আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনা তার এক প্রভাবশালী মন্ত্রীকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে ব্যার্থঃ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হত্যার আদেশ দিয়েছেন তারই এক সহকর্মীকে। সহকর্মী একজন মন্ত্রী। খবরটি চমকে ওঠার মতই। তবে ঘটনাটি আজকের নয়। এটি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের একদম ভেতরের তথ্য।

রাষ্ট্র ক্ষমতা তখন আওয়ামী লীগের হাতে। সরকারের ভেতরে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ডঃ তখমাধারি সেই আমলা কাম প্রতিমন্ত্রি। তার দাপটে প্রধানমন্ত্রী দিশেহারা। কার ভারতীয় লবি বেশী শক্তিশালী সেই গোপন মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলছে। নিজের দপ্তরে শীর্ষ আমলা বানিয়েও যখন নিজেই দিশেহারা প্রধানমন্ত্রী, তখন সেই আমলাকে কোয়ার্টার মন্ত্রী বানিয়ে নিজের দপ্তর ছাড়া করলেন।

তাতেও যখন সুবিধা হচ্ছিল না তখনি চূড়ান্ত আদেশটি দিলেন অতি সঙ্গোপনে। নতুন দায়িত্ব নেয়া গোয়েন্দা প্রধানকে একান্তে আদেশটি দিলেন। চতুর গোয়েন্দা প্রধান খোঁজ নিয়ে দেখলেন, মন্ত্রী সাহেব সেগুন বাগিচা এলাকায় একজন প্রকৌশলীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। সপ্তাহের কয়েকটা দিন তিনি নিজেই ড্রাইভ করে চলে যান শয্যা সঙ্গিনীর কাছে। এসময় সরকারী নিরাপত্তা, গাড়ি বা নিজের কোন মোবাইল তিনি ব্যাবহার করতেন না।

গোয়েন্দা প্রধান খবরটি পৌঁছে দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী সায় দিলেন সেগুনবাগিচায় নিরাপত্তাহীন ভারতীয় আশীর্বাদ প্রাপ্ত সেই মন্ত্রিকে হত্যার নীল নকশায়। গোয়েন্দা প্রধান সুকৌশলে এই হত্যাকাণ্ড চালানোর দায়িত্ব দেন একটি গোপন সংগঠনের লোকদের। গোপন সংগঠনের লোকজন যখন টের পেল বাঘ মারতে শত্রু পাঠান হচ্ছে, এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুন্দর কৌশল তারা বুঝে ফেলে। তখন তারা সটকে পরে।

লুকিয়ে যায় তারা। এমনিভাবে প্রধানমন্ত্রীর ঐ হত্যা মিশন বিফল হয়। বেঁচে যান ঐ প্রতিমন্ত্রী। কালের বিবর্তনে ঐ প্রতিমন্ত্রী দলের শীর্ষ নেতাদের একজন হয়ে যান ভারতীয়দের হস্তক্ষেপে। কিন্তু এবারের সরকারে প্রধানমন্ত্রী সরকারের বাইরে রাখেন সেই ডক্টরকে।

কিন্তু শেষমেশ বাধ্য হন সরকারে নিতে। এমনকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়টি তাকে দিতে হয়, যাতে ভারতীয়দের সুবিধা হয়। মনের দুঃখে প্রধানমন্ত্রী তাকে দলের পদ থেকে বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু এবারে আর হত্যার চিন্তা করতে পারেন না। কারন হত্যার মন্ত্রণালয়টি এবার সেই ডক্টরেরই হাতে।

পাঠক এই হল রাজনীতির গোপন খেলা। আপনারা বুঝে নিন চরিত্রগুলো কে কোথায়। তবে এবারে উল্টো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা তার খবর রাখা কঠিন হচ্ছে। রাজনীতিতে সবই সম্ভব। যেমন সম্ভব হয়েছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট।

অস্ত্র হাতে নিজের একটা মানুষও বা বাহিনীর লোকজন প্রতিরোধ করতে বেরিয়ে আসে নাই। ইতিহাস বড় নির্মম; আরও নির্মম হল রাজনীতির দাবার চাল। এখানে কে যে কার কেউ জানে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।