি বেশি কিছু চাই না। শুধু ঐ দোতলার সৌভাগ্যটি চাই। কথা দিচ্ছি আর পটকা ফুটাব না।

হঠাৎ দেখি বারান্দা উজ্জল হয়ে উঠল আর সেই সৌভাগ্যরুপী বালিকার বারান্দায় প্রবেশ। আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম, আলোর উৎস কোনটি বাতি নাকি সেই বালিকা? সৌভাগ্যের লক্ষন স্বরুপ দেখলাম তার চোখে লাজুক দৃষ্টি আর ঠোঁটে প্রশ্রয়ের হাসি। আমি তো লাফ দিয়ে উঠলাম। হে ঈশ্বর! তুমি তো দেখি আমাকে সৌভাগ্য দিয়েই দিয়েছ। আসার পথে আমার গোপন গোডাউন হতে কিছু দুস্প্রাপ্য ঝিলিক বাতি আর পটকা নিয়ে এসেছিলাম।

বালিকার সম্মানে তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে একটি ঝিলিক বাতি আর একটা ছোট পটকা ফুটালাম। খুশিতে বালিকার মুখে হাসি, আর হাতেতালির এক নিদারুন সংমিশ্রন। হঠাৎ ঠিক পিছনেই শুনলাম, ঘেউ ঘেউ! চমকে উঠে পিছে তাকিয়ে দেখি কোথাকার এক নেড়ি কুকুর ঠিক আমার পিছনে দাঁড়িয়ে ঘেউ ঘেউ করছে। কত কিছু করলাম, ভয় দেখালাম, শালা কিছুই বুঝল না, বরং তার ঘেউ ঘেউ আরো বেড়ে গেল। দেখলাম, বালিকার হাসি কিছুতেই থামছে না।

আমি হাসি দেখব না এই ঘেউ ঘেউ থামাব! আমি তখন এক অদ্ভুত এক বিভাজনের কেদ্রস্থল। এমন বিকট ঘেউ ঘেউ টাইপের শব্দ দূষনের কারনে কিছুক্ষনের মধ্যেই বালিকার বাবা বারান্দায় এসে উপস্থিত। ফলাফল, সৌভাগ্যের সেখানেই ইতি। সৌভাগ্যের রাতে এমন দূর্ভাগ্যের কারনে প্রবল ক্রোধে ফুঁসতে ফুঁসতে তৎক্ষণাৎ নগদ ২০ টাকা এবং ২টা মূল্যবান পটকার বিনিময়ে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীকে দিয়ে সেই শব্দ দুষনকারীকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করলাম। নিজেকে তখন আমার পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট মনে হচ্ছিল।

এই ধরনের অপরাধে দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তি দেয়া আমার নৈতিক দায়িত্ব। আমি রায় দিলাম, শব্দ দুষনের দায়ে ঐ কুকুরটির লেজে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে দুই রাউন্ড বিশেষ প্রকার পটকা বেঁধে দেয়া হোক। এই পটকার বৈশিষ্ট হচ্ছে একটায় আগুন দিলেই হয় বাকি গুলো এমনি এমনি ফুটে। জনৈক উৎসাহী স্বেচ্ছাসেবী এই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে জল্লাদ হওয়ার ইচ্ছা পোষন করল। আমি সাথে সাথে অনুমোদন করলাম।

প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আগুন দিয়ে আসামী কুকুরটিকে ছেড়ে দিলাম। ছাড়া পেয়ে কুকুরটি ঠিক আমার সামনে এসে গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়াল। একটা গা ঝাড়া দিয়ে বলে উঠল, ঘেউ! যেন আমাকে বিদ্রুপ করছে। আর সাথে সাথে শুরু হল পটকা ফুটা। বেচারা বড়ই আতংকিত হয়ে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করল।

পটকা ফুটে আর সে লাফ দেয়। শেষ মেষ ফুটন্ত পটকা নিয়েই সে কেঁউ কেঁউ করতে করতে পালিয়ে গেল। তার এই ধরনের দুরবস্থায়, আলোচনা সাপেক্ষে আমি নিশ্চিত হয়েছিলাম যে অপরাধী সঠিক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেয়েছে। মানুষের মধ্যে যারা এই রকম শব্দ দূষনকারী আছে, তাদেরও একই শাস্তি দেয়া দরকার। পরবর্তীতে এই কুকুরটির সাথে আমার দেখা হওয়া মাত্রই কুকুরটি থেমে যেত।

