আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খোলামেলা দৃশ্যে সিনেমার প্রয়োজনে

সিমোর কাহিনী বা স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনে আমি সাহসী ও খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করতে পারি। - পুনম পান্ডে ছবির গল্পের প্রয়োজনে একজন অভিনেত্রীকে সব ধরনের অভিনয় করতে হয়। - রাইমা সেন ছবিটি করতে গিয়ে বেশ কিছু খোলামেলা ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছি এটা ঠিক, তবে তা চরিত্রের প্রয়োজনে। - মল্লিকা শেরওয়াত কাজের প্রয়োজনে আমি এখনও বিছানার দৃশ্যে কিংবা খোলামেলা হয়ে দর্শকদের আনন্দ দিতে কুণ্ঠাবোধ করবো না। - নেহা ধুপিয়া চরিত্রের প্রয়োজনে আমি আগেও বিভিন্ন ধরনের দৃশ্যে কাজ করেছি, সব সময়ই করবো।

যে কোন পোশাকই আমি পরতে রাজি চরিত্রের প্রয়োজনে। - উদিতা গোস্বামী চরিত্রের প্রয়োজনে আমি যে কোন পোশাক এবং যে কোন দৃশ্যে অভিনয় করতেই রাজি। এটা আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি। - প্রাচী দেশাই 'ছবির কাহিনীর প্রয়োজনে এ ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করেছি। এসব দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে মোটেও বিব্রত হইনি।

কারণ দৃশ্যগুলো খুবই শৈল্পিকভাবে ধারণ করা হয়েছে। - শিল্পা শেঠী ছবির চরিত্রটাকে ফুটাতে যা যা করা দরকার তা তো করতেই হবে। আর বাসত্মব জীবনে আমি তো অনেকবারই বিকিনি পরেছি। তবে পরতে অসুবিধা তো দেখিনি। আর যদি সমুদ্রসৈকতে শুটিং করতে হয় তবে তো বিকিনি ছাড়া অন্য কোন উপায় খুঁজে পাওয়া যাবে না।

- সোনম কাপুর ============================================= কোন কোন লেখার শুরুতে কারও কারও বাণী দিতে হয় - সেক্ষেত্রে লেখার গুরুত্ব বাড়ে, যেমন 'চরিত্র' নিয়ে রচনার শুরুতেই ইংরেজিতে লিখতে হয় - "ইফ ওয়েলথ ইজ লস্ট নাথিঙ ইজ লস্ট, ইফ হেলথ ইজ লস্ট সামথিঙ ইজ লস্ট বাট ইফ চ্যারেকটার ইজ লস্ট অল ইজ লস্ট" এইটা কিন্তু কোইনসিডেন্স - সিনেমার নায়িকাদের বক্তব্যের সাথে চ্যারেকটারের কোনই সম্পর্ক নাই - আচানক মাথায় চলে আসছে আর লিখসি। সম্পর্ক যেটা তা হলো বাচ্চাকালের কথা। বাচ্চাকালে চরিত্র নিয়া রচনা শিখেছি - সাহিত্যে তাকে শৈশব বলে। পরবর্তীতে আরেকটু বড় হয়ে, কৈশোরে পৌছে সরাসরি চরিত্র নিয়া কোন রচনা মুখস্ত করতে হয় নাই, সেটা মাদকাসক্তি আর ছাত্ররাজনীতির দিকে ধাবিত হয়েছিল। আরও পরে কৈশোরের শেষ দিকে ছাত্ররাজনীতি থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ন হয়েছে আর এখন (যদিও আমি সেই দলে পড়ছি না) সরকারী চাকরী বিশেষত ক্যাডার হওয়ার জন্য 'সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধ' কিংবা 'রিসেন্ট আপরাইজিং ইন মিডল ইস্ট' বিশেষ গুরুত্বপূর্ন হয়ে দাড়ায়।

