আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার অবশেষে যোগাযোগমন্ত্রী...........

নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন ব্রেকিং নিউজ !!! । । । । ।

। । । । ।

। । । না । যা ভাবছেন তা না ।

পদত্যাগ করেন নি যোগাযোগমন্ত্রী । ভুলে গেলে চল্বেনা এটা বাংলাদেশ । এখানে মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেন না । তাহলে কি করলেন তিনি তাই পড়ুন হুবহুঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে ‘সততার প্রত্যয়নপত্র’ চেয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। এ বিষয়ে তিনি দুদকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বলে দুদক সূত্র জানায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যোগাযোগমন্ত্রী দুদকে চিঠি দিয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে তদন্ত করে সত্য ঘটনা জাতিকে জানানোর আহ্বান জানান। দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুদক কাউকে কোনো ধরনের প্রত্যয়নপত্র দেয় না। তবে কোনো মামলা নথিভুক্ত অর্থাৎ অনুসন্ধান শেষে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তার বা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগটিকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ’ ‘সততার প্রত্যয়নপত্র’ চাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী মুঠোফোনে বলেন, ‘এটা (সততার প্রত্যয়নপত্র) অসত্য তথ্য। মিডিয়া শুধু শুধু গল্প ও অসত্য তথ্য প্রকাশের চেষ্টা করে।

’ মন্ত্রী জানান, দুদক আগে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিল। সেগুলো অনুসন্ধান করে কিছু না পাওয়ায় তাঁকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন সম্পর্কে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি ব্যবসায়ী মানুষ। ব্যবসায়ীরা মন্ত্রী হলে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রচারণার শিকার হন। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগে অনুকম্পাপ্রাপ্ত আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন ও পদোন্নতির ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে বিরূপ ধারণা জোরদার হয়েছে।

’ পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে গোলাম রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির বিষয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের কাছে একটি অভিযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কানাডিয়ান কোম্পানির বিরুদ্ধে সে দেশের পুলিশ অনুসন্ধানে নেমেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের ভেতরের দুর্নীতি রয়েছে কি না তা অনুসন্ধান করবে দুদক, যাতে প্রকল্পটি স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়িত হয়। এই বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল ইসলামকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। দুদকের চেয়ারম্যান আরও বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি দেওয়া হবে, তাতে পারস্পরিক আইনগত সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হবে।

সম্প্রতি উইকিলিকসে প্রকাশ করা ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক তারবার্তায় যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের ‘সততার ঘাটতির দুর্নাম’ আছে বলে উল্লেখ করা হয়। পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং তা কানাডা সরকার তদন্ত করছে। ফলে দেশের গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হন যোগাযোগমন্ত্রী। এর সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অবহেলায় বেহাল সড়ক-মহাসড়ক এবং জনভোগান্তির বিষয়। মন্ত্রীর চিঠির জবাব: গতকাল সোমবার দুদক যোগাযোগমন্ত্রীর চিঠির জবাব দিয়েছে।

তাতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুবিধাজনক সময়ে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এই মতবিনিময় সভা আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। টিআইবির কাছে ধরনা: এর আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) কাছে গণমাধ্যমে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কথিত দুর্নীতির বিষয়ে ‘অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক’ প্রচারণার যৌক্তিকতা অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছেন আবুল হোসেন। টিআইবি সূত্র বলছে, মন্ত্রী এখন টিআইবির সাহায্য চাচ্ছেন। কিন্তু ২০০৯ সালের জুলাই মাসে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে সম্ভাব্য দুর্নীতি ঠেকাতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে টিআইবির সঙ্গে একটি সততা চুক্তি করার আহ্বান জানালে মন্ত্রীর তাদের ফিরিয়ে দেন।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় তিনি এখন তাঁর ভাবমূর্তি উদ্ধারে টিআইবি ও দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হচ্ছেন। আজকের প্রথম আলো থেকে সংকলিত । Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.