আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এতটুকুই ওদের অপরাধ !!!

আমি খুব ই সহজ সরল মানুষ !! বদলে দাও সমাজ। বদলে দাও দেশ। পার্কের উল্টো পথ ধরে হাঁটছিল ‘এ’ লেভেল পড়ুয়া চার কিশোর। এ অভিযোগে তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত তিন সেনা কর্মকর্তা। তাঁরা ওই কিশোরদের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করেন।

তাদের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নেন। এরপর চোর বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারার ডিওএইচএসের পার্কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার শিকার স্কলাস্টিকা স্কুল ও কলেজের ছাত্র মুশফিকুর রহমান জানায়, সন্ধ্যায় তারা সবাই মিলে ডিওএইচএসের ৫ নম্বর সড়কের পার্কে ঘুরতে যায়। তারা হাঁটতে গেলেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাকির হোসেন তাঁদের উল্টো পথে হাঁটার কারণ জানতে চান।

তারা নিয়ম না জানার বিষয়টি জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। কিন্তু এতে জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি তাদের বকাঝকা করতে থাকেন। তাদের হাত ও চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে পার্কের পাশে ব্যারাকে নিয়ে যান। সেখানে রশি দিয়ে তিনজনকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলেন।

এরপর লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। কেউ কেউ চড়-থাপড়ও মারেন। খবর পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের তত্ত্বাবধায়ক সার্জেন্ট আবদুস ছালাম ৩০-৪০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে সেখানে আসেন। এঁদের কেউ কেউ চড়-থাপড় মারেন। আরেক কিশোর তাসবীর বলে, ‘বাঁধা অবস্থা থেকে কোনো মতে ছুটে আমি মায়ের কাছে ফোন করা জন্য পকেট থেকে মুঠোফোন বের করি।

এ সময় আজিজুল ও আবদুস সালাম হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মুঠোফোনটি কেড়ে নেন। ’ ফাহাদ বলেন, ‘মারধরের একপর্যায়ে আজিজুল হক নিরাপত্তাকর্মীদের বলেন, ‘মারতে মারতে ওদের মেরে ফ্যাল। এটা শুনে আমরা সবাই ভয়ে কুঁকড়ে যাই। তখন আমার চোখের সামনে আমিনবাজারে ছয় ছাত্র মারা যাওয়ার ছবি ভাসছিল। ’ ফাহাদ জানায়, এ ঘটনার ৩০ মিনিট পরে পুলিশ আসে।

তখন গ্লাস চুরি ও উত্ত্যক্ত করা অভিযোগ দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সবার মা-বাবা আসার পর তাঁরা চুপ হয়ে যান। এর একপর্যায়ে আজিজুল হক ছাড়া সবাই ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। পরে মা-বাবারা তাদের বাসায় নিয়ে যান। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।