আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনাবাহিনীর ব্যাপারে খালেদা জিয়ার ব্ক্তব্য উস্কানীমূলক! এর জন্য তাকে রাষ্টদ্রোহী সাইব্যস্ত করে সাজা দিতে হবে! বিচার হবে পরে!

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ আমাদের আওয়ামীলীগ-সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক সভা শেষ হলে সকল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী একযোগে দাঁড়িয়ে বেগম জিয়ার বক্তব্য উদ্ধৃত করে সমালোচনা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন সর্ব কালের সর্ব শেষ্ঠ - মউস্ট ডিসাইসিভ নেতা - আমাদের দেশের গণতন্ত্রের কর্ণধার বর্তমান ও ভবিষৎের প্রধানমন্ত্রী (যদি জামাত, শিবির আর এই হেফাজতে ইসলামীদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীন সীমানা থেকে বেড় করে দেয়া যায়) শেখ হাসিনাকে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মন্ত্রিরা বলেন, 'বেগম জিয়ার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল' এ জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ব্যবস্হা, আমার মনে হয় তাকে ফাসির কাষ্টে ঝুলিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত রাখা উচিত। কি সাহস দেখেন তো? পাইছে কি - এটা কি সবার দেশ নাকি! এটা আমাদের দেশ - আমাদের রক্তের বিনিময়ে কেনা - আর এই কেনাতে সাহায্য করেছে আমাদের দোস্ত আমাদের মৈত্রী, ভারত। বেগম জিয়ার কথা বার্তায় মনে হয় উনি যেন একটা স্বাধীন দেশে বাস করতেছেন। উনার মাথায় ঠিকই গন্ডগোল - উনি যে কার রাজত্বের রাজ্যে আছেন তার হুশ হারিয়ে জ্ঞান শুন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেই তো মনে হয়! এটা যদিও জনগনের কাছে সাহ্সী ভূমিকা বলে মনে হতে পারে - আমার কাছে একেবারে আহমকী! বেগম জিয়া যেসব কথা বার্তা বলতেছেন এর জন্য দেশী আইনে - মানে আমাদের আওয়ামী মনোভাবে - একটা ইনটারন্যাশনাল ট্রাইবুল্যাল করে এখনই তাকে ফাসি দেওয়ার ব্যবস্হা নেয়া হোক। প্রয়োজনে ভারত ও বেলজীয়াম থেকে প্রয়োজনীয় সরন্জাম - মানে এডভাইস আনা হোক।

বিচার-টিচার এগুলো পরে পাওয়া যাবে। গত রবিবার বগুড়ায় এক জনসভায় বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী যেমন কাজ করছে তেমনি দেশেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথাসময়ে তারা কাজ করবে'। বেগম জিয়ার এই কথা যদিও বতর্মান পরিস্তিতিতে জনসাধারণের প্রাণের আবেগের প্রতিফলন - আমাদের সরকারের জন্য এটা মহা প্লাবন। বর্তমানে আমাদের আওয়ামী সরকার পুলিশ আর র্যাব দিয়ে অনেক কাজ সারতেছ। আমাদের লোকজন পুলিশ আর র্যাবের পোষাক পরে মাঝে মধ্যে আমাদের পথের কাঁটাগুলো ম্যানেজ করতেছে।

সেনাবাহিনী আসলেতো আর এসব চলবেনা। আমরা যেভাবে বড় বড় পুলিশ অফিসারদেরকে প্রমোশনের প্রলোবণ দেখিয়ে কাজ সারিয়ে নিতে পারছি তাতো আর হবেনা। ভয় দেখানো যাবেনা, চোখ রাঙানে যাবেনা, দমক দেয়া যাবেনা আর আর্মির পোষাক ও পরা যাবেনা। আমাদের আ্সল মিশনটাই বর্বাদ করে ফেলবে! বর্তমান পরিস্তিতির যাতে উন্নতি না হ্য় সে ব্যবস্হা অবশ্যই আমাদেরকে নিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া সেনাবাহিনী সময়মতো কাজ করবে বলে বগুড়ায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উস্কানীমূলক।

এই উস্কানীতে বর্তমান পরিস্তিতির অবসান হলে আমাদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাঠগরায় দাড়াতে হবে! বেগম জিয়ার এই অগণতান্ত্রিক সরকার উত্খাতের কৌশলকে যেভাবেই হোক আন্ডারমাইন করতে হবে! জনগণের মত সেনাবাহিনীও যদি জিয়ার ডাকে সাড়া দেয় তবে মুসিবত আমাদের সবার। আমাদের আওয়ামী সরকারের হায়াত শেষ হওয়ার আগেই ওদের সবার সাথে খালেদা জিয়াকেও ফাসি কাষ্টে ঝুলানো চাই!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.