আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরাপত্তার জন্য চাই সড়ক সংস্কৃতির সামগ্রিক রুপান্তর

কলেরা পোলিওর মতেই সড়ক দূর্ঘটনায় আজকাল মানুষ মারা যাচ্ছে। দেশ বরেন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রকার, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ এমনকি সদ্য স্কুল পড়ুয়াও মুক্তি পায় না এই মরনফাঁদ থেকে। বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক রশিদ, চিত্রনির্মাতা তারেক মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনিরের মত আমাদের মেধাবী সন্তানদের আমরা-রাস্তায় নিভে যেতে দেখছি। প্রতিবছর এদেশে মৃতদের একটি বড় অংশ রাস্তায় মারা যায়। আর যারা এসব দূর্ঘটনায় মারা না গিয়ে কোন অঙ্গ হারিয়ে বেঁচে থাকে, সে ও তার পরিবার জানে এর যন্ত্রণা।

যে মানুষটি সকালে পেটের দায়ে রাস্তায় বের হল, সে জানে না সে বাড়ি ফিরবে নাকি হাসপাতাল বা কবরে যাবে। বিশেষজ্ঞরা সড়ক দূর্ঘটনার জন্য ভাঙ্গাচোরা ও ত্রুটিপূর্ন সড়ক, ভূয়া লাইসেন্সধারী চালক, অস্বাভাবিক বাঁকে, অদক্ষ চালক, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন না মানা, রাস্তা বেদখল, জনসচেনতার অভাব ও দূর্ঘটনা প্রদান পয়েন্টসহ ইত্যাদি কারন উল্লেখ করে থাকেন। কোন উল্লেখযোগ্য সড়ক দূর্ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষ নানা কথা বলে। নেতারা হুঙ্কার দেয়। চারদিকে 'ভালো কথার' ঝড় শুরু হয়।

কিন্তু ভালো কথা শেষ হলে ভালো কাজ হয় কিনা, হলে কতটা, তা আমরা জানি না । সরকারী হিসেবে ১৯৯৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দূর্ঘটনায় মারা গেছে ৩৮ হাজার লোক, ৫০ হাজারের মত দূর্ঘটনা ঘটেছে। আর আহত হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি লোক। বুয়েটের এআরআই মনে করে, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে তিনগুণ বেশি। জাতিসংঘের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে ২০০৭ সালে এদেশে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে ২০ হাজার ৩৪ জন।

এ রিপোর্টে আরও উল্লেখ আছে যে বাংলাদেশে প্রতি এলাকায় মানুষের মধ্যে ১২ দশমিক ৬ জন সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। এসব অপমৃত্যুকে হত্যাকান্ড আর সড়ক দূর্ঘটনাকে মহামারি বললেও এ নিয়ে কোন পরিকল্পনা ও কর্মসূচী নেই। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের ফতোয়া মেনে প্রতিবছর সড়ক নিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা হয়, নতুন নতুন রং বেরঙ্গের গাড়ি আসে। আমাদের নদীতে অপরিকল্পিত ব্রীজ হয়, চোরাকারবারীরা রেল দখল করে। এতেও দূর্ঘটনা কমে না বরং বেড়েই চলছে।

কেউ আশি ভাগ সড়ক দূর্ঘটনার জন্য স্বশিক্ষিত চালকদের দায়ি করছেন। কদিন আগে মিরসরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় অনেক শিশুর মৃত্যুর জন্য চালকই দায়ী অনেকটা । কেউ কেউ ম্যালথাসের জনসংখ্যাতত্ত্বকে হাজির করে অধিক জনসংখ্যাকে দায়ি করছেন। আবার অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সবদোষ কপালে চাপিয়ে ‘ভাগ্য’ হিসেবে মেনে নেয়ার বাণী দিচ্চেন। প্রতিদিন রাস্তায় নতুন নতুন গাড়ি নামছে, দলীয় নেতা ও শ্রমিক নেতা আবার ২৮ হাজার শ্রমিককে কার্যকর পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স দেয়ার বিস্তারিত সুপারিশ করে বসলেন।

যে শ্রমিক গাড়ী চালাবে, যার হাতে থাকবে অনেক মানুষের জীবন, তার কোন কার্যকর প্রশিক্ষণ বা পরীক্ষা থাকবে না, শুনতেই গায়ে কাঁটা দেয়। বিমানে ক’জন মানুষ যাতায়াত করে? তারপরও একজন বিমান চালক তৈরী করতে যত খরচ করে তার শিকিভাগও মোটর শ্রমিকদের জন্য করা হয় না। বিভিন্ন প্রতিশ্রূতি শুনি। শুনি উড়াল সেতু, উড়াল সড়ক, পাতাল রেল, বৈদ্যুতিক রেলের কথা। পদ্মা সেতু নিয়ে চলছে মাতামাতি।

