আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রায় প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভে গণজাগরণ মঞ্চ

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হয়।
তার বিরুদ্ধে একাত্তরে ব্যাপক মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উস্কানি, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেয়ার পাঁচ ধরনের অভিযোগই প্রমাণিত হয়।
এসব অপরাধে গোলাম আযমকে মোট ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
রায় শোনার পরপরই বেলা পৌনে ২টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থানরত গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। এতে রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


রায় প্রত্যাখ্যান করে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “এ রায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকটি মানুষকে হতাশ করেছে। গণজাগরণ মঞ্চ এ রায় প্রত্যাখ্যান করছে। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান করবো। ”
মঞ্চের অন্যতম মুখপাত্র মারুফ রসুল বলেন, “এ রায় আমরা মানি না। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে আমরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছি।


শাহবাগে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিল নিয়ে মৎস্যভবন, হাইকোর্ট এলাকা ঘুরে আবার শাহবাগ মোড় সমবেত হবেন বলে মঞ্চের নেতারা জানিয়েছেন।
যুদ্ধাপরাধে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে অবস্থান নেয় তরুণরা।  তাদের সঙ্গে সংহতি জানায় নানা শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ। যুদ্ধাপরাধের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের ওই অবস্থানের নাম হয় গণজাগরণ মঞ্চ।

তাদের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি টানা অবস্থানের সমাপ্তি ঘোষণা করলেও যে কোনো যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের আগের দিন শাহবাগে অবস্থান করে আসছে গণজাগরণ মঞ্চ।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতেও ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা।
রোববার সন্ধ্যা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব দেয়া গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
এদিন জামায়াতে ইসলামীর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রতিরোধের ডাক দিয়েও মিছিল করে তারা।

মিছিল থেকে গোলাম আযমের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে দেয়া হয় নানা স্লোগান।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।