আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

.অবসরে ঘুরে আসুন................বিউটিফুল খাগড়াছড়ি হতে (রিপোস্ট, যারা মিস করেছেন তাদের জন্য))

তবে আকাশকুসুম সপ্ন দেখিনা...... খাগড়াছড়ি, এক অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমির নাম। প্রকৃতি যেন তার সব সৌন্দর্য চরম মমতায় ঢেলে দিয়েছে। সারি সারি পাহাড় আর নয়ন জুরানো প্রাকৃতিক দৃশ্যে মন জুরাবে যে কারও। দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহ, শ্যামশোভা বন-বনানী, উঁচু নিচু পাহাড়, সুকন্ঠি পাখির কলকাকলী সব মিলিয়ে সৌন্দর্য-মহিমার এক অনন্য অবয়ব। শহরে যেখানে খালি গাড়ির পে পোঁ, চরম যানজট, যাত্রি“ক একটা জীবন, যেখানে খালি বড় বড় অট্টালিকা ছাড়া কিছু দেখা যায়না, সেখানে চির সবুজময় খাগড়াছড়ি কিছুক্ষনের জন্য হলেও আপনাকে নিয়ে যাবে নয়ন জুরানো সবুজের জগতে।

তাই যারা অবসরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা চিন্তা করছেন তারা চোখ বন্ধ করে চলে যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়িতে। আর উপভোগ করুন দারুন এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। ক্যামেরা নেয়াটা সবার জন্য ফরজ, যদি ক্যামেরা ছাড়া যান তাহলে পস্তাতে হবে!! বলে দিলাম । খাগড়াছড়ি নিয়ে কেউ চিন্তা করলেই সবাই প্রথমে ভেবে বসে , ওখানে হয়তো সব পাহাড়ই হবে!!! অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। খাগড়াছড়ি শহর পুরোপুরি সমতলে, যেমন একটা মফস্বল শহর হয়ে থাকে।

ওখানে রিকশা বা অটোরিকশা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। মূল শহরে যেতে আলুটিলা পাহাড়টি অতিত্র“ম করে যেতে হয়। পথে যেতে যেতেই উপভোগ করতে পারেন প্রকৃতির অসাধারণ সৌন্দর্য। বাসে বসেই দেখতে পারেন পুরো খাগড়াছড়ির একটা ভিউ। আলুটিলা যেতে হলে খাগড়াছড়ি সদর হতে বাসে করে ৫-৬ টাকা ভাড়া দিয়ে যেতে পারেন।

বাইক নিয়েও যেতে পারেন যদি থাকে। প্রবেশ মূল্য মাত্র ৫ টাকা। আর গুহায় প্রবেশের মশাল ৫ টাকায় পাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি গেলে এই গুহা আর ঝর্ণা অবশ্যই পরখ করবেন না হলে ওখানে যাওয়ায় বৃথা। ১.প্রথমেই আসি পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা বিষয়ে।

বাংলাদেশে যে কয়টি পর্যটন কেন্দ্র আছে তার মধ্যে এই আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ব্যতিত্র“মধর্মী। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের মূল আকর্ষন হচ্ছে প্রাকৃতিক গুহা, যা বাংলাদেশ কেন বিশ্বের অন্য কোন দেশেও সচারচর দেখা যায়না। সত্যি বলছি কোন তেল মারছিনা। বিশ্বাস না হলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। গুগলেও র্সাচ দিয়ে দেখতে পারেন।

খাগড়াছড়ি আলুটিলার সঠিক নামকরন জানা গেলেও প্রচলিত আছে, কোন একসময় পাহাড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল আর তখন সবাই আলু খেয়ে বেঁচেছিল। এর পর থেকেই এ পাহাড় আলুটিলা নামে পরিচিত হয়ে উঠে। পর্যটন কেন্দ্রে নামার সাথে সাথে দেখতে পাবেন অনেক বছর পুরোনো বিশাল একটা বট গাছ, যেখানে খোদাই করা কিছু কবিতা লেখা আছে। প্রবেশ পথ এ ঢুকেই প্রথমে চোখে পড়বে একটা সাইনর্বোড, যেখানে আপনাকে এই চরম রহস্যময় গুহার এডভেঞ্চার এর জন্য আহবান করা হয়েছে। ডানে যে রাস্তাটি পড়বে ওটা দিয়ে গেলে দেখতে পাবেন একটা পর্যবেক্ষন টাওয়ার আছে যেখান হতে পুরো খাগড়াছড়ি শহরের দৃশ্য দেখা যায়।

