আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শম্পা নিখোঁজ, -‘প্রশাসনের’ দোষ , -শব্দার্থ দূষণ

***** রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপূর্ণ পদে আছেন, এমন অনেকেই ফেইসবুকে বসেন, সেই কারণেই হোক কিম্বা ভিন্ন কোনো কারণেই হোক, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আগামীকাল দুপুর গড়ানোর আগেই শম্পার বাবা-মা তাদের মেয়েকে অথবা মেয়ে-জামাই জুটিকে এমনভাবেই ফিরে পাবেন যেন কিছুই ঘটেনি। ততক্ষণ ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নিশ্চয়ই ধৈর্যধারীরাই ঐশ্বরিক ভালোবাসা পায়। এমনও হতে পারে, দূরসম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের বাড়িতেই আছে শম্পা। থানার ওসি আব্দুল মতিন রাষ্ট্রের সামান্য বেতনভোগী বন্দি ভৃত্য মাত্র।

আমি পুলিশের বিপক্ষেও নই, পক্ষেও নই। একজন সাধারণ দেশবাসী হিসেবে যট্টুকুন বুঝি, রাষ্ট্রের দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে কেউ যদি স্বেচ্ছাচারী হয়, তার উদাহরণ পিপীলিকার পাখা গজানোর মতোই। নিছক আন্দাজের উপর ভিত্তি করে ‘প্রশাসন তাদের অবহেলা অব্যহত রেখেছে’ এমন মন্তব্য করার যেমন কোনো অর্থ খুঁজে পাই না, তেমনি ‘দায়িত্বে নিয়োজিতরা’ না-বলে ‘প্রশাসন’ শব্দটা ব্যবহার করার মধ্যে অশ্লীলতা বা অজ্ঞতার গন্ধ পাই, --যখন আমরা জানি যে, গণতন্ত্রে মালিক, শাসক, কর্তা ইত্যাদি শব্দ বা পদবী কেবল রাষ্ট্রের প্রভু হিসেবে জনগণ বা জনসমষ্টির জন্যেই সংরক্ষিত। কোনো বেতনভোগী কর্মীকে প্রভু রূপে পদবীভুক্ত করলে, সম্মানিত ঐ রাষ্ট্রভৃত্যের মর্যাদা তো বাড়েই না, বরং ক্ষতি যা’ হয় তা’ হয় মালিক জনগণের, --গণমালিকেরা তাদের রাষ্ট্র বা দেশটিকে নিজেদের মালিকানাভুক্ত দেশ হিসেবে নিতে পারে না, নিজেদেরকে রাজতন্ত্রের আশ্রিত দায়িত্বহীন প্রজা হিসেবে ভাবতে থাকে। দায়দায়িত্বহীন প্রজা হিসেবে আত্মমর্যাদাহীন জনসাধারণ তাদের প্রতিনিধিদেরকে রাজা বা প্রভু হিসেবে ভাবলে, প্রতিনিধিরা তখন জবাবদিহি করার মতো কোনো মালিকগোষ্ঠী খুঁজে পায় না রাষ্ট্রে।

গণতন্ত্র তখন অপ্রকাশমান হয় কাজীর সেই গরুর মতো, খাতায় ঠিকই আছে, কিন্তু গোয়ালে নেই। শুধু কিছু শব্দ বা শব্দার্থ দূষণের কারণে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে যাচ্ছে কিছু অতিসচেতন অসভ্য মানবসন্তান। এরা সমষ্টির সম্মানিত প্রতিনিধিকে ব্যক্তিগত প্রতিনিধি এবং সম্মানিত রাষ্ট্রভৃত্যকে পারিবারিক বা দলীয় চাকর হিসেবে খাটানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করছে ভীতু বা অজ্ঞদের কাছ থেকে। যার যা খুশি করে যাক, বাহুল্য প্যাঁচাল বাড়ানোর সময় এটা নয়। শম্পা আজকের দুপুর গড়িয়ে যাবার আগেই অক্ষত অবস্থায় বাবা-মার কাছে ফিরবে, -সকলে মিলে যেন সেই প্রার্থনা আর ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে পারে, সেই কামনাই করছি এখন।

ফিরে এসো শম্পা, গোটা বিশ্ব তোমার পথ চেয়ে আছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।