আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কোন জাতি তত্ত্বাবধায়ক সমর্থন করতে পারে না---- সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের অভিমত

রফিকুল ইসলাম ঃঃঃঃঃ----- এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে কথা বললেন সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, কোন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সমর্থন করতে পারে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করেছি। আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতি কখনও এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারে না। বরং তারা আশ্চর্য হতে পারে এই ভেবে যে, সরকার চালানোর জন্য আমরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করছি।

কিন্তু তাদের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমনও দেশ রয়েছে, যেখানে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির অনুপস্থিতিতে। এ দেশের নির্বাচিত সরকারগুলো নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে এ পর্যন্ত কোন আগ্রহ দেখায়নি। তিনি বলেন, জাতির যে কোন ক্রান্তিকালে অবশ্যই জনগণ ও তাদের শুভবুদ্ধির ওপর আস্থা রাখতে হবে।

মধ্যস্থতার জন্য বিচারক কিংবা জেনারেলের কাছে ছুটে যাওয়া উচিত নয়। শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গবর্নিং স্টাডিজ (আইজিএস) লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব বাথের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (সিডিএস) সহায়তায় এ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশের ৪০ বছর : অতীত পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত অগ্রগতি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র আর সুশাসনের জন্য একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রয়োজন সেটি বর্তমানে দেশে বিদ্যমান।

এই ৪০ বছরে দেশে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় গোড়ামি, ফতোয়া, নারীর প্রতি সহিংসতা যেমন কমেছে তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার যে ধারা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে জাতি হিসেবে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব। তবে কিছু বিষয়ে সুশাসনের অভাব এখনও প্রকট। সময়মতো নজরদারি ও সুশাসন না থাকায় খাসজমিসহ দেশের নদী, রেলওয়ের জমি ও নদীর তীর দখল হয়ে গেছে। দেশের রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেন, আমরা রাজনীতিবিদদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকি আর তাঁদের ভাসিয়ে দেই স্তুতির বন্যায়।

কিন্তু জাতির জীবনে যে সব কালিমা চিহ্ন রয়েছে, তা মুছে ফেলতে আমরা অনেক বেশি সময় নিয়ে ফেলেছি। এর আংশিক কারণ হচ্ছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অদক্ষ, অপ্রত্যাশিতভাবে অলস এবং দুর্নীতিপরায়ণ। দেশের শাসনব্যবস্থায় পরিদর্শন বিষয় উলেস্নখ করে বলেন, দেশে কোন পরিদর্শন ব্যবস্থা নেই। অথচ ব্রিটিশ আমলে সুদূর লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিস থেকে বরিশালের প্রত্যনত্ম এলাকার মহকুমাতেও নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু গত ৪০ বছরে সরকারী দফতরের কাজে পরিদর্শন ব্যবস্থা ছুড়ে ফেলে দিয়েছি।

নিয়মিত পরিদর্শন যে কোনও দফতরের কর্মকর্তাদের সব সময়ই নিজ কাজে দায়িত্বশীল করে রাখে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।