আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে গেলেন দেবানন্দ

হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ার বন্ধ হয়ে লন্ডনের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন ভারতের চিরসবুজ খ্যাত নায়ক দেব আনন্দ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়ে ছিলো ৮৮ বছর। তাঁর মৃত্যুতে বলিউড থেকে শুরু করে ভারতের সকল বয়সী সকল শ্রেণী পেশার মানুষ শোক প্রকাশ করছে। ৪ ডিসেম্বর রোববার সকালে তার পরিবার মৃত্যুর খবরটি সংবাদ মাধ্যমে জানায়। গত কয়েকদিন থেকে অভিনেতা দেবা আনন্দ বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হোন।

পারিবারিক সূত্রে বলা হয়, দেব আনন্দের পুত্র সুনীল অন্তিম সময়ে পিতার সাথে ছিলেন। ১৯২৩ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর দেবাআনন্দ অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলের গুরু দাস পুর জেলায় শেকরগর তেশিলে গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব অংশ। ইংরেজ সাহিত্যে স্নাতক দেব আনন্দের লেখা পড়া শুরু পাকিস্তানে। দেব আনন্দরা তিন ভাই ও এক বোন।

ভাইদের মধ্যে তার অবস্থান ছিলো দ্বিতীয়। তার এক মাত্র বোন শীল কানটা কাপুর। এই শীল কান্তা কাপুর হচ্ছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখর কাপুরের মা। চলচ্চিত্রে দেবানন্দের আগমণ ঘটে ১৯৪৬ সালে ‘হাম এক হে’ ছবির মধ্যে দিয়ে। পরের বছর তার অভিনীত ছবি ‘জিদ্দি’ তাঁকে সুপারস্টার নায়কে পরিণত করে।

তার পর একে একে দিয়ে গেছেন বহু হিন্দি হিট ছবি। পেয়িং গেস্ট, বাজি, জুয়েল থিফ, সিআইডি, জনি মেরা নাম. আমির গরীব, ওয়ারেন্ট, হরে রামা হরে কৃষ্ণা এন্ড দেশ পরদেশ দেবানন্দের উল্লেখযোগ্য বক্স অফিস হিট ছবি। এখনো বহু সিনেমা পাগল মানুষ তার অভিনীত ছবি গুলো দেখে থাকেন। অভিনয়ে তার নিজস্ব একটি ঢং ছিলো। যা দেব আনন্দকে অন্য আট দশজন অভিনেতা থেকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়।

চলচ্চিত্র জগতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ভারত সরকার ২০০১ সালে দেবা আনন্দকে পদ্ম ভূষণ খেতাবে ভূষিত করে। ২০০২ সালে তিনি দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পান। তিনি দুবার ফিল্ম ফেয়ার এওয়ার্ড পান। এওয়ার্ড প্রাপ্ত ছবি দুটি হচ্ছে কালাপানি(১৯৫৮), ও গাইড(১৯৬৬)। ১৯৪৯ সালে তিনি নিজে নিকেতন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম নামের একটি চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন।

৩৫ এর মত ছবি সেখানে নির্মিত হয়। সূত্র. টাইমস অব ইণ্ডিয়া, দ্যা হিন্দু, পিটিআই সূত্র খবরের লিংক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।