আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপন ভজন কথা না কহিবে যথাতথা আপনাতে আপন হইতে সাবধান

যার লাগিয়া ভবে আইলাম তারে কেন পাইলাম না জানিলে ভবে আর আইতাম না "বিছমিল্লাহিরাহমানির রাহিম" ​ শুরুতেই আমি ঐ মহান সত্তার অশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। যার অনুগ্রহ আর অশেষ কৃপার দরুন আমি আজ পুরণ করতে যাচ্ছি এক মহ‍‌‌‌ৎ উদ্দেশ্য । এদুনিয়াতে আমাকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যই হয়তবা মহান... রাব্বুল আলামিনের তাই ছিল। প্রত্যকটা মানুষেরই পৃথিবীতে পদাপর্ণ করার কোন না কোন মহৎ উদ্দেশ্য থাকেই। কিন্তু আফসোস কেহ উদ্দেশ্য পূরনে সফল,আবার কেহ বিফলে যায়।

একটু ভেবে বলুন তো, কত জনে এই পৃথিবীতে একটু ভালো কাজ করে যেতে পেরেছে। .......................​........................??? প্রত্যেকটা মানব সৃষ্টির মূলে ঐ মানব সন্তানের পৃথিবীতে আশার কোন না কোন মহৎ কর্ম তাহার কর্ম জীবনে মহান আল্লাহ তায়লা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। পাঠককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাধ্য হলাম! আপনে কি জীবেন কখনো কোন ভালো উদ্দেশ্যে ভালো কর্ম সম্পন্ন করেছেন শুধুমাএ এক মানব মুক্তির কল্যানে ??? হ্যাঁ, ভাই আমি এবং আমরা এমন কিই বা ভালো কাজ করেছি এ তৃভূবনে'''' । । ।

। । সদাই মনের কুমন্ত্রনা এ মন কে কুড়ে খায় । । ।

। । কত জনেই বা আছে এ পৃথিবীতে বলুনতো ??? যে কিনা সারাটা দিন ২৪ টা ঘন্টা সৎ ভাবে সময় অতিবাহিত করল। । থাক ওসব কথা, , , আমি পাঠক পাঠিকা কে চিন্তিত বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে মনোকামনা নিয়ে লিখতে বসিনি।

তবে অততুকু বলা প্রয়োজন বোধ করায় আমার বলা। আমার লিখা সেই সব মানুষের জন্য যারা কিনা শাঁই লালন ফকিরকে কটাক্ষ করে কথা বলেন...যে, মানুষটা কিনা সারাটা জীবন মানব কল্যানের উদ্দেশ্যেই সুন্দর সুন্দর কথার মালা গেঁথেছেন'''' তাকে নিয়ে ভাবার আগে নিজের কথা ভাবুন। নিজে কি করছেন তা দেখুন... । যদি বিশ্বস্বত্বতার বাজারে গিয়ে যাঁচাই করতে চান তবে আসুন পাটা-পুতো ঘসার মত যাঁচাই করে দেখা যাক...পাঠক কতগুল প্রমান চান ??? (১) প্রথমত উনাকে মহান আল্লাহ তায়লা হিন্দু সম্প্রদায় জন্ম দিয়ে পরে তাকে মুসলমানের দ্বীন দ্বীনে ইলামমের দিশা দেখিয়েছেন বিঃদ্রঃ- এখানে মহান ধর্ম ইসলামের জয় হলো। ইসলাম ধর্ম সন্মানিত হয়েছে।

সমস্ত দুনিয়ার কাছে। (২) এমনেতেই তো মরমী সাধক, দ্বিত্বীয়ত দ্বীনে ইসলামের পরিপূর্ন সিদ্ধী হাসিল করে শরিয়ত-মারফত-তরিকত- ও হাকিকতের জ্ঞান অর্জন করে মহা সাধক হন। বিঃদ্রঃ- সবাই ভাল করে আবার ও যেনে নিন যে, উনি আপনার আমার চেয়ে যথেষ্ট ইলমধারী পূরূষ ছিলেন । (৩) সমাজের অসম্প্রদায়িক সমস্ত কুঃস্বংস্কারের বিরূদ্ধে রূখে দাঁড়িয়েছেন। ।

বিঃদ্রঃ- এ কারনেই উনাকে হিন্দু-মুসলমান সকলে একত্রিত হয়ে রোধ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কারন উনার সাথে আল্লাহ ছিলেন। (৪) সমাজে জাতের ভেদা ভেদ ছিন্ন করেন.........। । বিঃদ্রঃ- সমাজে জাতের ভেদা ভেদ ছিন্ন করতে গিয়েই তো উনি আজ মানুষের নজরে অপরাধি বলে আখ্যায়িত।

। কেউ বলেন উনি হিন্দু আবার কেউ বলেন উনি মুসলিম আবার কেউ বলেন উনার কোন ধর্মই নাই... তাই তো শাঁই জি বলেন সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে...... (৫) দ্বীনে ইসলামে দাখিল হওয়ার পর মৃত্যুর আগ মুহর্ত পর্যন্ত গানের মাধ্যমে সমস্ত জাতি কে দ্বীন শেখানোর অগাধ চেষ্টা চালিয়েছেন পাঠক প্রস্ন করার পূর্বেই উত্তর দিচ্ছি যে ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ পাঠকদের প্রশ্ন টা হল এত মাধ্যম থাকতে লালন ফকির গান দিয়ে মানুষকে হেদায়েতের পন্থা বেছে নিলেন কেন ????? তাইনা...... উত্তর ঃ- একমাত্র কোন সুন্দর সুন্দর কথার মালা গেঁথে যদি গানের সুরে আল্লাহ ও রাসুলের গুনগান করা হয় তাহলে ঐ সুরধন্নি আর গান থাকে না আল্লাহর শানে-নজূল এ রুপান্তরিত হয়ে যায় । আশা করি পরিস্কার হয়েছে সবার কাছে । আরও অনেক প্রমান দিতে পারতাম মাত্র পাঁচটি প্রমান যথেষ্ট মনেকরার্থে ততটুকুই লিখলাম । এই মূহর্তে আমি আর নিজেক বেধে রাখতে পারলাম না ফকির লালন শাঁইজির একটি মহত্তপূর্ন গান না গেয়ে.. এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে যেদিন হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান জাতি ধর্ম নাহি রবে ।

ধর্ম কুল গোত্র জাতি তুলবেনা গো কেহ জিকির ............... কেঁদে বলেন লালন ফকির কে মোরে দেখাইয়ে দিবে ? কোন মানুষই দু নৌকায় পা রেখে থাকতে পারেনা , তেমনি লালন ফকিরের প্রথন ও শেষ ধর্ম ছিল মোমিনের ধর্ম ইসলাম ধর্ম । লালন কে নিয়ে ইতিহাসের যে বাটখারা নিয়ে টানা হেঁচরা করছি তা আমার আপনার সবার কাছেই এক পরিচিত ব্যক্তিত্ব । এমন কোন মানুষ উনাকে চেনেন না বা উনার নাম শুনেন নি তা বলা বড় মুসকিল এবং ধারনা করাই সম্পূর্ণই ভুল হবে । >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।