আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের সংসার

নারী ও শিশু আমার ভাল লাগার বিষয়। এদের নিয়ে কাজ করতে ভাললাগে। কিন্তু এখন আমার কর্মক্ষেত্র সকল জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। বিষয়টি যত সহজ ভাবছি আসলেই কি এত সহজ? একজন বাচ্চাকে পরিপূর্ন ভাবে মানুষ করতে অনেক যত্বের প্রয়োজন। পিতা-মাতা হিসাবে আমাদের যে দায়িত্ব আমরা তার কতটুকু সঠিক ভাবে পালন করি! এমনও অনেক পিতা মাতা আছেন বাচ্চার পরীক্ষার সময় টিভিতে খবর দেখার নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি দেখছেন কিন্তু বাচ্চার মনটা যে টিভির মধ্যে পড়ে আছে সেই দিকে কোনো খেয়ালই নেই।

পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে যারপর নাই ভাষায় গালি গালাজ করছেন। সবসময় একটা খামখেয়ালী ভাব। কিছূ পিতা ভাবেন, টাকা দিচ্ছি, কোচিং করাচ্ছি, যখন যা চাচ্ছে তাই দিচ্ছি আর কত ……? কিছু কিছু জিনিস আছে যা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। আপনার নিজের বাচ্চার যত্ন নিজ়েকেই করতে হবে। টাকা দিয়ে আপনি সাহায্যকারীর কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারবেন কিন্তূ সার্বিক তত্বাবধানে পিতা মাতাকেই থাকতে হবে।

এই তো গেলো শুধু পড়াশুনা সংঙ্ক্রান্ত । খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে যে কি রকম অনিহা মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা বাচ্চা কেন জন্ম দেই ! বাবা মারা একটু কষ্ট করতে চান না। তার প্রমান ফাষ্টফুড এর দোকান গূলো। কিনে কিনে বাচ্চাদের খাওয়ানো। এমনকি দিনের পর দিন কেনা খাবার দিয়ে বাচ্চাদের স্কুলের টিফিনের ব্যবস্থা করা।

এই খাবার গুলো বাচ্চাদের স্বাস্থের জন্য কি যে ক্ষতিকর তা বলাই বাহূল্য। কিছু কিছু খাবার আছে যা বানাতে সময় লাগে না। যা বাচ্চারা একটু বড় হলে নিজেরাও তৈরী করতে পারবে। ছোট বেলা থেকেই বাচ্চাদের ভাল অভ্যাস গুলো তৈরী করে দেওয়া বাবা মাদেরই দায়িত্ব। আমাদের বাচ্চাদের সবজি খাওয়াতে কষ্ট হয় বলে অনেক বাবা মাই শিশুদের মাংস দিয়ে খাইয়ে থাকি কিংবা বড় বড় মাছ দিয়ে।

কিন্তু ছোট মাছ ও সবজি যে শরীরের জন্য কত উপকারী তা অনেকেই জানি না। একটু কাটতে বাছতে অসুবিধা হয় বলে আমরা শাক সবজি ছোট মাছ খাওয়া ছেড়েই দিয়েছি বলতে হয়। এতে অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে। অফিসে কাজের চাপ। তার মধ্যে ডাক্তারের কাছে দৌড়ানো একটা বাড়তি ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়।

প্রতিনিয়ত মাংস, চিংড়ী মাছ বা বড় বড় মাছ ইত্যাদি দিয়ে খাওয়ানোর ফলে বাচ্চারা বূদ্ধির দিক দিয়ে সুক্ষ না হয়ে শক্তির দিক থেকে যথেষ্ট শক্তির অধিকারি হয় যার প্রকাশ ভিন্নভাবে উপ্স্থাপিত হয়। তখন আমরা বলি আমার বাচ্চা ভীষন দুষ্ট। সামলানো যায় না ইত্যাদি। বাচ্চাদের ঠিক মত্ন ঘুমাতে দেওয়া এবং সঠিক খাবার প্রয়োজন অনুযায়ি দেওয়া বাবা-মাদের উভয়ের দায়িত্ব। রান্না মা করলেও বাজার বাবাকেই সাধারনত করতে হয়।

কিন্তু বাজার বাসায় কি আসে তার উপড় নির্ভর করে কি রান্না হবে। তাই এইসব থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত ভাল অভ্যাস রপ্ত করা অত্যন্ত জরুরী। বাচ্চাদের কাজ শেখানোর ব্যাপারেও আমাদের অনেক অনিহা। কাজ না করতে করতে বাচ্চারা ১২ বছর হয়ে গেলেও কাজ করতে চায় না। কিন্তু ছেলে হোক আরে মেয়ে হোক বাসার কাজ কিছু কিছু বাচ্চাদের ছোট বেলা থেকেই শেখানো উচিত।

বাবা ও মা উভয়কেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে বিশেষ করে মা যদি চাকুরিজীবি হন। মা চাকুরিজীবি হন আর গৃহকত্রী হন বাচ্চাকে নয় মাস গর্ভে ধারন করেন। এ এক অন্যরকম ভালবাসা। কিছু অসচেতনার কারনে সঠিক পদ্বতিতে বাচ্চা লালন পালন করতে অসুবিধা হয় এই আরকি! বাবা মা যখন মেয়ে ও ছেলেকে একই সূযোগ সুবিধা দিয়ে বড় করে তখন নিশ্চয় এই ভেবে বড় করে না যে মেয়ে শ্বশুড়বাড়ী গিয়ে রান্না বান্না করে খাওয়াবে। কিন্তূ এই ব্যপারটি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।

আমার দেখা মতে যত বড় চাকুরিজীবি হোক না কেন একজন মেয়েকে তার পরিবারের অনেক কাজ করতে হয় বিয়ের পরে। ছোট বেলা থেকে যদি কাজ করার অভ্যাস তৈরী হয়ে যায় তাহলে সে যে কোনো অবস্থার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। ছেলেরাও যদি কিছু কিছু কাজ জানে তাহলে বউ কাছে তার কদর আরো বেড়ে যায়। ছুটির দিনে যদি একটু বউ ছেলে মেয়ে কে রান্না বান্না করে খাওয়ায় তাহলে ত কথাই নেই। এভাবে মিলে মিশে যদি একটি সংসার চলে তাহলে অনেক প্রতিকুলতার মধ্যেও সংসার সুখের হওয়া সম্ভব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।