আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া

নিজের অস্তিত্বকে জানান দিতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার শিকার হয়ে আজ ৯৭৫ জন শিক্ষার্থী তাদের জীবনের চরম বাজে সময় পার করছে। নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ও তারা আজ চরম অনিশ্চয়তায়। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে অনেকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কল্পনায় নির্ঘুম রাত পার করছে। ভেবে দেখুন তো, দীর্ঘ ২ বছরের চরম সাধনার পর ভর্তি প্রক্রিয়া নামক এক কঠিন বৈতরণী পার হওয়াটা কত কস্টের। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'গ' ইউনিটে ভর্তি হতে পারাটা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত সেখানে তা আবার কেরে নেওয়াটা কতটা কস্টের তা কেবল ভুক্তভোগীই জানে।

যে ৯৭৫ জন কিছুদিন আগে ও বিশ্বজয়ের হাসি হেসেছিলো সেই তাদের মুখে আজ রাজ্যের চরম হতাশা। এ কি দেশের চরম অনিয়মতান্ত্রিকতার পরিচয় একটু হলে ও বহন করেনা? অন্য সব সেক্টরের মত তা কি আমাদের এই শিক্ষা সেক্টরে ও সংক্রামক আকারে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে? খবরে প্রকাশ, ভর্তি প্রক্রিয়ার সন্গে জড়িত শিক্ষকেরা কেবল প্রশ্নপত্র তৈরিতেই ভুল করেননি,সেই ভুলের সংশোধনে ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। কথা হলো, দক্ষ শিক্ষক থাকতে ও কেন অদক্ষ শিক্ষক দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরী করা হলো। এর খেসারত কেন শিক্ষার্থীদের দিতে হবে? এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ও তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন!! আমরা যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে গর্ব করতাম তাদের এই গর্বের জায়গাটা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো সেটা একটু ভেবে দেখার জন্যে কর্তৃপক্ষকে অনুরুধ করছি। এত বিশাল খরচের ব্যয়ভার আবার ক্যাম্পাসে বিদ্যমান ছাত্রদের বহন করতে হয় কিনা তাই বা কে বলবে? আমরা আশা রাখি,কর্তৃপক্ষ দ্রুত এর একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করবেন যাতে সব পক্ষের কস্টের জায়গাটায় একটু হলেও প্রলেপ পড়ে।

আর ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের ভুল না হয়ে থাকে তার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কোন ধারা প্রণয়ন করবেন। আইনি ব্যাপারটা যাতে এ ব্যাপারটিকে আরো কলংক জনক অধ্যায়ে পরিণত না করে তার বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.