আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেলওয়ের ইতিহাস ।। রেজা ঘটক

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা... ১৮২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। জর্জ স্টিফেনসনের যুগান্তকারী প্রচেষ্টায় বিশ্বের প্রথম জর্জ রেলওয়ে ইংল্যান্ডের স্টকটন থেকে ২৫ কি.মি. দূরবর্তী ডার্লিংটন পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উদ্বোধন করা হয়। যে রেল ইঞ্জিন নিয়ে জর্জ স্টিফেনসন স্টকটন থেকে ডার্লিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন, সেটির নাম ছিল লোকোমোশান। ড্রাইভার ছিলেন রেলের আবিষ্কারক জর্জ স্টিফেনসন নিজে। তাঁকে বলা হয় রেলওয়ের জনক।

জর্জ স্টিফেনসন কর্তৃক উদ্ভাবিত রেললাইনের গেজের দূরত্ব ৪ ফুট সাড়ে ৮ ইঞ্চি বা ১৪৩৫ মিলিমিটার। ১৮৩০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চালু হয় ইংল্যান্ডের লিভারপুল টু ম্যাঞ্চেস্টার রেলওয়ে সার্ভিস। জর্জ স্টিফেনসন (৯ জুন ১৭৮১ - ১২ আগস্ট ১৮৪৮) ছিলেন একজন সিভিল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড ডালহৌসি সর্ব প্রথম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পরিচালক পর্ষদের কাছে ভারতবর্ষে রেলওয়ে স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পেশ করেন। পরে ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল গেট ইন্ডিয়ার পেনিনসুলার রেলওয়ে নামক কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত মুম্বাই থেকে আনা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল লাইনটির উদ্বোধন করা হয়।

এটিই ছিল ব্রিটিশ ভারতে রেলওয়ের প্রথম যাত্রা। আর বাংলার প্রথম রেলপথ চালু হয় ১৮৫৪ সালে পশ্চিম বঙ্গের হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধনের মাধ্যমে। ১৮৭৪ সাল থেকে ১৮৭৯ সালের মধ্যে নর্থ বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে নামে ব্রিটিশ সরকার একটি নতুন ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ মিটারগেজ রেললাইন স্থাপন করে। লাইনটি পদ্মার বাম তীর ঘেঁষে সারা (হার্ডিঞ্জ ব্রিজ) থেকে চিলাহাটি হয়ে হিমালয়ের পাদদেশস্থ ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ এবং আসামের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের জন্য পদ্মার উপরে সেতু নির্মাণ তখন জরুরি হয়ে পড়ে।

তারই প্রেক্ষাপটে ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ দুই লেনবিশিষ্ট হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রেল চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে চিলাহাটি হয়ে কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য স্থানে মালামাল সরবরাহ ও যাত্রী চলাচল গাড়ি বদল ছাড়াই সম্ভব হয়ে ওঠে। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর। চুয়াডাঙ্গার দর্শণা থেকে কুষ্টিয়ার জগোটি পর্যন্ত ৫৩.১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ৫ ফুট ৬ ইঞ্জি সাইজের ব্রডগেজ লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে প্রথম রেল চলাচল শুরু হয়। ১৮৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি আরো ১৪.৯৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইন সম্প্রসারণ করে বেঙ্গল আসাম রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

১৮৯৫ সালের ১ জুলাই চালু হয় দুইটি রেলওয়ে সার্ভিস। ১৪৫৯.৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম কুমিল্লা রেলওয়ে এবং ৫০.৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ লাকসাম চাঁদপুর রেলওয়ে। এই দুইটি রেললাইনও মিটারগেজ সার্ভিস। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর কলকাতা বেঙ্গল আসাম রেলওয়ে সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। ...................চলবে.................. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.