আমাকে সর্তকভাবে পর্যবেক্ষন করত। আমি তার কাছাকাছি আসলেই সে এক দৌড়ে এলাকা ছাড়া হয়ে যেত। যদিও দুইদিন পরেই এই কঠিন শাস্তির জন্য আমার অনেক অনুশোচনা হচ্ছিল। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না, ব্যাটা আমাকে দেখে এমন ডাকাডাকি শুরু করেছিল কেন? আমি না হয় বালিকার রুপে মুগ্ধ, কিন্তু তার কি সমস্যা? সমাধান দিল ছোট বোন। সে বলল, তোমার ঐ মেয়ের রুপে শুধু তুমি না, রাস্তার কুকুরও পাগল হইছে।

এই কথা বলেই সাথে সাথে দ্রুত নিরাপদ অবস্থানে চলে গেল। আমি হতাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম, নাহ! এখনকার মেয়ে গুলো ভয়ানক টাইপের ফাজিল। এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। একদিন বাসায় ফিরছি, হঠাৎ দেখি কুকুরটা আমার বাসার একটু সামনেই অন্য একটা বাড়ির সামনে হাটু গেঁড়ে বসে আছে। আমাকে আসতে দেখেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দৌড় দিল।

আমিও কেন যেন দৌড় দিলাম। গিয়ে ধরে ফেললাম কুকুরটাকে। আমাকে ধরতে দেখেই আবারও ঘেউ ঘেউ করা শুরু করল। যেন বলতে চাইছে, এবার আবার আমি কি করলাম? আমিও উল্টা ধমক দিয়ে বললাম, থাম বেটা। আমাকে দেখতে দে।

মনে হয় কুকুরটি আমার কথা বুঝতে পারল। একবার আমার দিকে চেয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ল। শুয়ে পড়ে জিভ বের করে হাঁপাতে লাগল। আমি এবার কুকুরটার শরীরে ভালো করে তাকালাম। দেখলাম, তার সারা গায়ে বেশ কয়েকটা ক্ষত।

বাম পাটা অনেকখানি কেটে গিয়েছে। সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। বুঝতে পারলাম, অন্য কোন কুকুরের সাথে মারামারি করেছে। বেচারা খুব বাজে ভাবে আহত হয়েছে। আমার খুব মায়া লাগল।

আমি আমার বাসায় নিয়ে আসলাম। তারপর সোজা ছাদে। সেখানে প্রথমেই গোসল করালাম। তারপর স্যাভলন ক্রিম মেখে দিলাম, ব্যান্ডেজ করে দিলাম। বেচারা আমার দিকে কেমন যেন অবিশ্বাস্যের দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে আছে।

আমি জানি না কুকুরদের স্মৃতিশক্তি কেমন। আমার কেন যেন মনে হয়েছিল, সে আমার আচরন ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। আমার যত্ন আত্তিতে বেশ কিছুদিনের মধ্যেই ও অনেক সুস্থ হয়ে উঠে। নানা রকম খাওয়া দাওয়াতে স্বাস্থ্যও আগের চাইতে ভালো হয়ে গিয়েছিল। আমি ছাদে গেলেই আমার কাছে ছুটে এসে লেজ নাড়াত।

আমি আদর করে নাম দিয়েছিলাম পটকা। পটকা বলে ডাকলেই সে ঘাউ করে বিকট স্বরে জবাব দিত। আমার বড় ভালো লাগত। তারপর একদিন পটকাকে বাসার নিচে নামিয়ে আনলাম। বাইরে এনে ছেড়ে দিলাম।

কিছুক্ষন এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে আবার রাতে আমার বাসায় ফিরে এল। বাইরে দাঁড়িয়ে ঘেউ ঘেউ করছে। আমি উপর থেকে শুনে নিচে নেমে এলাম। আমাকে দেখে গেটের ফাঁক দিয়ে মাথা নাড়তে লাগল। যেন বলতে চাইছে আমি তো এই বাড়ির লোক, জলদি গেট খুলো।

আমি নিচের গ্যারেজে পটকার থাকা ব্যবস্থা করলাম। অতিঅল্প দিনেই আমার খুব প্রিয় হয়ে গেল। ভার্সিটি আর রাতে ঘুমাবার সময় ছাড়া সারাক্ষনই ও আমার সাথে থাকত। অত্যন্ত বুদ্ধিমান কুকুর ছিল। কিভাবে যেন বুঝতে পারত আমি কি চাইছি।

বিকেলে বেলা ভার্সিটি থেকে বাসায় এসে পটকাকে নিয়ে লেকে বেড়াতে যেতাম। হয়ত আমি লেকে বসে চা-ওয়ালাকে খুঁজছি, দেখছি না। ও ঠিকই চা-ওয়ালাকে দেখে ঘেউ ঘেউ করে আমার দৃষ্টি আকর্ষন করত। আমি খুব গর্বিত ছিলাম। একটা সাধারন নেড়ী কুকুরের এই ধরনের স্কীল আমি আশা করিনি।

