এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলো খুব কাছ থেকে দেখা একটা দুরুহ ব্যাপার।
শীতে ঝর্ণাগুলোরা কাছে যাওয়া কিছুটা সহজতর হলেও তখন ঝর্ণাগুলোর প্রকৃত রূপের নাগাল পাওয়া যায় না। ঝর্ণার যৌবন দেখতে হয় বর্ষায়। তেমনি একটা ঝর্ণার যৌবন দেখতে গিয়েছিলাম চট্টগ্রামের মিরসরাই। আসুন আমার ক্যামেরায় দেখি মিরসরাইয়ের খইয়াছড়া ঝর্ণা।
(২) চিনকি আস্তানা নামক স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে গেলে রেল লাইন থেকে বাম দিকে প্রথম যে রাস্তাটি নেমে গেছে তা ধরে এগিয়ে যেতে হবে খইয়াছড়া ঝর্ণার দিকে।
(৩) আগে থেকে ঠিক করে রাখা গাইডের বাড়িতে পৌছি এক সময়।
(৪/৫) গাইড সাথে নিয়ে আমরা ঝর্ণার দিকেএগিয়ে চলি এমন পথ ধরে।
(৬) কখনো বা কাঁদাময় এমন স্থল পথেও হাটতে হয়েছে, আর এই সময়ে পাশে থাকা সবুজ ঘাসের চিনে জোঁকগুলোও কিন্তু বেশ জ্বালিয়েছে আমাদেরকে।
(৭/৮) তবে সবচেয়ে বিপদ জনক পথ ছিলো এমন পিচ্ছিল পাথুরে পথগুলো।
(৯) পিচ্ছিল পাথুরে পথ, জোঁকের অভয়ারণ্যের ভয় আর পানি দিয়ে পথ চলার কষ্ট মুহুর্তেই মুছে যাবে এমন কিছু পাহাড়ি ফুলের রূপ দেখে।
(১০/১১) এমন প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক সময় আমরা ঝর্ণার জোরালো শব্দ শুনতে পাই।
(১২) এমন একটা প্রকৃতিক ঝর্ণা শরীর ডুবিয়ে দেওয়ার পর পথ চলার ক্লান্তির ছিটেফোটাও থাকার কথা নয়।
(১৩) গাইডের সাথে একটা স্মৃতি না থাকলে কেমন হয়।
(১৪/১৫) ঝর্ণার দুইপাশের পাহাড়ে রশি বেধে এমন ভাবে ঝুলে ঝর্ণা পার হওয়ার সময় কিসে মজা পেয়েছিলাম তা এখন আর বর্নণা করা সম্ভব নয়।
(১৬/১৭) জলকেলীরত আমরা।
(১৮) এক সময় ক্লান্ত হয়ে এমন কাপড়ের দোলনায় প্রকৃতিতে দোল খাই, পাশে স্বশব্দ আছড়ে পরা ঝর্ণা, পাখপাখালীর ডাক আর বন্য ফুলের ভেজা গন্ধে সত্যিই পরিবেশটা হয়ে উঠেছিল স্বর্গীয়।
এক সময় আবার ফিরতি পথ ধরি, আর মনে মনে বলি আবার আসবো তোমার মাঝে, কথা দিলাম আমি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।