আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশে ( গজনী অবকাশ ) - ফটো ব্লগ

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা । শেরপুর জেলার বিশাল অংশজুড়ে গারো পাহাড়ের বিস্তৃতি।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ। লালমাটির উচু-নিচু,পাহাড়,টিলা, পাহাড়ী টিলার মাঝে সমতল ভূমি। দুই পাহাড়ের মাঝে পাহাড়ী ঝর্ণা একে বেঁকে এগিয়ে চলছে। ঝর্ণার পানি এসে ফুলে ফেপে উঠছে। সেখানে বাধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম লেক।

লেকের মাঝে কৃত্রিম পাহাড় এবং পাহাড়ের উপর “লেক ভিউপেন্টাগন”। সেখানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে দোদ্দুল্যমান ব্রীজ। পাহাড়ের চুড়ায় রয়েছে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট বৈদ্যুতিক সুবিধাসহ আধুনিক “দুতলা রেষ্ট হাউজ”। যে রেষ্ট হাউজ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে নামার জন্য আঁকা-বাকা “পদ্মাসিড়ি” রয়েছে। অবকাশের পাদদেশে সান বাঁধানো বেদীসহ বট চত্বর।

নৈস্বর্গীক সৌন্দযের লীলা ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ গারো পাহাড়। এখানকার সবুজ প্রকৃতি আপন করে নেয় ভ্রমন পিপাসুদের। শ্যামল বৃক্ষরাজীর মাঝ দিয়ে আকাঁ-বাকাঁ পাকা সড়ক পথ যেন সবুজ সুড়ঙ্গের দিকে ঢুকে যাচ্ছে ক্রমশঃ। আসুন আমার ক্যামেরায় দেখি গাড়ো পাহাড়.......... গজনী যাওয়ার পথে দীর্ঘ এমন রাস্তা দেখে মনটা একেবারে জুড়িয়ে যাবে । পাহাড়ের চুড়ার এই দোতলা রেষ্ট হাউজে রয়েছে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট বৈদ্যুতিক সুবিধাসহ থাকার ব্যবস্থা ।

রেষ্ট হাউজ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে নামার জন্য আঁকা-বাকা “পদ্মাসিড়ি” রয়েছে। পাতাল পূরীর প্রবেশ পথ, পাহাড়ের নীচ দিয়া পাতালপূরীর এই সুরঙ্গ অপর পাশ দিয়ে বের হয়েছে, ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার...........ওখানে ঢুকলে আপনি পাবেন রোমাঞ্চের ছোয়া । সুরঙ্গ এর অভ্যন্তরে..........ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলো, বাস্তবে ঘুটঘুটে অন্ধকার । প্রকৃতির কোলে এমন বিশাল বটবৃক্ষের নীচে বসে আড্ডা মারার তুলনাই হয় না, এই জায়গাটার নাম বটতলা । এটা ক্রিন্সেন্ট লেক, লেকের রয়েছে একটা দ্বীপ।

দ্বীপে যাবার জন্য রয়েছে ঝুলন্ত ব্রীজ, যার নাম রংধনু ব্রীজ, কৃত্রিম জলপ্রপাত, আর লেকে রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য পানসিতরী নৌকা, প্যান্ডেল বোড । লেকের পাড়ে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে বসে আছে এই পাথর কুমারী । বিশাল বটবৃক্ষে এমন তিনটা ইউনিটের দেখা পাই আমরা । লজ্জাবতী ফুল, একই গাছে দুই রঙের লজ্জাবতী ফুল আগে কখনো দেখিনি । সাইট ভিউ টাওয়ার ।

৮০ ফুট উচ্চ এ টাওয়ারে উঠলে দেখা যাবে পাহাড়ী ঢিলার অপরূপ বৈচিত্রময় দৃশ্য ছাড়াও আমাদের পার্শবর্তী দেশের অনেকটা এলাকা । সাইট ভিউর উপর থেকে তোলা ছবি, ভারতের মেঘালয়ের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষে পাহাড়ের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরী হচ্ছে...... এই ছবিটাও সাইট ভিউর উপর থেকে তোলা, ইহা আমাদের দেশেরই ছবি............ ওখান থেকে আমরা চলে যাই মধুটিলা, আশা করি মধুটিলা নিয়ে কোন একদিন লিখবো, ভালো থাকুন সবাই, সব সময় । [img|]  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.