আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্বরাক্রান্ত রোগীর প্রলাপ

ব্লগিং জগতে অশিক্ষিত বালক নামেই রিচিত আমি। ওয়েবসাইট নিয়ে পাগলামি করার টুকটাক অভ্যাস। তাই, পড়ালেখার পাশাপাশি বন্ধুদেরকে নিয়ে টুকটাক ওয়েবসাইটের পাগলামি নিয়ে আছি। আমার কাজকর্ম দেখুন এখানেঃ http://banglatheme.com/ লেখালেখিতে আমার হাত বরাবরই কাঁচা। তাই, নোট তার নাম দিলাম জ্বরাক্রান্ত রোগীর প্রলাপ।

জ্বরাক্রান্ত রোগী জ্বরের ঘোরে অনেক আবোল তাবোল কথা বলে যেগুলোর না থাকে কোন মানে, না থাকে কোন শৃঙ্খলা, না থাকে শুদ্ধ-অশুদ্ধের তমিজ। এক কথা থেকে আরেক কথায় চলে যায়। আমার নোটটাও অনেকটা এমনই। তাই, আগেই সতর্ক করে দিলাম। পড়ে বলতে পারবেন না যে, মানা করি নাই।

তাই পড়তে ভালো না লাগলে পইড়েন না। জোর জবরদস্তি নাই। তবে, একটা কথা সত্য। যা যা লেখছি সব মনের ভিতর থেকে লেখছি। নিম্নে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণিত হলো কী নিয়া লেখতে বইসি জানি না।

তাও লেখতাছি। কাম কাজ নাই তো। অ.....মনে পড়ছে... আমার আশেপাশের কয়েকটা বেকুব পোলা আছে সেগুলারে নিয়া লেখন যায়। বেকুব এজন্য কইলাম সারাক্ষণই ভ্যা ভ্যা করে। ভাই....ভাল্ লাগে না....ভাই frustrated হইয়া যাইতাছি.....ভাই কানতে ইচ্ছা করে....এই রকম হাবি জাবি।

যখন আমি জিগাই কেন্? কী হইছে? ৯৯.৯৯% উত্তর দেয় একটাই। তা হইলো যাই হইছে তার লগে নারী নামক বিষয়টি জড়িত আর কী। আমি বুঝতে পারতাছি যে এখন আমার উপর নারী সমাজের আক্রমণ হবে....কিন্তু কিছু মনে কইরেন না। জ্বরের রোগীতো....এমন অনেক কিছুই কয়। যা হোক....যেটা কইতাছিলাম....অগো অধিকাংশের গেনজাম এক জায়গায় যাইয়া আটকা।

গার্লফ্রেন্ড এর লগে গেনজাম হইছে। তাই, এখন আর লাইফ ভাল্ লাগে না..... পড়ালেখা ছাইড়া দিমু.....মইরা জামু......কানমু....ইত্যাদি। ও....ও...ও....আরেকটা হাস্যকর কথাও আছে: জীবনে বড় কিছু হমু.....অই মাইয়ারে দেখাইয়া দিমু আমি কে....আমি সিউর আমার কাছে অই ফিরা আইবো.....পরে আইসা আমার পায়ে পড়বো....আমি কিন্তু মাফ করমু না। ..... এই হইলো অবস্থা। আমার প্রশ্ন হলো লাইফে একটা মেয়ের সাথে সম্পর্কই কী সব? হ্যা....আমি এ কথা মানি যে একটি ছেলের জীবনে একটি মেয়ে অনেক গুরুত্ব বহন করে কিন্তু সেই গুরুত্বের মাত্রাটা কতটুকু? কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যেটা হয় মানুষ সেই মাত্রাটা বুঝতে পারে না।

ফলে, মেয়েটার সাথে একটা গেনজাম হইলো মানে সব শেষ। লাইফ শেষ। অই....তোগো জীবনে কী আর কেউ নাই? অই লোকগুলার লেইগা একটু ভাবতে পারছ না? কিছু যখন করবিই তখন তাদের জন্য কর। দশ দিনের পরিচয়ের একটি সম্পর্কের জন্য বাকী সব সম্পর্ক বাদ? আর কী কমু তোগোরে? হ আরেকটা জিনিস কইতে পারি। আমারে পোলাপাইন মাঝে মধ্যে জিগায়: তুই সারাক্ষণ এমন হাসিখুশি থাকস কেমনে? এর উত্তরে আমি শুধু একটাই উত্তর দেই।

