আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"পনের কোটি সন্তানের ধর্ষিত জননী, বাঙালী তো করো নি মানুষও করো নি " শালার বাঙালি তোদের মারতে মারতে শেষ, আর কত মরবি ??

পারবে আমায় বলতে কোথায় ঐ দূর আকাশের শেষ কিংবা আমায় এনে দিতে নতুন সোনার বাংলাদেশ (আমিও বাঙালি, এই পোষ্ট পড়ে কেউ আমাকে গালি দিতে চাইলে উয়েল কাম ) সীমান্তের ভারতীয়রা কুত্তার মত মারে, সৌদিতে ছাগলের মত মারল, সোনাবরুরা না খেয়ে মরে, রাজনীতিবিদরা অসন্তুষ্টিতে মারে,গরু ছাগল চেনা ড্রাইভাররা রাস্তায় মারে । হায় বাঙালি তোদের মারতে মারতে শেষ , আর কত মরবি ?? ভিন্ন প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করি । একজন বীরপ্রতীক ( নাম মনে পড়ছে না ) গেল বছর স্বপরিবারে দেশান্তরি হচ্ছিলেন । এয়ারপোর্টে তাকে জিজ্ঞেস করা হল 'যে দেশের জন্য যুদ্ধ করলেন সে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন ??" জবাবে তিনি বললেন "আসলে আমরা এই দেশের জন্য যুদ্ধ করি নি , যে সোনার বাংলার জন্য যুদ্ধ করছি সেটা এই দেশ নয়, আমাদের কল্পিত সোনার বাংলা এখন মানচিত্রে নেই, এটা অন্যদের বাংলাদেশ' । বাঙালির মর্যাদা আজ কোথায় ?? নিজেরা নিজেদের জীবন মূল্যহীন করছি অথবা ক্ষমতাশালীরা আমাদের চুষে খাচ্ছেন ।

ভারতের কাহিনী বললে হবে নতুন বোতলে পুরাতন মদ । তারপরও ঢালি, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর ভারতীয় সীমানারক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমাহীন বর্বরতা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। সীমানায় বাংলাদেশীদের খুন, জখম, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ বিএসএফ-এর নিত্যদিনের কার্য। গত কয়েক বছরে বিএসএফ সীমানায় এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী খুন করেছে। জখন করেছে আরো এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশীকে ।

এছাড়া ১৮৪ জনকে গুম, ৯৬৫ জনকে অপহরন, ২৬৬ জনকে আটক করেছে। ধর্ষণ করেছে ১৪ জনকে। প্রায় ৭০ বার লুটপাট চালিয়েছে । এছাড়া ২২৯ জনকে বাংলাদেশকে পুশইন করেছে। (তথ্যসূত্র- অধিকার)।

তাদের বিবৃতি একটাই সেটা হল আমাদের মানুষ গুলা নাকি অবৈধ পথে যাইতেছে । হালা বি এস এফ তোদের ঘরে চোর ঢুকলে কি মেরে ফেলস ?? আর আমাদের বেকুব বাঙালি গুলা বার বার ঐ পথে যাওয়ার দরকার বৈধ পথে যেটুকু গরু মতান্তরে উনাদের মাতাকে আনা যায় ঐ টুকুই আনুক । তাছাড়া আমাদের একদল রাজনীতিবিদরা দাদাদের পা চেটে খেতে ব্যস্ত তারা নিশ্চয় নিজেদের রক্ষার্থে সীমান্তে ব্যবস্তা নিতে পারেন । এক কথায় এই বাঙালীর জীবনের মূল্য বি এস এফের পাশাপাশী আমাদের সরকার এং সীমান্তবাসী নিজেরাই মূল্যহীন করছে । কাল কি হল ?? সৌদি আরবের শিরশ্ছেদের মাধ্যমে আট বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