কাজ না হতেই খরচ হল একহাজার একশ কোটি টাকা। দাতারা ভরসা করতে পারছেন না যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে। আবার দুর্নীতির বড় ধরনের আভিযোগ উঠেছে । যাহোক,অন্যদিকে কম ব্যয়ে দীর্ঘস্থায়ী রেল পরিবহন, পায়ে হাঁটার ফুটপাত নির্মানের কথা শুনি না। রাস্তা দখল মুক্ত করা, মেরামত করা, প্রয়োজনীয় প্রতীক-সংকেতের ব্যবস্থা, ট্রাফিক পুলিশ সংখ্যা বাড়ানো বা ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন এসবে নজর নেই।

যেসব কাজ কম টাকার বাজেটে কম সময়ে বাস্তবায়ন হয় এবং দ্রুত ফল পাওয়া যায়,সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর নেই। বছরে একখানে তিন বারের বেশি দূর্ঘটনা ঘটলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বা ব্লাকস্পট নামে চিহ্নিত হয়। বুয়েটের এআরএস গত বছর দেশের ২১৬টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ‘সওজ’ কে চিঠি পাঠায়। কিন্তু কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ২১৬টি ব্লাকস্পটের খবর ‘সওজ’ কে দিয়েও কোন কাজ হল না।

তারই একটি ব্লাকস্পটের সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেলেন তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন। আর একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল, যাদের কাজ সড়কে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তারা তিন মাস পর পর বৈঠক করার যোগ্যতাও রাখে না। কখনো বৈঠক হলেও ডাকা হয় না সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে। অন্যদিকে আমাদের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হতে পারত যে রেল পথ ও নদী পথ। কিন্তু তা ধ্বংসের পথে।

অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসেবে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এদেশে নৌপথ ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। এখন তা কমতে কমতে ছয় হাজার কিলোমিটারে নামলো। শুকনো মৌসুমে তা কমে হয় তিন হাজার আটশ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারতের পরিকল্পিত অবৈধ বাঁধ নির্মাণ নদী ও সংযোগের ফলে আমাদের নদীগুলো মরে যাচ্ছে। নদীর ওপর পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো’র সাইন বোর্ড।

বোর্ডে সুন্দর করে নদীর নাম থাকলেও নিচে মরুভূমি। প্রাকৃতিক নদীপথই ছিল আমাদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। নৌপথের খরচ অনেক কম । আবার নৌপথ নির্মাণের জন্য আমাদের কারও দিকে তাকাতে হয় না। এখনও নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌপথ কে সচল করলে সড়কের ওপর চাপ অনেক কমে যাবে।

তার জন্য প্রয়োজন ভারতের নদী সংযোগও অবৈধ নদী খনন বন্ধে ভারততোষণ নীতি বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেয়া। সড়ক পরিবহন অত্যন্ত ব্যয় বহুল। নিয়মিত মেরামত করতে হয়। যার জন্য টাকা লাগে অনেক। চলতি অর্থ বছরেই সড়ক পথের মেরামত বাবদ ৬৯৩ কোটি টাকা এবং সড়ক উন্নয়ন বাবদ এক হাজার আটশত চব্বিশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে (এ টাকা থেকে মেরামত বাবদ কোন অর্থ বরাদ্দ দেয় হয়েছে এমন জানা যায়নি)।

সড়ক পথে পরিবহনের সংখ্যা লাগে অনেক বেশি। পরিবহন মেরামত ও যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অনেক টাকা নষ্ট হয়। দেশের মোট জ্বালানীর একটি বড় অংশই চলে যাচ্ছে সড়ক পথে। রেল পথকে গুরুত্ব দিতে পারলে সড়ক দূর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। কমে যাবে খরচ।

কেননা রেলপথ একবার নির্মাণ করলে অনেকদিন চলে। পরিবহন সংখ্যা ও চালক লাগে কম। নেই যানযটের সুযোগ। একরেলে অনেক যাত্রী পরিবহন করা যায়। ভারত, জাপানের মত দেশ আজ রেলে গুরুত্ব দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার কাঠামো বদলিয়ে দিল, আর আমরা পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রতিবছর রেলে লোকসান দিচ্ছি।

খবরটা ভয়াবহ হলেও সত্য যে সরকার নিজের দ্বায়িত্ব এড়ানোর জন্য পিপিপি’র (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) আওতায় যে ১৬২টি পরিসেবা খাতকে প্রাইভেট বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে নিজের হাত গুটিয়ে নিয়ে মুনাফাখোরদের ডেকে আনছে। তার মধ্যে আমাদের রেল অন্যতম। ভবিষ্যতে হয়ত গরিব মানুষ রেলেও চড়তে পারবে না। এদিকে সড়ক দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কোন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চোখে পরে না। সড়ক দূর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, কোনরকম অর্থ খরচ না করে, শুধু সচেতনতা বৃদ্ধি, চালকের প্রশিক্ষণ, মোটরযান আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ দূর্ঘটনা কখনো সম্ভব।