মানুষের উপর থেকে আশা ছেড়ে দাও। সুখে থাকবা। এই জায়গায় আমার সাথে অনেকেই একমত নাও হতে পারেন। না হইলে নাই। হইয়েন না।

আমি আমার প্রলাপ বইক্কাই যামু। আমি খুইজা বাইর করছি পৃথিবীতে যত গেনজাম সব গেনজামের মূল হইলো আশা। ভুল বুইজেন না....আশা কোন মেয়ের নাম না....আশা-আকাঙ্খা...ইংরেজিতে কয় Expectation। কয়েকটা উদাহরণ দেই: ১. ভাই আপনি অমুকের লগে কথা কননা কেন? উ: আরে ভাই কয়েন না। আশা করছিলাম পোলার বিয়াতে দাওয়াত দিবো কিন্তু দেয় নাই ২. বয়ফ্রেন্ডের লগে ঝগড়া হইছে কেন? উ: আশা করছিলাম জন্মদিনে গিফট দিবো....কিন্তু দেয় নাই ৩. তোর মন খারাপ কেন? উ: আশা করছিলাম পরীক্ষায় first হমু....কিন্তু হই নাই।

৪. রাগ করছস কেন? উ: আশা করছিলাম ও আসবো। কিন্তু ও আসে নাই। এবার তাইলে বলেন....ঝামেলাডা কোথায়? মানুষের কাছে কোন কিছু আশা করা সবচেয়ে বড় বোকামি। আশা কইরেন না। ঝামেলাও হইবো না।

আর যখন ঝামেলাই হইবো না তখন খুশি না থাইকা আর উপায় আছে। অনেকে এখন আমাকে বলতে পারেন যে...খুবতো কইলা আশা কইরো না...আশা কইরো না....এডা কী এতো সোজা? হ্যা মানছি এডা এতো সোজা না। তবে কঠিনও না.....মানুষ পারে না এমন খুব কম কাজই আছে.....তবে এটা তার বাইরে। অনেক লেখছি বলে মনে হচ্ছে। খুব বুদ্ধি দিলাম বলেও মনে হচ্ছে।

আর দিমু না। তবে শেষে একটা কথা কইয়া শেষ করমু। কথাটা শুদ্ধ ভাষাতেই কই। শুনতে মনে হয় ভালো লাগবো: জীবনে সবকিছুরই মূল্য আছে। সবকিছুকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

তবে সেই গুরুত্ব দেওয়ার মাত্রাটা বুঝতে হবে। যেখানে যতটুকু গুরুত্ব দেওয়ার ততটুকুই দিতে হবে। বেশিও না.....কমও না....যাতে বস্তুটি কোনভাবেই আমার উপর এমন প্রভাব ফেলতে না পারে যা আমার জন্য কিংবা আমার আশেপাশের লোকের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। উদাহরণস্বরূপ একটি ঘটনা দিয়ে শেষ করবো: কিছুদিন আগে আমাদের ক্লাসে আমাদেরকে শিক্ষক কয়েকটি দলে ভাগ করে দিয়ে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বললেন এবং কিছুক্ষণ পরে সে বিষয়টি আমাদেরকে উপস্থাপনও করতে হবে। আমরা আলোচনা করছিলাম কিন্তু বিষয়টি বুঝে আসছিল না।

তো কথার ফাকে আমি আমার দলের একজন তথাকথিত ভালো শিক্ষার্থীকে তার একটি কোর্সের রেজাল্ট সম্পর্কে বললাম যে সে A+ পায় নাই। ব্যস.....এরপর তার অবস্থা দেখার মতো ছিল। সে সম্পূর্ণ frustrated হয়ে গেল....সে নাকি মনোযোগ দিতে পারছে না....এই হাবি জাবি। মাঝখানে আমরা বাকিরা পড়লাম বিপদে। কেননা, ও খুবই ভালো শিক্ষার্থী এবং তাকে ছাড়া আলোচনা করে আমরা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলাম না।

ওকে বললেই ও বলে মনোযোগ দিতে পারছে না। পড়ে আমরা একটা গোজামিল দিয়ে শেষ করলাম। তাহলে দেখেন.... আমার কথা হলো......পড়ালেখাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে....কিন্তু রেজাল্টের সময় আশা করো কেন যে A+ পাবা? একটু কম আশা করো। তাহলে কম পেলে দুঃখ থাকবে না....আর বেশি পেলে তো খুশির আর ভাষা থাকবে না। আমার অই ক্লাসমেট যদি এমনভাবে চিন্তা করতো তাহলে আমরা হয়তো সেদিন এমন বিপদে পড়তাম না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।