আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উভচর প্রাণীর উদাহরণ যদি ব্যাঙ হয়, উভকামী দলের নাম হেফাজত।

সম্প্রতি নারীকে তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করেছে আহাম্মক শফী। সে তার বক্তিৃতায় বলেছে, ‘মার্কেটে যেখানে তেঁতুল বিক্রি করে, ওদিকে যদি আপনে যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাহির হয়। মহিলারা তার চেয়েও বেশি খারাপ! মহিলাদের দেখলে দিলের মইধ্যে লালা বাহির হয়। ’ —ভাষা মনের ভাব প্রকাশ করে। মনের মধ্যে যদি পশু থাকে, সেই পশুর ভাবও বহন করে ভাষা।

অতি কুৎসিত বিবৃতিদানকারী এই ব্যক্তি সম্পর্কে বলা যেতে পারে, তার সারাজীবন কেটেছে অন্ধকার গুহায়। প্রগতির আলো যেখানে পৌঁছয়নি। এই ব্যক্তিকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বিবেচনা করে হাসপাতালে পাঠানো জরুরি। কিন্তু তাকে শুধু অসুস্থ বলা ভুল হবে। তার রাজনৈতিক জ্ঞান অতি টনটনে।

হেক্বারতি জ্ঞানও তার কম নয় কিন্তু ইসলামী জ্ঞান বিন্দু মাত্র নাই। আহাম্মক শফী জানে, কীভাবে খয়রাতি টাকায় কওমি জমিদারি পরিচালনা করতে হয়। কীভাবে হেলিকপ্টারে উড়ে-ঘুরে রাজনীতি করতে হয়, তা-ও অজানা নয়। মুখে মুখে পর্দার ব্যাপারে খুব বুলিয়া উড়ালেও সে নিজেই বেপর্দার মধ্যে ডুবে থাকে আর না হলে সে কিভাবে বললো যে নারীদের দেখলে লালা বাহির হয়? এই বক্তব্যের মানে কি এই না যে সে নিজে বেপর্দা মহিলাদের দিকে তাকায় আর তার অন্তরের মধ্যে কামনা বাসনার উৎপত্তি হয় যা লালা হয়ে জিভ দিয়ে কুকুরের ন্যায় বের হয়! আহাম্মক শফীর তত্ত্ব হল— নারীদের ‘বেপর্দা বেহায়াপনা’ কিন্তু তারা নারীদের এবং পুরুষদের পর্দার পালনের জন্য কি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে তো পর্দার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারা ইসলাম কতটা মানে বা পালন করে।

তারাতো পর্দাতে কোন গুরুত্ব দেয়ই না বরং তাদের কওমী মাদ্রাসা গুলোতে দেখা যায় পুরষ মহিলার অবাধ মেলামেশা । বেশির ভাগ কওমী মাদ্রাসায় ছাত্রীদের পড়াচ্ছে পুরুষ ওস্তাদ; মহিলা ওস্তাদের সাথে পুরুষ ওস্তাদের অধাধ মেলামেশা। এজন্যই কওমী মাদ্রাসা গুলোতে ঘটছে অনৈতিক যত কার্যকলাপ, হচ্ছে সম্ভ্রম হরণের মতও ঘটনা। শুধু চলতি বছরেই কওমী মাদ্রাসার ওস্তাদরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রীদের সম্ভ্রম হরণ করেছে ও সম্ভ্রম হরণের চেষ্টা করেছে। দুটি উদাহরণ— এ বছরের ২২ জানুয়ারি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবু ইউসুফ ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

৩ এপ্রিল শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বাশারুখ উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাহমুদুল হক ধর্ষণ করে সানুবিইয়্যাহ শ্রেণীর ছাত্রীকে। এরা যে শুধু নারীধর্ষণ করে, তা নয়। ছেলেদেরও ধর্ষণ করে। কওমি মাদ্রাসার সমকামী হুজুরদের নিয়ে কিছুদিন আগেও পত্রিকায় খবর এসেছে। তারা একাধারে নারী ও পুরুষের সঙ্গে যৌনসম্পর্কে উৎসাহী।

উভচর প্রাণীর উদাহরণ যদি ব্যাঙ হয়, উভকামী দলের নাম হেফাজত। তাই তাদের মাদ্রাসায় কোন ছেলে মেয়ে দেয়া যাবে না। এবং তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখা যাবে না। তাদের কোনরুপ সাহায্য করা যাবে না। এরা ইসলাম উনার শত্রু।

এদের থেকে দূরে থাকতে হবে এদেরকে দূরে রাথতে হবে তাহলে তারা আর ক্ষতি করতে পারবে না, মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। আর এদের প্রতিহত করার এখনি সময়। তারা যখন জাকাত-ফিতরা আর কোরবানির পশুর চামড়ার জন্য ভিক্ষুকের মতো দরজায় দাঁড়াবে তখন এই ‘লালা-ঝরা’ হেফাজতি মিসকিনদের দূর-দূর করে তাড়িয়ে দিতে হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।