আজও সে ইরাকি শিশুর আতঙ্কটাকে বুঝে উঠতে পা্রিনি; নিস্পলক চোখে যে আপন আকাশে দশাসঁই দৈত্য-দানো আর যমদূতদের নেমে আসতে দেখেছে। হয়ত বুঝতেও পারেনি মাথার উপরে ভীনদেশী ওই যুদ্ধ-বিমানগুলো এসেছে তাকেই শান্তিতে রাখবে বলে।
বুঝলেও কি বিশ্বাস করত সে? বুঝতে পারিনি তাও।
এর আগে এক আফগান বালিকার নির্বাক দু'চোখ মননে গেঁথে গিয়েছিলো; হঠাৎই যা কেড়ে নিয়েছিলো সহস্র মাইল দূরবর্তী সবুজ উপত্যকাবাসী বাঙাল পিতার ঘুম। যদিও তার রক্তাভ ধূসর গগনে প্রতিদিন সন্ধ্যায় নিয়ম করে ওড়ে শহুরে চিল আর বাঁদুরের দল।
নাগরিক কোলাহলের ভীড়েও তখন সে নিজেকে হারায় অন্যকোথাও। তবে ঠিক ঈশাণ কোণ বরাবর যখন ওই চিলগুলোর সাঁড়িবদ্ধ যাত্রা শুরু হয়; শকুণ হয়ে যায় ভাবনার সব পাখি। ওরা যেন মাথার উপর ঘুরে ঘুরে মৃত্যু প্রার্থনা করে।
এরপর ন্যায়-অন্যায়ের সব নতুন সংজ্ঞা আর নবাগত নীতিমালা দেখে বুঝে গিয়েছি- আমার অনাগত সন্তানের চোখেও জন্ম নিয়েছে সমরাস্ত্রের ঝলকানি। তবু আজও রাষ্ট্রসংঘের পুরানো মঞ্চে কারা যেন নতুন নাটক মঞ্চস্থ করায় ব্যস্ত; আর তার খবর ছেপে ছেপে সভ্যতার কবর খুঁচে যায় অজস্র 'পুঁজিমাধ্যম'।
তারা সযন্তে দীক্ষা দেয় অবদমনের; যা বার বার বলে যায়- কারোই করার নেই কিছু।
হয়ত এ ভবিতব্যই বলে গিয়েছিলো রুক্ষতায় বিদীর্ণ সেই আতঙ্কিত চোখগুলো; নয়ত কোন পিতার বুকে জাগাতে চেয়েছিলো নতুন বিদ্রোহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।