আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেকড় থেকে শিখরে !

এক কাফন চোরা মৃর্ত্যুশয্যায় তার ছেলেদেরকে ডেকে বললেন হে আমার তনয়গন আমিতো সারাজিবন কাফন চুরি করেছি কোন ভাল কাজ করতে পারেনি লোকে আমাকে কখনো ভাল বলেনি, তাই আজ বিদায়কালে তোমাদের অনুরোধ করতেছি তোমারা আমার মৃর্ত্যুর পর এমন কাজ করবে যাতে করে লোকে আমাকে ভাল বলে । ছেলেরাতো পড়ে গেল মহা চিন্তায় কি করা যায়। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নিলো কবর থেকে লাশ চুরি করার ,তখন লোকে বলাবলি করা শুরু করল তার বাবা তো অনেক ভাল ছিল চুরি করত কাফন আজ তার ছেলেরা লাশ চুরি করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। আমরা জাতি হিসেবে মনে হয় দুর্নিতির সার্টফিকেট প্রাপ্ত। না হয় শেখ মুজিব সেদিন বলতনা “৬ কোটি মানুষর জন্য সাত কোটি কম্বল , আমারটা গেল কই।

সবাই পায় স্বর্নের খনি আমি পাইছি চোরের খনি’’। বাংলাদেশের মানুষেরা হয়ত সেদিন বুঝতে পারেনি কিন্তু শেখ মুজিব,যিনি একটা সপ্নময় জাতি হিসেবে বাংলাদেশীদের দেখতে চেয়েছেন (অনেকের মতে), তিনি ঠিকেই উপলব্দি করতে পেরেছিলেন বাংলাদেশিরা জাতি হিসেবে দুর্নিতির স্বীকৃতি একদিন পাবে। দেশ পরিচালনার বার নিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান, হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, তাঁদের আমলটাও দুর্নীতির উর্ধে ছিলনা। আমাদের প্রয়াত নেতারা হয়ত ভাল কিছু করে যেতে পারেননি কিন্তু একটা সপ্ন দেখিয়ে গিয়েছেন ,যেন তাঁদের প্রসংশা করা হয় । শেখ মুজিবের আমলে চুরি হয়েছিল রিলিফের কম্বল, কিন্তু আজ বাংলাদেশে দুর্নীতি হচ্ছে ১৪ কোটি মানুষের ঘায়ে চাপানো ঋণ থেকে।

সেদিন হয়ত কেউ স্বিকার করেনি আমাদের প্রায়াত নেতাদের আমলটা অনেক ভাল ছিল, কিন্তু আজ জাতি ঠিকে স্বিকার করছে গেল দিন ভালই ছিল । কারন তখন হয়ত বুটের নিছে মানবতার আর্তনাদ শুনা যায়নি, ঋণের টাকা থেকে কেউ চুরি করেনি। আজ দুর্নিতিতে বাংলাদেশের অবস্তান নিচ থেকে বারতম। দুর্নিতি দমন করার জন্য গঠন হয়েছে দুর্নিতি দমন কমিশন, কিন্তু আঞ্চলিক একটি কথা আছে “ বিড়ালের কাছে শুটকি রাখা” সেটাই হয়েছে বাস্তবিক পক্ষে। “ কুইনিন জ্বর সারাবে বটে কিন্তু কুইনিন সারাবে কে?’’ রক্ষক যদি বক্ষক হয় তখন তো আর বাঁচার উপায় থাকেনা।

আসি মুল কথায়, আজ লেখাটি লিখা একটা দুঃখ থেকে, চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলাটা দেখার জন্য অনেক অধির আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে গ্রামিন ফোন সেন্টারে টিকেট বিক্রির দুইদিনের মাথায় টিকেট উদয় হয়ে গেল। অথচ বাহিরে ঠিকেই দ্বিগুণ- ত্রিগুণ দামে টিকেট দিব্যি মিলছে । এটাই আমাদের জাতিয়তাবোধের পরিচয় ? একি অবস্থা আমাদের জাতিয় সম্পদ রেলওয়েতে ও , টিকেট পাওয়া যায়না কিন্তু কালো বাজারে দিগুণ দামে টিকেটের ঢের অভাব নেই? এই কি আমাদের সভ্যতা? আমরা কি মানুষ হবোনা । জাতি হিসেবে কি পারবো না দুর্নিতির কলঙ্কের বোঝা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে? হয়ত আমরা বলতে পারব আবার তোরা মানুষ হো।

তাই নজরুল বলেছিলেন ওগো কাঙাল আমায় কাঙাল করেছ আরো কি তোমার চাই? ওগো ভিখারি আমার ভিখারি,- পলকে সকলি সঁপেছি চরনে আরত কিছুই নাই। – আরো কি তোমার চাই? বিঃ দ্রঃ (অনিচ্ছাকিত বানান ভুলের জন্য মাফ করবেন) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।