কিন্তু রচনার টপিক কি সেইটা পয়েন্ট না, পয়েন্ট হলো বাচ্চাকাল। বাচ্চাকালের সাথে সিনেমার নায়িকাদের স্বল্প পোশাক পরার সম্পর্ক খুব দূরের নয় - সেই বাচ্চাকাল থেকেই পত্রিকার পাতায় বিভিন্ন সময় সে যুগের গুরুত্বপূর্ন নায়িকাগন বেশ দাপটের সাথে 'সিনেমার গল্পের প্রয়োজনে আরও খোলামেলা হতে রাজী' থাকার ঘোষনা দিয়েছেন, খোলামেলা হয়েছেন এবং সময়ের পরিবর্তনে সব পাল্টানোর মতোই এ যুগের নায়িকাগন স্বল্প পোশাকের উপস্থিতির প্রসংগ পাল্টে দিয়েছেন চুমু কিংবা বেডসিনে নগ্নতায়। আধাঘন্টা গুগলমামাকে খাটিয়ে যে কটা উক্তি পাওয়া গেল তা উপরে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে এর সবকটিই ভারতীয়, বিশেষত: কোলকাতার। ঢালিউড, বাংলাদেশ, ক্ষেত্রবিশেষে দেশীয় নায়িকাদের নাম লিখে খোজাখুজি করলেও তেমন কোন নিশানা পাওয়া গেল না সত্যি, কিন্তু তাই বলে আমাদের দেশীয়রা এই কথা বলেন না - এমন উক্তি কিন্তু সত্যি হবে না, তবে সেই রেফারেন্স টানতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকার আর্কাইভ রুমে মুখ গুজে পড়ে থাকতে হবে নিশ্চিত। সিনেমা নিয়ে লিখতে লিখতে একটা ভুল ধারনা তৈরী হয়েছে গুটিকয়েক যে পাঠক রয়েছেন তাদের মধ্যে - সিনেমাবোদ্ধা হয়ে গেছি মনে করেন কেউ কেউ।

তাদের এবং সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি - এটা নিতান্তই ভুল ধারনা, পুরাই অসত্য - নির্ভেজাল ভুল। আর্ট ফিল্ম বলতে কি বোঝায় সে বিষয়ে আমার কোনই ধারণা নাই, আফ্রিকান সিনেমায় কে সবচে' গুনী পরিচালক সেটা জানার জন্য আপনাদের মতোই আমিও গুগল মামার শরনাপন্ন হই এবং অমুক সিনেমার ওএসটি দারুন আর তমুক সিনেমার কাস্টিং ভুয়া - এইসব বলার কোনই ক্ষ্যামতা আমার নাই। এই না জানার ডিকশনারীতে আরও একটা জিনিস আছে - সেটা হলো সিনেমার চিত্রনাট্য বা গল্পের প্রয়োজনীয়তা কি রকম হলে একজন ভদ্রমহিলা তার পোশাককে স্বল্প থেকে স্বল্পতর করেন এবং কতটুকু গুরুত্বপূর্ন জীবনমুখী বাস্তবতাপূর্ন কাহিনী হলে পাওলী দাম সম্পূর্ন নগ্ন হয়ে বাংলা সিনেমাকে বিশ্বমানে উন্নীত করেন সেটা সত্যিই আমি জানি না, এখন পর্যন্ত বুঝি নাই। আমি কি কোন নায়িকার নাম নিয়ে ফেললাম নাকি? আমার দোষ নাই, প্রথম আলো যদি মোবাইলে সাক্ষাতকার নিতে পারে, তারপর পত্রিকায় ছাপায় - "গল্পের প্রয়োজনেই বিশেষ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে। কিন্তু কোথাও স্থূল কিছু নেই।

", তাহলে আমি নাম নিয়া নিশ্চয়ই তেমন বড় কোন পাপ করি নাই, সগীরা গুনাহ আল্লাহ মেহেরবান মাফ করবেন আশা করি। সুতরাং সব কথার সারমর্ম হলো (রচনা যদি আসতে পারে, সারাংশ সারমর্মও আসা উচিত) - গল্পে কিংবা চিত্রনাট্যে কি থাকলে, কতটুকু প্রয়োজন বা কি প্রয়োজন হলে এমন কর্ম সাধন করা যায় সে বিষয়ে জানার বিস্তর আগ্রহ বোধ করি - আশা করি ব্লগের শিক্ষিত সমাজ এর জবাব দানে মূর্খের অন্ধত্ব দূর করবেন। বি.দ্র: ব্লগার রন্টি চৌধুরী র জ্ঞানগত যোগ্যতার উপর ভিত্তি করেই এত প্যাচাল, কারণ তিনিই তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ' ... পুরাই পর্ন, শিল্প টিল্প কিছু নয়' লিখেছেন যা আমার চিন্তার উদ্রেক ঘটাতে সাহায্য করেছে। সিনেমার নায়িকা পরিচালক থেকে শুরু করে সিনেমা উৎসবের জুরী যেখানে প্রয়োজন অনুভব করে বাহবা দিয়েছেন, সেখানে সিনেমার মূল দর্শক, ম্যাংগো পিপলদের একজন প্রতিনিধি সেই প্রয়োজন কেন বুঝতে ব্যর্থ হলেন সেটা সত্যিই গো+এষনা= গবেষনার বিষয় বৈকি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.