আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিতেছে অসৎরা: হাসিনা

তিনি বলেছেন, “যারা সৎ, যারা উন্নতি করেছে- তারা ভোট পায়নি। যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি আর খুনের সঙ্গে জড়িত, তারা জিতে এল। ”
কেন তা হল- এর উত্তর নিজে জানেন না জানিয়ে তা খুঁজতে সবার প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
শনিবার গণভবনে ভারতীয় ঋণে কেনা ৮৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অশোক লিল্যান্ড বাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সাম্প্রতিক সিটি নির্বাচনের ফল নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত এক মাসে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে হারে।


শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের একটা ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধে তো কেউ কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। যারা দুর্নীতি করেনি, যারা ক্লিন ইমেজের, তারা জিততে পারেনি। ”
আগামীতে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করার বিষয়ে মত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
“আমি মনে করি, সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়া উচিত। আলটিমেটলি এটা দলীয়ভাবেই হয়।

দলীয়ভাবে হলে একটা ডিসিপ্লিন থাকবে। ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে দলীয়ভাবেই হয়। ”
সিটি নির্বাচনের এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত বলেও আওয়ামী লীগ সভাপতির কথায় প্রকাশ পেয়েছে।
“তাহলে আমরা এই উন্নয়ন কেন করছি? কার জন্য করছি? যদি দুর্নীতিবাজরাই জিতে আসে। তাহলে এই জেতার রহস্যটা কী?”
“শুনলাম জাতীয় ইস্যুর জন্য হেরে গেছি।

জাতীয় ইস্যু কী? আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পারছি কি না?”
এই প্রসঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
“জাতীয় ইস্যুর জন্যই যদি হারব; তাহলে, আমার প্রশ্ন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেল দুর্নীতি? আমাদের সরকার নাকি দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতি করে তো এত উন্নয়ন সম্ভব না। ”
“বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাস্থ্য সেবার মান, শিক্ষার মান কিছুই তো কমেনি, বেড়েছে। তাহলে, দুর্নীতি কোথায় হল,” প্রশ্ন রাখেন তিনি।


“হল-মার্ক আর ডেসটিনি আমরা ধরলাম। আর, চোর ধরে আমরা অপরাধী হয়ে গেলাম?”
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিবরণও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।  
“গাজীপুর ইলেকশনে আমরা যাকে সাপোর্ট দিয়েছি সে তিনবারের পৌরসভা মেয়র। তার বিরুদ্ধে একটা দুর্নীতির কথা কেউ বলতে পারেনি। ক্লিন ইমেজের লোক।

তাকে হারতে হল!”
“জিতল কে? ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসাবে যে হজের টাকা লুটে খেল। ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত। টাকা নিয়ে বসে থাকতে হবে, তাকে চাঁদার টাকা দিতে হবে। ”
খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক উন্নতির পরও বিদায়ী মেয়রদের হারে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “খুলনার মেয়র নকশাল করত, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি।

খুনের মামলার আসামি ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে দল করতে যেয়ে খুনের মামলার আসামিকে জেলখানা থেকে বের করে দল করা শুরু করেন। ”
“খুলনায় মানিক সাহা, সাংবাদিক বালু এবং মঞ্জুরুল ইমাম থেকে যত মার্ডার হয়েছে- এই আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি জড়িত। সে ভোট পায়। জিতে আসে!”
“ঠিক কী কারণে হেরেছি- তা আসলে আরো খতিয়ে দেখা উচিত,” বলেন তিনি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।