আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেতা কুপরার্শ দেন তার ক্যাডারদের। এ সব শুনতে শুনতে রাত পার হয়ে যায়।

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি-১০, হলে ওঠা ও নেমে পড়া হাজিরা ডাকার রেওয়াজ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল, এখনো আছে। কিন্তু হল গেটে হাজিরা ডাকার সিস্টেম আমার জানা ছিলনা। আমার বন্ধু ছাত্রলীগ নেতা মোশররফ অবশ্য প্রথম দফায় বাঁচিয়ে দিল।

বলল, মধুতে আসিস। তাহলে হবে। মধু মানে মধুর ক্যান্টিন। অনার্স প্রথম বর্সে যারা হলে ওঠে তাদের বাধ্যতামূলক হাজিরা দিতে হয়। আমিও গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসি।

যেদিন হলে ওঠার জন্য আসলাম সেদিন আমাদের ক্লাশ মেট মান্না বললো, মামা মাল চালাইতে পারবি। তাইলে হলে ওঠা নিশ্চিত। বললাম, মাল? ও নিচু গলায় বলল, মেশিন। এখন মেশিনের যুগ। রাজনীতি হলো মেশিনে চলে।

মানে অস্ত্রপাতি। আমার হলে ওঠা ফরম বা ওয়াজিব ছিল না। শখে হলে ওঠা। বাড়ি থেকে বলা হযেছে হলে ওঠার দরকার নেই। খালি হাঙ্গামা।

এ সবে যাওয়ার কোনো মানে নেই। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে মোশা, মান্না ও দোজা পলিটিকস করে। ছাত্রলীগের পলিটিকস। তাই ওদের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত হলে উঠলাম। আমাকে দেখতে একটু গুণ্ডা গুণ্ডা বলে মনে হয় বলে, হয়ত সহজেই নেতাদের নজরে পড়লাম।

হলে খাবার আসতে থাকলো। এক বড় ভাই ডেকে বললো, তোমার ক্যান্টিনে যেতে হবে না। তুমি আমার সাথে মধুতে যাবা। সাথে থাকবা। মানে বডি গার্ড।

আমি তো ভাবলাম এবার আমার দফারফা হবে। নেতার বডিগার্ড। আমার থাকার ব্যবস্থা হলো যমুনা ব্লকে নেতার রুমেই। রাতভর নেতা কুপরার্শ দেন তার ক্যাডারদের। এ সব শুনতে শুনতে রাত পার হয়ে যায়।

ঘুমাই সকালে। এভাবে চলছিল। কিন্তু আমার আর সইছিলো না। কিন্তু হলে উঠে নেতার খেদমত না করে পালিয়ে আসা ভারি মুশকিল। একদিন মোশাকে বললাম, শালা আমি প্রথম আলোর কন্ট্রিবিউটর।

আর আমারে দিয়া পলিটক্স! এ সব হবে না। আমি পালাবো। ও বললো পালিয়ে থাকতে পারবি না। জালে পড়ে গেছিস। কিন্তু আমি সেটি মানতে চাইলাম না।

যথা নিয়মে একদিন ভোরে পালিয়ে গেলাম। আমার ট্রাঙ্ক, লেপ, তোষক, বিছানার চাদর সবই হলে রেখে এলাম হলে, নেতার রুমে। । এ সব আর কোনোদিন ফেরৎ পাইনি। পাবার চিন্তাও করিনি।

বঙ্গবন্ধু হলে এটাই আমার প্রথম ওঠা ও নেমে পড়ার গল্প! পরের কিস্তি....বিনোদন সাংবাদিকতা নিয়ে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.