আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুসলমান হওতো এমন মুসলমান হও।এমনি মুসলমান চাই। সাথে কিছু কথা!!!

ব-দ্বীপ মানে বদ্‌ দের দ্বীপ না কিন্তু। দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না। যদিও বাংলাদেশের অবস্থা দেখে ভুল বোঝা স্বাভাবিক। ছবিটা দক্ষিন আফ্রিকার ক্রিকেট প্লেয়ার হাশিম আমলার ও জ্যাক ক্যালিসের। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্যালিসের জার্সিতে ক্যাসল নামক একটি বিয়ার কোম্পানির লোগো থাকলেও আমলার জার্সিতে তা অনুপস্থিত।

কারন ইসলামে মদ জাতীয় যেকোন পানিয়র বিক্রি, তৈরি এমনকি তার প্রচার সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। আর তাই আমলা দক্ষিন আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড ও দক্ষিন আফ্রিকা ব্রিউয়ার্স এর অনুমতি নিয়ে ক্যাসল এর লোগো তার জার্সিতে লাগান না। এর জন্য অবশ্য ম্যাচ ফি থেকে কোন টাকা তিনি নেন না। (ছবিটি ও ইনফর্মেশান ফেসবুক থেকে পাওয়া) আসলে মুসলমান হতে হলে এমনি হতে হবে। আমি মনে করি আমলা শুধু নাম সর্বস্ব মুসলমান নন।

শুধু কিছু কায়িক পরিশ্রমে করা ( নামায, রোজা করা) মুসলমান না, বরং লোভ লালসা আর ইসলামের জন্য ত্যাগের মানষিকতা সম্পন্ন মুসলমান। কারন নামাজ আদায় করা বা রোজা রাখার চেয়ে কস্টকর ব্যায়াম আর ডায়েট অনেকেই করে থাকেন আর তাই মুসলমানদের জন্য এটা কোন কস্টই না বরং নিজের লোভ, লালসা স্বার্থপরতা ইত্যাদি খারাপ গুন গুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখাই হচ্ছে একজন মুসলমানের পক্ষে সবচেয়ে কস্টকর । আর তাই আমরাও এই সুযোগে সবচেয়ে সহজ কাজগুলো করে মুসলমান হয়ে গেছি আর কঠিন কাজগুলোর কথা কারো সামনেই আলাপ করি না, মানতো পরের কথা । এই কথা বলছি এই কারনে হুজুরদের আলোচনার মধ্যে শুধু নামায আর রোযাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় কিন্তু নিজের খারাপগুন থেকে বাচার ব্যাপারে কোন উপদেশ শুনিনি। আমাদের দেশের মুসলমানদের অবস্থা আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার মত হয়ে গেছে।

আমরা ছোটকাল থেকেই স্কুলে, কলেজে ভর্তি হই, স্কুলের/কলেজের ইউনিফর্ম পরে বা ভার্সিটির আইডি কার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াই। কিন্তু শিক্ষিত হইনা। ডিগ্রীর কোন অভাব আমাদের থাকেনা। অথচ চরমভাবে অভাব থাকে নৈতিক শিক্ষার। আর তাই স্কুল থেকে শুরু করে ভার্সিটি পর্যন্ত পড়ার সময় অনেক ছাত্রের ব্যাবহার, আচার আচরন নৈতিকতা শিক্ষা দেখে সত্যিই অবাক হই।

কি শিখছে ওরা? নিজের দিকে তাকালে ভাবি কি শিখছি, শিখেছি এতদিন আমি? জবে যেয়ে এই সুশিক্ষিত হাই ডিগ্রিওয়ালা লোকেদের চুরি দুর্নিতী ক্ষমতার অপব্যাবহার অশিক্ষিত লোকদেরকেও হার মানায়। তারা তাদের অক্ষরজ্ঞান সমৃদ্ধ শিক্ষা কাজে লাগিয়ে হয় জ্ঞানপাপি। আর এতেই বোঝা যায় আমরা পড়াশোনা করে অক্ষরজ্ঞান সমৃদ্ধ শিক্ষিত হই, কিন্তু সুশিক্ষিত হইনা, জ্ঞানি, দূরদর্শি হইনা। ধর্মের ক্ষেত্রেও তাই। মুসলমান ঘরে জন্ম নিয়ে টুপি পড়ে নামাজে যাওয়া শিখেছি, কিছুটা আরবী পড়ে কোরানের অর্থ ছাড়া বা অর্থসহ পড়তে শিখেছি।

