একলা মানুষ মাতৃ গর্ভে একলা মানুষ চিতায় একলা পুরুষ কর্তব্যে একলা পুরুষ পিতায় আর, মধ্যে খানে বাকিটা সময় একলা না থাকার অভিনয় সার আমাকে কলেজ পালানোর দ্বায়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে ছিলেন TC দিবেন বলে,
তার পরেও উনিই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক কারণ,
আমার বাবাকে ডেকে এনে, দাড়িয়ে যে সম্মান তিনি দেখিয়ে ছিলেন। যে দায়িত্ব বোধের পরিচয় উনি দিয়ে ছিলেন আমি তা অ-শিকার করতে পারব না।
আফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে আমার সার্টের পকেট টান দিয়ে ছিড়ে ফেলে ছিলেন । (কলেজের মন গ্রাম কেটে লাগিয়ে ছিলাম বলে)
তার পরেও উনিই আমার জীবনের সবচেয়ে স্নেহ ময়ী শিক্ষক কারণ, তিনি তখন বলেছিলেন, বাবা তোর যাই আছে সেটাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন কর।
আমার সবচাইতে প্রীয় বন্ধুকে চর পেরে চশমা ভেঙে ফেলেছিলেন।
তার পরেও আমরা উনার মমত্বের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
কারণ, আমাদের আগোচরে সার ওর বাবা মায়ের সাথে সরা সরি যোগাযোগ রাখতেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
আমি কি করে ভুলব আমার সেই প্রিয় সার কে যিনি, আমাদের কে সুন্দর বন শিক্ষা সফরে নিয়ে গিয়ে আক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ঢাকায় ফিরে অসুস্থ হয়ে ছিলেন পরর্বতী দুই সপ্তাহ ।
১৯৯৭-১৯৯৯ HSC ব্যাচ ছিল আমাদের। তিনতলায় আমাদের ক্লাসের পাসেই ছিল উনার অফিস রুম।
সার তখন উপাধ্যক্ষ । আমারা খুব চিৎকার চেচামেচি করছিলাম। টিচার বললেন শাহিন সার রেগে আছেন তোমাদের সান্ত থাকতে বলেছেন। আমরা থামলাম না, চেচামেচি আরো বারিয়ে দিলাম। শাহিন সার ক্লাসে আসলেন বেত নিয়ে।
সবাইকে একটি করে বেতের বারি হজম করতে হল। একটি কথাও না বলে উনি বেরিয়ে গেলেন। মনে মনে খুব করে বকছিলাম সার কে। ক্লাসে পিন পতন নিরবতা। ক্লাস টিচার মুচকি হেসে বললেন।
ইনি হচ্ছেন তোমাদের কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, উপাধ্যক্ষ মাহফুযুল হক শাহিন । তোমরা আজ তাকে সবচাইতে অপছন্দ করছো, কিন্তু আগামি ২ বছরের মেধ্যে উনি তোমাদের সবচাইতে প্রিয় শিক্ষক হয়ে যাবেন....
গত বছর প্রায় এক যুগ পর উনার অফিসে ঢোকা মাত্রই নাম ধরে বললেন "তুই কেমন আছিস" আনন্দে চোখে জল চলে এসেছিল। সার আমার নামটাও ভোলেননি!
সার আপনি কি শুনতে পারছেন আজ সেই অশ্রু আবার ঝরছে আপনাকে হারানর বেদনায়?
গতকাল ২৪ মার্চ ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজের শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ মাহফুযুল হক শাহিন সার রাত ৮.৩০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন ! (ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন )
গভীর শোকের সঙ্গে, আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি । আমিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।