আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্ধুর জন্মদিনে ছড়া লেখার ব্যার্থ চেষ্টা

ভাবনার কোন নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই। কোন শুরু নেই কোনো শেষ নেই। ভাবনা ঠিকানাহীন, ভাবনা লক্ষ্যহীন। ভাবনা চলছে.। .।

ভাবনা চলবে.। .। ইচ্ছে মতন। নিজের মতন। জিন্সের সাথে শার্ট, পায়ে স্নিকার চশমা পড়া মুখটা নির্বিকার, কোণার বেঞ্চটায় বসে ছিলো চুপচাপ, দেখে মনে হয়েছিলো এর তো অনেক ভাব।

প্রথমদিনে কথা হয়নি তেমন, শুধু নামটা জেনেছি লিমন। বন্ধুত্ব হলো অবশেষে, আমি, লিমন, ইমরান আর আলিমুল মিলে, আরও এলো লিওন, ছোটন, রাজিব যোগ দিলো জয়, রাসেল আর সজিব। সব বন্ধুরা মিলে প্রতিদিন হয় চিয়ার্স গ্রুপটার নাম ডিপ টিজার্স। কিছুদিন পরেই জানলাম সে কেমন যেমন ভেবেছিলাম নয় তো সে তেমন। সিগারেট দেখলে পড়ে সে ঝাপিয়ে, বেনসন খেতে ছুটে যায় লাফিয়ে।

চেহারাটা আলাভোলা, বোঝে না তো কিচ্ছু, আসলে কিন্তু সে বিরাট এক বিচ্ছু। চশমার ফাক দিয়ে চোখটাকে বাকিয়ে সুন্দরী রমণী দেখে সে তাকিয়ে। পটে যায় দেখলে মুটি কোন খালা আমাদের বলে তখন, যা ভাগ শালা। অবশেষে একদিন স্মৃতি এলো চলে, এরপরেই গেলো সে আমাদের ভুলে। বটতলায় আমরা যখন চা খাই তাড়িয়ে সে তখন ম্যানেজম্যান্টের সামনে থাকে দাঁড়িয়ে।

ক্লাস যখন শুরু হয়, আমরা ক্লাসে ছুটি, তুই বলিস, ওর ছুটি হয়েছে, আমি এখন ফুটি। তোকে আর আড্ডাতে আগের মতো পাই না, কাউকে ছেড়ে চলে আয় তাওতো আমরা চাই না। চাই শুধু খোদার কাছে এই কামনা দুই, যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস, সুস্থ থাকিস তুই। তোর জীবনে বাজুক অনন্ত সুখের বীণ, বন্ধু তোকে আজকে জানাই শুভ জন্মদিন। [ লিমন এর বার্থডেতে সারপ্রাইজ গিফট দেয়ার উদ্দেশ্যে ছড়াটা লিখেছিলাম।

এই সারপ্রাইজটা আর তাকে দেয়া হয় নি। এর চেয়েও শতগুন বড় সারপ্রাইজ আমরা তাকে তার জন্মদিনে দিয়েছি। জন্মদিনের আনন্দের বদলে বেচারাকে আমাদের জন্য সারাদিন টেনশন করে কাটাতে হয়েছে। আমরা লজ্জিত। ] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।