আর একটু পরিকল্পিতভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা করলে দূর্ঘটনা অনেক কখনো সম্ভব। কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। এদেশের রাস্তার পাশের পায়ে হাঁটার জন্য ফুটপাত নেই। থাকলেও তা দখলদারদের দখলে। দূরত্ব কম, পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় এমন রাস্তায়ও আমরা গাড়িতে চড়তে বাধ্য হই।

হাঁটার জন্য ফুটপাত বা রাস্তার ব্যবস্থা করলে, আর বর্তমান ভোগবাদী সংস্কৃতির বিপরীতে হাঁটার মানসিকতা তৈরি করা গেলে সড়ক দূর্ঘটনা ও যানজট অনেক কমে যাবে। দেশে একদিকে পাবলিক পরিবহনগুলোতে মানুষ ‌‌‌‍'মুড়ির টিনে' বাদুর ঝোলার মত করে যেতে দেখা যায়, অন্যদিকে প্রাইভেট কারে একাই বসে রাস্তায় যানজট তৈরিও চোখে পরে। রাজধানীর তথাকথিত অভিজাত সড়কগুলোতে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ। কিছু মানুষ আবার যানজট ও দূর্ঘটনার জন্য সবদোষ রিক্সার ওপর চাপিয়ে রিক্সা বন্ধের ফরমান জারির তালিম দিয়ে বেড়ান। কিন্তু এ রিক্সা চালকরা রাস্তায় মাত্র ৩৮ ভাগ জায়গা নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে ৫৪ শতাংশ।

আর প্রাইভেট কার রাস্তার ৩৪ ভাগ জায়গা নিয়ে খুব কম সংখ্যক মানুষকেই বহন করে। আবার রিক্সার জন্য জ্বালানী না লাগায় তা পরিবেশ বান্ধব। দেশে বিরাট সংখ্যক মানুষ, যারা অভাবের তাড়নায় রিক্সা চালিয়ে সরকারকে বড় অংকের রাজস্ব দেয় তারা সে অনুপাতে কিছুই পায় না। তাদের ট্রাফিক আইন জানানোর জন্য এখনও কোন গণশিক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমনটি আমরা জানি না। বড় বড় শপিংমলগুলোর সামনে গাড়ী পাকিং এর ব্যবস্থা না থাকায় প্রাইভেট কারগুলো রাস্তা দখল করে নেয়।

নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের কল্যাণমুখী যৌথ জীবনে অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন। নিজের দ্বায়িত্ব এড়ানোর বদলে কাজ করার মানসিকতা দরকার। যদিও আইন দিয়ে মানুষের আচরণ বদলানো যায় না তবুও এর প্রয়োগ দরকার। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট কোনডির ভাই বা লন্ডনে প্রিন্সেস ডায়ানাও ট্রাফিক আইন থেকে রেহায় পাননি। কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার গাড়ি বহরের কারণে লন্ডনে যানজট সৃষ্টি হলে মেয়র তাকে জরিমানা করেন।

ভারতে রেল দূর্ঘটনার দায় নিয়ে লালবাহাদুর শাস্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। আর আমরা এখনও নিজের দায় স্বীকার করতে শিখলাম না! তাই এ মুহুর্তে দরকার রাস্তা দখলমুক্ত করা, হাঁটাপথের ব্যবস্থা করা, রেলের আধুনিকায়ন, নদীর নব্যতা ফিরিয়ে এনে সচল করা। নিরাপদ সড়কের জন্য চাই আমাদের শাসকদের, পরিবহন কর্মীদের, কর্তৃপক্ষ ও আমাদের সড়ক সংস্কৃতির সামগ্রিক রুপান্তর। আর এসব সমস্যার যুগোযুগী সমাধান হয় না মূলত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের ব্যর্থতার জন্য। তাইতো বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নৈরাজ্য চলছে।

এতসব চাঞ্চল্যকর সড়ক হত্যাকান্ড ঘটার পরও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় কী সড়ক দূর্ঘটনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষনা দিয়ে যে অনুযায়ী পরিকল্পনা ও কর্মসূচী নিয়েছেন? আগামী এক বছরে কী পরিমান হবে তার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন? এছাড়া ট্যাফ্রিক আইনসহ এসম্পর্কিত আইনগুলো যুগোপযুগী ও কার্যকর করার পদক্ষেপ নিয়েছেন? আমরা মনে করি এ মুহূর্তে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের উচিত হবে অতিদ্রুত সড়ক সংস্কার করাসহ ভূয়া লাইসেন্স ও ত্রুটিপূর্ন গাড়ী বিরুদ্ধে অভিযান চালানো এবং ট্র্যাফিক আইন কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা। আর এর জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবারের চাঞ্চল্যকর দূর্ঘটনাগুলো থেকে যে জনক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তাতে যদি সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেয় তবে অবশ্যই সরকার জনরোষানলে পড়বে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.