আমাদের দুুনিয়াবি কাজকর্ম যথাক্রমে ব্যবসা বাণিজ্য চাকরি নোকরি অফিস আদালত করছি। পাশাপাশি আল্লাহর রহমতে মাহে রমজানের রোজাও পালন করছি। ইফতারের সময় ইফতার করলাম, সেহরি খেলাম এ পর্যন্তই। কিন্তু না? রোজার যেমন গুরুত্ব বেশি, তেমনি নামাজেরও গুরুত্ব বেশি। তারাবিহ-র নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে কিয়াম আর রোজা হলো সিয়াম।
আগে কিয়াম তারপর সিয়াম। যেহেতু প্রত্যেকটি রোজার পূর্বে তারাবিহ হয়। কারণ আরবি মাসের নিয়ম হলো সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী দিন আরম্ভ হয়। তারাবিহ’র নামাজ বলতে বিশ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া নামাজকে বোঝায় যা আমরা রমজান শরীফে এশার নামাজের পর বিতরের আগে আদায় করে থাকি।
নবীয়ে করীম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের রাতে ঈমান ও ইখলাছের সঙ্গে কিয়াম করবে অর্থাৎ (তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে) তার আখের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
এ হাদিসটিতে তিনটি বিষয় লক্ষণীয় প্রথম বিষয়টি হলো কিয়াম সম্পর্কিত। দ্বিতীয় বিষয়টি গোনাহ মাফ সম্পর্কীয়। তৃতীয় বিষয়টি ইখলাছ সম্পর্কীয়। কিয়াম শব্দটির দ্বারা মূল উদ্দেশ্য তারাবিহ’র নামাজ, কেননা তারাবিহ’র নামাজ রমজানের বৈশিষ্ট্য। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো ইখলাছের সঙ্গে কিয়াম অর্থাৎ তারাবিহ’র নামাজ আদায় করলে তার সগিরা গোনাহ মাফ করে দেয়া হয় এবং কিয়াম যদি তওবা বৈশিষ্ট্য হয় তাহলে কবীরা গোনাহসমূহও মাফ হতে পারে।
তৃতীয় বিষয়টি হলো ইখলাছ: ইখলাছ সর্বপ্রকার ইবাদতের রুহস্বরূপ।
মানুষ একা থাকতে পারে না; মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না। মানবজাতি ঠিক তেমনি। মানুষ ছাড়া মানুষ চলাফেরা করতে পারে না। ঐক্যের স্বরূপটি যেমন মানুষের স্বভাবগত বস্তু, তেমনি ইসলামের একটি বৃহত্তম সত্তা।
এভাবে নামাজ মসজিদে জামাতের সঙ্গে, সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের উপর রোজা ফরজ হওয়াতে ইফতার ও সেহরির সময় নির্ধারণে ঈদের নামাজে, জুমার নামাজে এ সত্যটি পরিলক্ষিত হয়। আল্লাহপাক পবিত্র কোরানে ঘোষণা করেন, তোমরা আল্লাহর রজ্জু শক্ত করে ধরো, সমবেতভাবে এবং বিভেদ সৃষ্টি করো না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করো, যখন তোমরা ছিলে একে অপরের শত্রু। অতঃপর আল্লাহপাক তোমাদের অন্তরে সমপ্রীতি সঞ্চার করবেন, ফলে তোমরা তাঁর করুণায় ভাই ভাই হয়ে গেলে (আল-কোরান)।
এ সত্যটি আমরা পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সঙ্গে নামাজ জুমার নামাজ, জানাজার নামাজ, ঈদের নামাজ এমনকি তারাবিহ’র নামাজগুলোতে উপলব্ধি করতে পারি।
তারাবিহ’র নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা উত্তম। মহিলারা নিজ বাসায় একাকী অথবা শরীয়তের পর্দার আড়ালে পুরুষ ইমামের পিছনে আদায় করতে পারবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।