কিন্তু অক্ষরজ্ঞান সমৃদ্ধ মুসলমানই রয়ে গেছি। কোরানের মত মহান ঐশি বাণীর একটি বই যাকে দাবী করি একটি পরিপুর্ন বই সেটা পরিপুর্নভাবে বোঝার জন্য কতটা চেস্টা করি বা বোঝার কতটা সক্ষমতা অর্জন করেছি? আর তাই আমার দৌড় ঐ দাড়ি, টুপি (ইউনিফর্ম) পরে মসজিদে (স্কুলে) যাওয়া আর লোক দেখানো রোজা রাখা পর্যন্ত। কিন্তু আমরা কি ইসলামের আসল শিক্ষা অনুযায়ী শিক্ষিত? একটু নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুনতো নামাজ রোযা ব্যাতিত আল্লাহর কয়টা নির্দেশ আমি আপনি সঠিভাবে মানছি? সত্য কথা বলা, সরল সঠিক কথা বলা, ন্যায়বিচার করা, মানুষের উপকার করা, মানুষকে না ঠকানো, স্বার্থপর না হওয়া ইত্যাদির মধ্যে আমরা কয়টা মেনে চলছি? এলাকার হাজি সাহেবের বা মসজিদের ইমাম বা সভাপতি সাহেবের কয়টা আচরনের মধ্যে এইসবের অস্তিত্ব পাওয়া যায়? মসজিদের ইমাম তার চাকুরিটা বাচানোর জন্য সভাপতি সাহেবকে তেল দেয়, তার অনৈতিক আচরন মেনে নেয়, তার উপর অর্পিত ওয়াজিব দায়িত্ব সঠিক সময় নামাযে দাঁড়ানোর নিয়ম না মেনে সভাপতিকে ভাষনের সুযোগ করে দেয়, সভাপতি আবার মসজিদ কমিটি পছন্দ না হলে মসজিদে তালা দিয়ে মুসলমানদের নামায আদায়ের পথ বন্ধ করে দেয় আর বাড়িওয়ালা হাজ্বি সাহেবের ভাড়াটিয়ারা পানিই পায় না সঠিক সময়ে অজু করে নামায আদায় করার। আমি আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না এগুলো নিয়ে, কারন এগুলো আমাদের চোখের সামনেই ঘটছে। আমাদের চারপাশে এমন মুসলমান রুপ ধারি মুসলমানের অভাব নাই।

কিন্তু সত্যিকারের ইসলাম সম্পর্কে সুশিক্ষিত ও প্র্যাক্টিসিং মুসলমানের খুবই অভাব। আমাদেরমত এই তথাকথিত মুসলমানদের জন্য নাস্তিক আর অমুসলিমেরা ইসলাম নিয়ে মজা করার, বাজে কথা বলার সুযোগ পায়। যদিও শিক্ষিত লোকদের অন্যায়, দূর্নিতী অপকর্মের জন্য কখনো শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমালোচনার সম্মুখিন হতে হয় না, কিন্তু মুসলিম ভেকধারি মুসলমানদের অপকর্মের জন্য ইসলাম বিদ্বেষীরা শুধুই ইসলামের দোষ খুজে পায়। মাঝখান দিয়ে আমাদের মত অপরাধিরা নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য লোক দেখানো ইসলাম পালন করার মধ্যে নিজের জন্য সান্ত্বনা খুজে নেই আর ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করি। ধর্মিয় আচরন নিয়ে আমার আগের একটি পোস্ট ছিল।

পঞ্চাশ টাকার সিএনজি ভাড়া দিলাম দেড়শ টাকা, দিন দিন করতেছি কাফেরের মত আচরন আর সংবিধানে বিসমিল্লাহ না থাকলে মাথা খারাপ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.