একজনের খুনের দায়ে কি অপর দেশের ৮ জনের মাথা কেটে ফেলা হবে ???? শত ইসলামিক দেশ হউক পবিত্র কোরআনের কোথাও এই ধরনের বর্বরতার কথা লিখা নাই । আজ যখন সবদিকে মানবতার জয়জয়কার তখন এমন নজির মানবতার ভিত শক্তিশলী রাখতে পারে না । শাস্তি কি ভিন্ন হতে পারত না ?? ওরা আমেরিকান নাগরিক হলে আরবরা কখনোই এমনটি করার সাহস পেত না । ইতিহাস সাক্ষীঃ- ২০০০ সালের ডিসেম্বরে উইলিয়াম স্যাম্পসন নামে একজন ব্রিটিশ-কানাডিয়ান নাগরিককে সৌদি সরকার সন্ত্রাসবাদ, গোয়েন্দাবৃত্তি ও খুনের দায়ে গ্রেফতার করে। কিন্তু এর প্রায় দুই বছর পর ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে তারা ব্রিটিশ ও কানাডিয়ান সরকারের চাপে তাকে কোনরকম বিচার ছাড়াই আরো কয়েকজন সহযোগীসহ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

এই হলো সৌদির হাস্যকর শরীয়া আইন। এই কারণে অবশ্যই আমাদের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতি দায়ী। বাংলাদেশ সরকার ও তার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এ ঘটনা প্রশমনে ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংরক্ষনে সম্পূর্ন ব্যর্থ । এবার আসুন হারামজাদা বাঙালীর কথায় । শালারা দেশে তো চুরি ডাকাতি করে করে বিদেশেও।

এই আটজন মানুষ সারা পৃথিবীতে বাঙালী চোর-ডাকাতের তকমা দিয়ে গেল । বেটা নিজেদের দেশে আইন কানুন ঠিক না থাকতে পারে ওখানে তো আছে । এখানে তোমাদের মামা-চাচারা রাজনৈতিক নেতা হতে পারে খুন করেও বিশেষ বিবেচনায় ক্ষমা পাইতে পারো, ওখানে কে আছে । ? সময় আছে দেশের মান বাড়াও নাইলে তোমার মান টর্চ লাইট দিয়েও খুজে পাওয়া যাবে না । আর ঔ সড়ক দুর্ঘটনায়ও এই আমরায় সবচয়ে বেশী মরি ।

আমি মরলে সমস্যা নাই , জনসংখ্যার বোঝা হাল্কা হবে কিন্তু ঐ যে ভবিষ্যত কিংবদন্তি কিংবা আমার মাতৃভূমিকে যারা উচিয়ে ধরার ক্ষমতা রাখে তারা মরলে কে দিবে ক্ষতিপূরণ ?? এক বলদ বলে গরু ছাগল চিনলে গাড়ি চালানো যায়, আর এক গাধাঁ বলে আল্লাহ্ র হুকুম । আর বেতন দিয়ে রাখছে আইনের ভক্ষক । ওরে বেকুব দেখ গত পাঁচ বছরের কয়জন মানুষ নাশ হইছে । এক জনের পিছনে পাঁচ জন নির্ভরশীল হলে কয়জন ধ্বংস হল দেখ । সাল______নিহত______আহত/পঙ্গু ২০০৫_____৩১৮৭_____৩৭৫৫ " ২০০৬_____৩১৯৩_____২৪০৯ " ২০০৭_____৩৭৪৯_____৩২৭৩ " ২০০৮_____৩৭৬৫_____৩২৮৪ " ২০০৯_____২৯৫৮_____২৬৮৬ " ২০১০_____৩৫৩২_____২৬০৫ দে ফেরত দে তারেক,মুনির,শিক্ষক ওবায়দুল হকদের ।

কে ফেরত দিবে ? যে মন্ত্রী,ঠিকাদার,টেন্ডারবাজ দুর্নীতি করে সড়ক বানাস,যে ট্রাপিক পুলিশ টাকা খেয়ে অপরাধীদের ছেড়ে দিস, যে টাকার কুত্তা ঘুষ খেয়ে অদক্ষ আবালগুলারে লাইসেন্স দিস, পারবি কেউ তারেক মুনিরদের ফেরত দিতে নাকি পারবি নতুন তারেক মুনির পয়দা করতে ?? শালার জাত হিসাবেই আমরা অস্হির । যখন খুশী তখন রাস্তা পার হতে তো আর সরকার বলে না, যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক করতে আবুল সাহেব বলে না, হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো অনুমতি সরকার দেয় নাই । মাগার ওভারব্রিজ থাকলেও দৌড় মারতে বলে নাই । বাঙালি তোদেরই বদলাইতে হবে । নাহলে মরতে থাকবি ।