সোজা রাস্তাটি রহস্যময় গুহার পথ। সে রাস্তা দিয়ে এগিয়ে গেলে আপনি কিছু সিড়ি বেয়ে গুহায় চলে যেতে পারবেন। .................................................. তার পর উপভোগ করুন আপনার জীবনের দারুন অডভেঞ্চার। আমি গ্যারান্টি দিলাম এটা হবে আপনার জীবনের অন্যতম সেরা অডভেঞ্চার। বিফলে মূল্য ফেরত!!! ২. এবার আসি রিচাং ঝর্ণা নিয়ে।

রিচাং মানে হচ্ছে প্রবাহমান। ঝর্ণাতো ঝণায়। এখানে যেতে হলে আপনার আগে শারারীক ভাবে শক্ত হতে হবে। প্রচুর হাটতে হবে। অবশ্য গাড়ী বা বাইক নিয়ে গেলে অন্য কথা।

অনেকক্ষন হাঁটার পর ঝর্ণার সিড়ি দেখতে পাবেন। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যান ঝর্নার দিকে। ঝর্নায় গেলে, যে করেই হোক গোসল করবেন আর স্লিপিং দেবেন! না হলে ঝর্নার মজা পুরোপুরি বুঝতে পারবেন না। আর খালি ক্যামেরার ক্লিক করতে থাকুন আর হাজার হাজার ছবি তুলতে থাকুন। ৩.ঘুরে আসুন বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি নিউজিল্যান্ড থেকে!!! হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ড নাম করনের কারনটা অনুমান করুন।

নিউজিল্যান্ডে যাবেন অবশ্যই বিকেলের রোদ কমে এলে। ৫ টার পর। ৪.আর বর্ণনা দিয়ে অর্ধোয্য করতে চাচ্ছিনা। নিজে এসেই পরখ করুন। তার পরেও যেসব জায়গায় যেতে ভুল করবেন না তা হলো- অরন্য কুঠির, দেবতা পুকুর, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, চা বাগান, হেরিটেজ র্পাক, সবুজবাগ, নিউজিল্যান্ড, দিঘীনালা ঝর্ণা, নুনছড়ি, পর্যটন মোটেল, গঞ্চপাড়া ব্রীজ, ৫. এবার ভিডিও দেখে নিন আর বুঝুন কি মিস করছেন............ ঝর্ণা রহস্যময় গুহা View this link  কিভাবে যাবেন: ১. ঢাকা থেকে কমলাপুর, গাবতলী, কলাবাগান, টিটি পাড়া, ফকিরাপুল হতে খাগড়াছড়ির বাস পাওয়া যাবে।

এক্ষেত্রে এস.আলম, শ্যামলী, স্টার লাইন, সৌদিয়া , রিফাত পরিবহন আছে। সবচেয়ে ভাল হবে শ্যামলী, এস.আলম তারপর স্টার লাইন । বাকীটা আপনাদের ব্যাপার। ভাড়া ৩০০-৩৫০ টাকা। গাড়ী পাবেন সকাল আর রাতে।

রাতে ফকিরাপুল, কলাবাগান এ গাড়ী পাবেন্। ২. চট্টগ্রাম হতে অক্রিজেন মোড় হতে শান্তি পরিবহন এ করে যাওয়াটাই সবচেয়ে বেটার। ভাড়া ১৫০ টাকা।  কোথায় থাকবেন: পর্যটকদের জন্য খাগড়াছড়িতে রয়েছে অনেক আবাসিক হোটেল। পর্যটন মোটেলে থাকতে পারেন , জিরান হোটেল, হোটেল শৌল্য সুবর্ণ, থ্রী স্টার হোটেল, হোটেল লবিয়ত।

তারপরও জানার আগ্রহ থাকলে মোবাইলে গুতা দিয়েন । হেল্প পাবেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।