আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

না হাসলে পয়সা ফেরৎ

YOU CAN DO ANYTHING, BUT NOT EVERYTHING সৈনিকদের ক্লাশ নিচ্ছেন ক্যাপ্টেন। মাধ্যাকর্ষন সম্পর্কে বুঝাচ্ছেন। তিনি বললেন, কোন কিছু যত উপরেই ছুঁড়ে দেয়া হয় না কেন তা আবার মাটিতে এসে পড়বে। হঠাৎ এক সৈনিক দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, স্যার মাটিতে না পড়ে যদি পানিতে পড়ে তাহলে? ক্যাপ্টেন: ওটা নৌবাহিনীর ব্যাপার তোমার না জানলেও চলবে। ============================================= কুমির উড়তে পারে! ক্যাপ্টেন সৈনিকদের ক্লাশ নিচ্ছিলেন, একজন সৈনিক দাঁড়িয়ে বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে? ক্যাপ্টেন বললেন, না, কুমির উড়তে পারেনা।

ক্যাপ্টেন ক্লাশের পড়ানোয় মন দিলেন। সৈনিকটি দাঁড়িয়েই রইলো। কিছুক্ষণ পর আবার বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে? … ক্যাপ্টেন একটু বিরক্ত হয়ে বললেন, যাদের বুদ্ধি হাটুতে তাদের জন্য বলছি, কুমির উড়তে পারে না। যথারীতি ক্যাপ্টেন পড়াচ্ছেন আর সৈনিক দাঁড়িযেই আছে। আবার একটু পর সৈনিক বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে? ক্যাপ্টেন এবার রেগে গিয়ে বললেন, যাদের মাথায় গোবর ভরা তাদের জন্য বলছি, কুমির উড়তে পারে না।

এবার সৈনিকটি বললো, কিন্তু স্যার, জেনারেল স্যার যে বলছিলেন, কুমির উড়তে পারে! ক্যাপ্টেন এবার কয়েক মূহুর্ত ভেবে বললেন, ও জেনারেল স্যার বলেছেন নাকি? তাহলে কুমির উড়তে পারে তবে খুব নিচ দিয়ে! ============================================= যেমন জেনারেল, তেমন সৈন্য এক সৈন্য ভুল করে তার মগ উলটে রেখে গেলো টেবিলে। জেনারেলের তেষ্টা পেয়েছে, পেয়াদাকে হুকুম করলেন পানি আনার জন্য। পেয়াদা অনেক ক্ষন দেখে ফিরে এসে রিপোর্ট করলো স্যার পানি আনতে পারবো না, মগের কোনো মুখ নেই। … জেনারেল গেলেন টেবিলের কাছে অনেক ক্ষন গবেষনা করে বললেন কি আশ্চর্য এটার তো তলাও নেই। ============================================= মৃত্যু সংবাদ ক্যাপ্টেন গফুর দরাজ গলায় হাঁক পাড়লো, “সার্জেন্ট জলিল।

একটু আগেই একটা টেলিগ্রাম পেলাম, সিপাহী বরকতের আম্মা নাকি মারা গেছে। তাকে গিয়ে দুঃসংবাদটা জানাও আর আমার সাথে দেখা করতে বলো। ” সার্জেন্ট জলিল সমবেত সিপাহী জনতার সামনে গিয়ে বললো, “রমজান, মেস হলের হাল হকিকত এক্ষুণি আমাকে রিপোর্ট করো। বাশেদ, দপ্তরের কেরাণীকে এক্ষুণি ক্যান্টনমেন্টের ফাইলগুলো পাঠাতে বলো। আর বরকত, ভালো কথা, তোমার আম্মা মারা গেছে।

তুমি স্যারের সাথে গিয়ে দেখা করো। ” সেদিন সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন গফুর, সার্জেন্ট জলিলকে বললেন, “দ্যাখো জলিল। এমন একটা মানবিক ব্যাপার তুমি এমন আবেগহীন ভাবে সোজাসাপ্টা কীভাবে বললে! এইসব বিষয়ে…মানে বুঝলে তো- আরেকটু কৌশলী হলেই পারো। ” “ইয়েস স্যার। ” পায়ে মেঝে ঠুকে, স্যালুট মেরে বললো সার্জেন্ট।

কিছু সপ্তা পর ক্যাপ্টেন গফুরের ফের দরাজ কণ্ঠ, “সার্জেন্ট জলিল। একটু আগেই একটা টেলিগ্রাম পেলাম, সিপাহী শমসেরের আম্মা নাকি মারা গেছে। তাকে গিয়ে দুঃসংবাদটা জানাও আর আমার সাথে দেখা করতে বলো। তবে রোসো, একটু কৌশলে। ” সার্জেন্ট জলিল আবারো সিপাহী জনতার সামনে এসে দাঁড়ালো।

“সমাবেশ! ফল ইন করো। ” চড়া গলায় বললো সার্জেন্ট। “এবার, যাদের যাদের আম্মা জিন্দা আছে, তারা সবাই দুই কদম এগিয়ে এসো। শমসের, তুমি বাদে। ” ============================================= লেফটেন্যান্ট তার কার্যকাল শেষে বড়কর্তার কাছে রিপোর্ট করছে, - “কমরেড কর্ণেল, আমার প্যাট্রলিঙের সময় বলার মতো তেমন কিছুই ঘটেনি, শুধু স্কোয়াডের কুকুরটা মারা গেছে।

” -”কুকুরটা কেন মরলো?” -”ঘোড়ার গোশত অতিরিক্ত খেলে মরবে নাতো কি?” -”কিন্তু, ঘোড়ার গোশত সে পেলো কোত্থেকে!” -”আমাদের ওই খয়েরী খোজা ঘোড়াটাকে গুলি করতে হয়েছিল। ” -”কিন্তু কেন?” -”কারণ ওটা এমনিতেই মরতে বসেছিল। ” -”মরতে বসেছিল? এই তাগড়া ঘোড়াটার আবার হঠাৎ করে কি হয়েছিল?” -”তেমন কিছু না। মাত্রাতিরিক্ত ভারবহনের কারণে এমনটা হয়েছিল। “ -”অতিরিক্ত ভার? কেন?” -”আমরা বড় বড় পিপায় করে নদী থেকে জল আনছিলাম।

ওই খোজা ঘোড়াটা একটু বেশিই জল বয়েছিল। ” -”কিন্তু, নদী থেকে এত জল আনার প্রয়োজন পড়লো কেন!?” -”কারণ, আগুন ধরেছিল। পুরা ব্যারাক পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে। “ এবার ক্রোধান্বিতই হলেন কর্ণেল। -”কী! তুমি এই কথাটা পয়লা বলোনি কেন?” -”আপনার ডেপুটিকে এটাই প্রথমে বলেছিলাম।

কিন্তু সে যে হার্টফেল করে মারা গেল…” ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।