একদিন তোর অপরিচিত,তারপর পরিচিত,তারপর আত্নীয়,তারপর পরিবার সর্বশেষে একদিন তুই । বেচেঁ থাকলে শান্তি লাগে না বাঙালি মরবেই । জাতি হিসাবে অনেকটা লজ্জিত মনে হচ্ছে । সেই বীরপ্রতীকের উত্তর মাথায় ঘুরছে । পৃথিবী সর্বাধিক স্বাধীনভাবে আমরাই থাকতে অভ্যস্ত ।

যে কারণে পদে পদে লাঞ্চিত আমরা । আমাদের বাঙালীরা সবই করতে পারে । সাধারন-অসাধারন সব মানুষ দুর্নীতির আশ্রয় নিতে পারে । সরকার ইচ্ছেমত বিরোধী দলের উপর নির্যাতন ও দেশক ধর্ষন করতে পারে । বিরোধী দল হরতাল দিয়ে ,আন্দোলন করে আদায়কৃত অধিকারে জনগনের সম্পদের বারটা বাজাতে পারে ।

নির্বাচন এলেই সত্যমিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর টাকার স্রোত বানাতে পারে । নিরাপত্তা বাহিনী কাজ না থাকলে নিরীহ মানুষ মেরে হিরো হতে পারে । দেশের অবস্হা যতই খারাপ হইক না কেন মন্ত্রীরা সন্তোষজনক বলে দাবি করত পারেন । একটু ক্ষমতা থালেই নিরীহের উপর নির্যাতন চালানো অলিখিত ভাবে বৈধ করে নিতে পারে । যে কেউ বন্ধুত্বের স্বার্থে অন্য দেশের দালালি করে দেশকে পঙ্গু করতে পারে ।

সে কারণে আজ পদে পদে মরতে হয়। আর দেখুন যুগে যুগে এই দেশে সিরাউদদৌলা,সূর্যসেন,প্রীতিলতা,তিতুমীর,শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমান,তাজউদ্দীন,নজরুল ইসলাম সহ বহু বাঙালী এসেছেন কিছু করার চেষ্টা করেছেন । পরিণতি কি হল ? তারাও মরেছে...কে মারল ? আমরা বাঙালীরাই মেরেছি । আমাদের মা তথা মাতৃভূমিকে আমরা ভালবাসতে শিখনি, শিখেছি ধর্ষন করতে । নৈসর্গিক সৌদর্য্যে তিনি লুটে আছেন আর ১৫ কোটি সন্তান ধর্ষন করে ক্ষত বিক্ষত করছে তার দেহ ।

এই কৃতঘ্ন সন্তানরাই তার কামনা-বাসনা-লিন্পা পূর্ণ করছে তার মায়ের অঢেল আর লোভনীয় সম্পদে । ভূলে গেছে এই নিমক হারাম বাঙালী যে মায়ের বুকে তোর জন্ম সে মায়ের মর্যাদা দিতে । কিন্তু ঠিকই মনে রেখেছে কিভাবে দলে দলে নিজে একা না পারলে বাইরের ভাড়াটে লিপ্সু এনে নিজের মা-কে ধর্ষন করতে । তাই আজ পদে পদে এই বাঙালীদের মরতে হয় । আর ওদিকে আমার ধর্ষিতা,রক্তাক্ত মা হা করে চেয়ে থাকে আমাদের দিকে,কখন একজন বাঙালি লাল সবুজের মান রাখবে,কখন বিশ্বের বুক চিড়ে মানচিত্র উচিয়ে ধরবে,উল্লাসিত কণ্ঠে চিৎকার করবে বাংলাদেশ ! বাংলাদেশ ! রবীন্দ্রনাথ বড় শখ করেই লিখতেন তার সময়ে কিন্তু ১০০ বছর পর আজ বেচেঁ থাকলে হয়ত লিখতেন "পনের কোটি সন্তানের ধর্ষিত জননী, বাঙালী তো করো নি মানুষও করো নি " ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.