আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যানিমেলস সাইন্স

There is no other species on the Earth that does science. It is, so far, entirely a human invention, evolved by natural selection in the cerebral cortex for one simple reason: it works. It is not perfect. It can be misused. It is only a tool. But it is by far the best tool we have, self-correcting, ongoing, applicable to everything. It has two rules. First: there are no sacred truths; all assumptions must be critically examined; arguments from authority are worthless. Second: whatever is inconsistent with the facts must be discarded or revised. We must understand the Cosmos as it is and not confuse how it is with how we wish it to be.- Carl Sagan ( Cosmos ) মানুষ বাদে পৃথিবীর আর কোন প্রাণীই বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে না। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞান সম্পূর্ণভাবেই মানুষের আবিস্কার, মস্তিস্কের বিবর্তনের পথ ধরে এটি টিকে আছে একমাত্র কারণে- যে এটি কার্যকর। এটি নিখুঁত নয়। এটিকে ভুল ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটাই আমাদের ব্যবহৃত সেরা পদ্ধতি যা নিজেই নিজেকে শুধরাতে সক্ষম, এবং চলমান।

এর ২টি প্রধান নিয়ম আছে ১- ধ্রুব সত্য বলে কিছু নেই, সবকিছুই যাচাই করতে হবে, ২- প্রমাণ সাপেক্ষে ভুল প্রমানিত হলে সেই তথ্যকে বাতিল করে দিতে হবে। আমাদের অবশ্যই বোঝা উচিত যে মহাবিশ্ব যেমন তেমনই, আমাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। - কার্ল স্যাগান, কসমস প্রথম অংশ: কার্ল স্যাগান কসমস এর "মানুষ বাদে পৃথিবীর আর কোন প্রাণীই বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে না" ... এই অংশটা নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। পুরাটাই আমার নিজের ভাবনা, তবে যুক্তিগুলো আমি বর্তমান সময়ের গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতেই দেব। আমার ধারণা হচ্ছে, মানুষ আমাদের এই পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী।

এখন কেউ যদি দেখে অনেক প্রাণী তাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করছে এবং মানুষ পরীক্ষা করে দেখছে যে তারা আসলেই একে অন্যকে সংকেত পাঠাচ্ছে !! এই সিগন্যাল পুরাপুরি অ্যানালাইসিস করার কাজ এখনও চলছে। আমার জানা মতে, একজন মানুষ তার সামনের কোন ভিজুয়্যাল ইফেক্ট থেকে ব্রেইনে যে সিগন্যাল পায় এবং যে অনুভূতি সে প্রকাশ করে তা অন্যান্য প্রাণী থেকে অবশ্যি আলাদা। তাহলে আমরা কীভাবে অন্যদের ১০০% বিশ্লেষণ করবো। কথাটা তাহলে অনুমান করে বলতে হচ্ছে যে আমরা আমাদের বিজ্ঞানকে আমরা যেভাবে ব্যবহার করি আর সংজ্ঞায়িত করি তা অন্যদের চেয়ে সবসমই আলাদা। এই ধারণাটার বেশ ভাল একটা উদাহরণ স্টিফেন হকিন্সের গ্র্যান্ড ডিজাইন বইয়ের কিছু ব্যাখ্যা।

আবার ফিরে যাই যুক্তি খণ্ডনে, মানুষ নিজেদের মধ্যে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে খুব ভালভাবে যোগাযোগ করতে শিখে ফেলেছে যদিও এই ইতিহাস খুব বেশী দিনের নয়। তাই আজও রয়ে গেছে অনেক অজানা !! খুব সম্প্রতিকালের দুটা গবেষণার ফলাফল ব্যাখ্যা করলে ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার হবে। আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক এবং গবেষক কাজ করছিলেন। আসন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রোগের জন্য ব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করায়। আসল ব্যাপার হচ্ছে বিভিন্ন রোগের বাহক প্রতিনিয়ত নিজেদের মিউটেশনের মধ্যমে শক্তিশালী করে তুলে আর তাই একসময় বাজারে প্রাপ্ত সর্বশেষ অ্যান্টিবায়োটিকও অবশ্যই বিফলে যাবে !! তাই দরকার আরো নতুন কোন সমাধান।

এই গবেষণায় তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তিনি গবেষণা করে দেখলেন যে, এই ব্যাকটেরিয়াগুলো একে অপরের সাথে যোগাযোগ করছে !! তারা সামগ্রিকভাবে একটা কাজে এগিয়ে যায়। এখন ব্যাপার হচ্ছে কখন এবং কেন। আমাদের দেহে বাসা বেঁধে আছে এমন অসংখ্য প্রজাতি কিন্তু তারা তেমন ক্ষতি করছে না। এরপর তিনি অনুমান করলেন তারা একটা ক্যামিকেল বা রসায়নিক অণু চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় এবং যার কারণে অন্যরা সেটা রিসেপ্টরের মাধ্যমে গ্রহণ করে কি করতে হবে বুঝে ফেলে।

এখন সেটা তাদের কোন পর্যায়ের কমিউনিকেশন সেটা জানা নাই এবং কি বলার চেষ্টা করছে তা জানার উপায় তৈরি হয়নি। শুধু অনুমানের উপরে একই ধরণের অণু তৈরি করে তাদের যোগাযোগকে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল একটাই সেটা হল, ওই গবেষণা ল্যাবের প্রায় সব প্রজাতির এই ক্ষমতা আছে !! তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাচ্ছে আমরা কেউ সেটা বুঝি না। তার পরের ব্যাপারটা জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিউটের। সেখানের নিউরোসাইন্স ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে দুটা ইঁদুরকে।

তাদের বিশেষ ফ্রিকোয়ন্সির কথাবার্তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু এবারো তেমন বুঝার উপায় নেই। কিন্তু অনুমান করা যাচ্ছে কি ধরণের কথাবার্তা হচ্ছে, হয়ত সামনের দিনগুলোতে তাদের এই কোড মানুষ ভাঙতে পারবে। তখন ব্যাপারটা কেমন হবে সেটাই ভাবার চেষ্টা করি। আমি জানি আরো প্রমাণ দরকার আমার ধারণাগুলোকে দাঁড় করানোর জন্য।

অন্য প্রাণী কি আসলেই বিজ্ঞানের আনন্দ থেকে বঞ্চিত কিনা সেটা শুধু সময়ের ব্যাপার। তবে আমি যখন এটা ভেবে, রেখেছি তখন আমার হাতে প্রমাণ ছিল না বা রিসার্চের ফলাফলগুলো ছিল না। বাস্তবে আমরা এমনই একটা ঘোরের মধ্যে থাকি যে, নিজের চোখে না দেখলে আমরা সব মিথ্যে ভাবার চেষ্টা করি। অথবা বলি প্রমাণ কোথায়, যেটা আমাদের অনুভূতি আর চিন্তা শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.