এইভাবেই কাটছিল। কয়েকবছর পর আমি সদ্য পড়াশুনা শেষ করে চাকরীতে ঢুকেছি। অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম। সাতদিন পর ঢাকায় ফিরি। বাসায় ঢুকে গাড়ি থেকে নেমেই প্রথমে পটকা বলে ডাক দিলাম।

আমি ভেবেছিলাম বরাবরের মতই প্রবল গতিতে ও আমার কাছে ছুটে আসবে। কিন্তু কেউই এলো না। কিছুটা অবাক হয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করলাম, পটকা কই? তারা কিছুই বলল না। জিজ্ঞেস করলাম, কি বাইরে গেসে? তারও তারা না শুনার ভান করল। আমি জার্নি করে এসে টায়ার্ড ছিলাম।

তাই তাদের সাথে আর কথা না বলে বাসায় চলে গেলাম। বাসায় এসে পটকার কথা জিজ্ঞেস করলাম। আম্মা শান্ত ভাবে বললেন, ফ্রেস হও, তারপর বলছি। আমি খুব অধৈর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কি হইছে আগে আমাকে বল। কেউই তো কিছু বলছে না।

তারপর যা শুনলাম, তার জন্য মোটেই আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমি যাওয়ার দুইদিন পর পটকা নাকি আব্বুর পেছন পেছন মেইন রোডে গিয়েছিল। হঠাৎ অন্য একটা কুকুরের সাথে মারামারি শুরু করছিল। এক পর্যায়ে নাকি দৌড় দিতে গিয়ে একটা লেগুনা গাড়ীর নিচে পড়ে কোমর ভেঙে যায়। হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা চলছিল।

কিন্তু তার আগেই ও মারা যায়। আমি হতভম্ভ হয়ে গেলাম। তার লেজের পিছনে পটকা বাঁধা থেকে শুরু করে আমার সাথে তার বন্ধুত্ব সবই মনে পড়ে গেল। আমি ঝরঝর করে কেঁদে ফেললাম। আমার কাদা থেকে, আম্মারও কেঁদে ফেলেলেন।

যে শোক তারা লুকিয়ে রেখেছিলেন, আমার কান্না দেখে সেই শোক সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ল। আমি কিছুতেই এটা মানতে পারছিলাম না। আমার প্রায় খাওয়া দাওয়াই বন্ধ হয়ে গেল। আমি এই শোক দীর্ঘদিন ভুলতে পারি নাই। অনেক কষ্ট হয়েছে।

সত্যি বলতে অনেক সময় লুকিয়েও কেঁদেছি। তারপর একসময় তা ভুলেও গিয়েছি। এরপর থেকে কেন যেন কুকুরের ডাকাডাকি শুনলে আমার ভালো লাগে না, বিরক্ত লাগে। গতকাল রাতে এত বছর পর, বাসার নিচে কোথা থেকে যেন কয়েকটা কুকুর এসে চিৎকার করছিল। আমি ঘুমিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু তাদের ডাকাডাকিতে মহা বিরক্ত হচ্ছিলাম। ইচ্ছে করছিল, শালাদের সব গুলোর লেজে আবার সেই পটকা লাগিয়ে দেই। সাথে সাথে আবারও মনে পড়ল আমার প্রিয় পটকাকে। আমার প্রিয় কুকুরটা কি কষ্ট পেয়েই না মরেছে। মাথার মধ্যে আগুন জ্বলে উঠল।

খুব ইচ্ছে করছিল কিছু একটা করতে। কিন্তু কেন যেন আমি নিচে নেমে গেলাম না। আমি কানে বালিশ চাপা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। আমি জানি, পটকা যেখানেই আছে হয়ত ভালোই আছে। কোন একদিন হয়ত দেখা হবে।

পটকার ফাটার মত বিকট আওয়াজ করে আমাকে বলবে ঘেউ!! আমি হয়ত বলব, কি রে বেটা!!!! এত ঘেউ ঘেউ কিসের!! ----------------------------------------------------------------------------- একশতম পোষ্ট নিয়ে খুব বেশি আদিখ্যেতা দেখানোর হয়ত কিছু নেই। একজন ভালো লেখক কয়েকশ পোষ্ট দিতে পারেন। কিন্তু আমার মত একজন অস্থির চিত্তের মানুষ ইত্যাদি ছাইপাশ লিখে পোষ্ট দিয়েছে আর মানুষ সেটা পড়েছে, এটা ভাবতেই কেমন যেন লাগছে। আপনাদের কাছ থেকে আন্তরিক উৎসাহ না পেলে এটা কোনভাবেই সম্ভব হতো না। ব্যক্তিগত ভাবে ভেবেছিলাম একটা ফিচার পোষ্ট দিব পৃথিবীর কিছু আনসলভড মিস্ট্রি নিয়ে।

এই নিয়ে তথ্যও সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু গতকাল রাতে পটকার কথা মনে হওয়াতে পটকাকে নিয়েই লিখলাম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।