আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অষ্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশীদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ ।

http://www.savebangladesh.eu/index.php?start=5 ক্যানবেরা, ৩০ সেপ্টেম্বর ঃবাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লংঘন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের প্রহসনের বিচার বন্ধ ও তাদের মুক্তির দাবিতে 'অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ ফোরাম' শুক্রবার অষ্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাস্হবাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করে । সংগঠনের সভাপতি ডাঃ রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল ইন্জিনিয়ার আলতাফ হোসাইন অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্জিনিয়ার আবু ইউসুফ ও গোলাম আজম প্রমুখ । সেক্রেটারী জেনারেল ইন্জিনিয়ার আলতাফ হোসাইন তার বক্তব্য বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকার বিদেশী প্রভুদের খুশি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণের বিরুদ্ধে দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এই সরকারের লক্ষ্য কেবল জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবন্দকে শাস্তি দেওয়া নয় বরং প্রকৃত বাংলাদেশীদের কণ্ঠরোধ করে দেওয়া। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রহসনের বিচারকে ত্বরান্বিত করে এই সরকারএকটি বিষয়ই প্রমাণ করতে চাইছে আর তাহলো ইসলাম নিয়ে যারা সোচ্চার তাদের কন্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়া।

বক্তারা আরো বলেন,বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ইসলামপ্রিয়। মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী ইসলামের একজন একনিষ্ঠ প্রচারক। তার কুরআনের তাফসীরেরকারণে মানুষ ইসলাম সম্পর্কে জেনেছে। অনেকে মুসলমান হয়েছেন। মূলতঃ জনগণের মাঝ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলতেই সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে মাওলানা সাঈদীকে বিচারের নামে প্রহসন করা হচ্ছে।

বক্তরা বলেন, কথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা আচরণবিধি অনুসরণ করছেন না । প্রসিকিউশন টিমের শুনানির সময় মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে নানা অসঙ্গতি থাকলেও ট্রাইব্যুনাল নিজেই তা সংশোধন করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এটি নজিরবিহীন। যা প্রমাণ করে দলীয় লোকদের নিয়ে গঠিত ট্রাইবুনালে কোন ন্যায়বিচার সম্ভব নয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য ৪০ বছর আগে মীমাংসিত কথিত যুদ্ধাপরাধকে ইস্যু বানিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করছে।

যে আইনে জাতীয় নেতৃবৃন্দের বিচারের কথা বলা হচ্ছে সে আইন সংবিধান বিরোধী ও মানুষের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। ইতেমাধ্যেই ইউরোপ,আমেরিকার প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ব্যাক্তিবর্গ ও মনাবাধিকার সংগঠনগুলো একে কালো আইন বলে আখ্যায়িত করেছে। মূলত এই আইন প্রণীত হয়েছিল ১৯৫ জন বিদেশী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। কথিত বিচারের নামে সরকার যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে তাও আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজনদের দিয়ে। মূলত সরকার ঘাদানিকদের দিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের নামে তামাশা করছে।

আসলে সরকার জাতীয় নেতৃবৃন্দের চরিত্র হনন করতে চায়। কিন্তু এই আদালতের বিচার জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। তারা বিচারের নামে নাটক বন্ধ করে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। দেশের মানাবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখ করে সংগঠনের সভাপতি ডাঃ রাশেদুল ইসলামের বলেন, আজ পুরো দেশ একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে। পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।

মূলত দেশে এখন বাকশালতন্ত্র চলছে। এই অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে দেশের জনগণকে সোচ্চার হবার জন্যনেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ, এমনেস্টি ইন্টার ন্যাশনাল, হিউম্যান রাইট ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বাংলাদেশে আবারও শেখ মুজিবের একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে নেয়া হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপর চালানো হচ্ছে হামলা আর মামলার নীতি।

মূলত আড়াই বছরের শাসনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ এই সরকার এখন নির্যাতনে মুখে টিকে থাকার খায়েশ নিয়ে কাজ করছে। তবে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা ভেবে থাকলে ভূল করবে বর্তমান সরকার। অন্যায়ের কাছে মাথ নোয়ানো ইতিহাস বাংলাদেশী জাতিসত্ত্বার মধ্যে নেই। সময় থাকতেই গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির দিকে ফিরে আসার জন্য আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ সাম্প্রতিক কালের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর বাংলাদেশ সফরের উল্লেখ করেন বলেন, নতজানু আওয়ামীলীগ সরকার দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে ভারতে পদতলে বলি দিয়েছে।

ফ্রেইম ওয়ার্ক চুক্তির নামে একটি নয়া দাসখত স্বাক্ষর করা হয়েছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে যা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন করবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত কখনোই আমাদের সাথে সুপ্রতিবেশী সুলভ আচরণ করেনি। দেশ স¡াধীনের পর আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সাথে চুক্তির পর চুক্তি করলেও ভারত কোনো চুক্তিই রা করেনি। মূলত ভারত আমাদের কাছে অনেক কিছুই নিয়েছে, কিন্তু কিছুই দেয়নি।

কিন্তু ভারতবান্ধব সরকার তাদের মতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্যই ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে উঠেছে। সমাবেশ থেকে অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ ফোরামের সংগঠনের সভাপতি ডাঃ রাশেদুল ইসলামের ও সেক্রেটারীর জেনারেল ইন্জিনিয়ার আলতাফ হোসাইন এর নেতৃত্বে একটি একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্মারকলিপি পেশ করেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।