পারসোনায় নারীর উদোম শরীর ভিডিও করার ঘটনা ধরা পড়েছে আজ। বনানীর ১১ নম্বর রোডে অবস্থিত পার্সোনায় সেবা নিতে আসা এক নারী গোপণ ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করার ঘটনা উদ্ধার করেন। এ ঘটনাকে দেখে প্রথমে প্রতিবাদ করতে গেলেও তিনি কোন পাত্তা পাননি। তার ডাক্তার স্বামী এসে ভিডিও করা দৃশ্য মুছে ফেলার জন্য চাপ দিলেও পার্সোনার কর্মীরা তা পেনড্রাইভে সেভ করার চেষ্টা করেন। ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুলশান থানা পুলিশ পার্সোনায় অভিযান চালিয়ে একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও কম্পিউটার হার্ডডিস্ক জব্দ করেন।

পারসোনার মালকিন কানিজ আলমাস খান মিডিয়াকে জানান,‘একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের ভুলের কারনে সিসি ক্যামেরাটি সামান্য ঘুরে যায় ফলে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে’ অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আমি মনে করি এই ঘটনাকে কোন ভাবেই মালকিন কানিজের দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে সুরাহা করা যাবে না। অব্যশই তাকে ও ওই শাখার সব কর্মীকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দিতে হবে। যার পরিমাণ কোন ভাবেই যেন ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নিচে না হয়। একই সাথে দেশের সব জায়গাতেই পার্সোনার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে তাদের সব কর্মীকে আটক করে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।

সেখানে তাদের ৭ বছর ব্যাপী সিভিল রাইটস্ বিষয়ে তালিমের ব্যবস্থা করতে হবে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে এ কাজটা কিভাবে হবে? অবশ্যই যে সব নারী ও বালিকা বিউটি পার্লারে সেবা নেন তাদের সবাইকে এ জন্য কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে পার্সোনারটা ধরা পড়েছে বলে,শুধু তারাই এ কাজ করে ব্যাপারটা এমন না। সব বিউটি পার্লারকে সম্ভাব্য অপরাধী মনে করতে হবে। এখন আমরা দেখতে চাই নারীরা কতুটুক গার্ল পাওয়ার দৃশ্যমান করতে পারেন।

আমরা দেখতে চাই তারা লাজ-লজ্জার মতো ফালতু ব্যাপারের পুজো করেন না মানুষ হিসেবে নিজের মর্যাদার প্রতি নজর দেন। তা না হলে এমন ঘটনা চর্চিত হওয়ার প্রথাগত সুযোগ তৈরি হতে পারে। কানিজ আলমাসগংকে পাকড়াও করে নারী ও বালিকাদের অবশ্যই গার্ল পাওয়ার দৃশ্যমান করতে হবে। http://www.amarbornomala.com/details9368.html ।