আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

" কোটা নয় মেধার মূল্যায়ন চাই "

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ...এই প্রতিষ্ঠানের মেধাবীরা জাতীয় স্বার্থে যত আন্দোলন করেছে আর সেই সব আন্দোলনে যত বাঁধা , হামলা , নির্যাতন করা হয়েছে সেই সকল আন্দোলনই সফলতা পেয়েছে । আমরা সফল হবই , তোমারা পরাজিত হবে নিশ্চিত । যেমন ১৯৫২, ৫৪, ৫৮, ৬৯, ৭১, ৭৫, ৯০, ২০০৬(সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে) আমার বাবার ট্যাক্সের টাকায় কেনা মারণাস্ত্র নিয়ে আমার উপরই হামলা করা হয়। যদি রাগে ক্ষোভে আমার হাতে পাথর উঠে আসে তখন আমিই আবার সন্ত্রাসী হয়ে যাই। দুই দলের মারামারির মধ্যে পড়ে আমি যখন বেঘোরে প্রান হারাই তখন আমার বাবার হাতে দশ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়।

আমার মানবজীবনের এই মুল্য নির্ধারণ হয়ে যায় খুব সহজেই। আমি মরে গেলে কারো কিসসু আসে যায়না। আমি বড় সাধারন। আমি পাশ করে বের হবার সাথে সাথে মা-বাবা বড় আশা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রতিবছর সেই আশা ধীরে ধীরে হতাশায় পরিণত হয়।

আমি শার্টের আস্তিনে চোখের জল মুছি। তাই আমি কোটা প্রথার সংস্কার চাই। এই আন্দোলনকে যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যাবহার করতে চায় তারা সবাই চুদির ভাই। দুঃখিত। অনেক ভদ্র থাকার পর এইবার আমি অভদ্র হলাম।

অভদ্র হবার কারনও( আমি যা মনে করি) তলে ধরলাম,"""""" ২০০০০০ মুক্তিযোদ্ধা, ধরলাম তাদের সন্তান ২ জন করে। টোটাল ৪০০০০০ হল। এখনতো আবার নাতিনতনি কোটা আছে। ধরলাম এই চার লাখের ঘরে আসলো ৪ জন করে সন্তান। টোটাল ১৬০০০০০।

দেশের ১৫০০০০০ উপ্পজাতির জন্য ৫% কোটা। ১৬০০০০০ নাতির জন্য ৩০% কোটা। লক্ষ্য করুন ১৬০০০০০ না ধরে আপনি ২০০০০০০ ও ধরতে পারেন, সেটা মোট জনসংখ্যার কত %? উত্তর ১.২৫% ১.২৫% জনগনের জন্য আপনি কতভাগ কোটা রাখবেন? এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল যাকে আমরা এক কথায় স্বাধীনতা সংগ্রাম বলি। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছিল। একটি শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের আসল চেতনা ।

কিন্তু আপনারা যারা রাজনিতিবিদ তারা জনগনের মুক্তিযুদ্ধকে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করতে আপনারা...... ১। কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অধিকার নিয়ে আজ ছিনিমিনি খেলছেন। ২। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় সম্পদে পরিনত করে দেশটাকে বাপের জমিদারিতে রুপান্তরিত করেছেন। ৩।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমাদের সংস্কৃতি আর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। ৪। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আজ আমরা সংখালঘু। ৫। সমস্ত জনগন আর মুক্তিযুদ্ধ যেন আজ মুখোমুখি।

৬। মুক্তিযুদ্ধের সম্মান আপনাদের হাতে আজ পুরোপুরি বিনষ্ট। দয়া করে সম্ভাবনাময় এই নতুন প্রজন্মকে মেধাহীন আর পরস্পরের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে আবার দেশটাকে নতুন করে সংকটে ফেলবেন না। ইতিহাসের শিক্ষা আশা করি আপনাদের মন ও মানসিকতাকে আর ও প্রশস্ত করবে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।