আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিসফিসিয়ে জোনাকিরা যে কথাটি বলে যায়

যা লিখি, হয়ত কিছুই লিখি না। যা লিখব হয়ত অনেককিছুই লিখব। আসল কথা হলো, গল্প ছাড়া কিছুই লিখতে পারি না # পলেস্তরা খসে পড়া ঘর, ঝুল মাখা ছাদ; কাঁচবিহীন জানালাবন্দী আমি ক্রমশ গতিহীন হয়ে পড়া ফ্যানের বাতাসে হাত পা ছড়ানো অবস্থায় প্রতিদিন বিষণ্ণ, নিস্তেজ সকালে নিজেকে আবিষ্কার করি। দেখি- চোখ দু’টো খোলা অবস্থায়,তিরতির করে কাঁপতে থাকা চোখের পাতায় ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়া, স্বপ্নের ভারে ক্ষয়ে যাওয়া বৈশিষ্ট্যহীন আমাকে। রাতে জেগে থাকি ঘুমের ভেতরে, টের পাই চারপাশে নিঃস্তব্ধ প্রকৃতি ফিসফিসিয়ে কথা বলে, রাতপাখি ডানা ঝাপটায় নীরবে, জোনাকিরা ভিড় জমায়, আলো আসে পিটপিট করে।

আকাশ থেকে নেমে আসে প্যারাট্রুপার, ঝাঁকে ঝাঁকে সৈন্য। হঠাৎ শুরু হয় তাদের অভিযান, এই ধর ধর। কেউ পালাতে থাকে, পদশব্দের পেছনে ছুটে চলে পদশব্দ, গুলির শব্দ, হৈ-চৈ; আমি সব শুনতে পাই, তবু আমার চোখ বন্ধ থাকে। এগুলো নিত্যরাতের ঘটনা। সামান্য এদিক ওদিক হয় কেবল, আমি দেখি, অনুভব করি।

মাঝে মাঝে সকালে উঠে সৈন্যরা কাকে ধরার জন্য আসে খুব জানতে ইচ্ছে করে। কখনো বের হয়ে খুঁজে দেখি পায়ের ছাপ কিংবা প্যারাট্রুপার নামার কোনো চিহ্ন। এই অর্থহীন সন্ধান চেষ্টা আমাকে নির্ভার করে, কোনো বিপদসঙ্কুল তরুণকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা দূরে সরিয়ে দেয়। আর আজ সকালে ঘুম ভাঙার পর অনেকদিন পর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল; আমি একসময় ছবি আঁকতে পছন্দ করতাম। এদিকে গতকাল রাতে মা’র চিঠি এসেছে।

চিঠিটি আমার ড্রয়ারবিহীন টেবিলের উপর এককোণায় পড়ে আছে অযত্নে, অবহেলায়। আমি পড়িনি এখনো। এই চিঠিই কী তবে ছবি আঁকার কথা মনে করিয়ে দিল? হঠাৎ খুব ইচ্ছে হলো, একটা রাস্তার ছবি একে ফেলি, যেখানে আমি দৌঁড়াবো কিংবা হাঁটব কিন্তু আমি জানি আজ এতদিন পর আমি ঘরের কোথাও পেন্সিল, কলম, রং কিছুই খুঁজে পাব না; ওগুলো হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির মলাটের কোনো এক গহবরে পড়ে আছে। আমি তাই শুয়েই থাকি। আলো বাড়ছে বাইরে।

সৈন্যরা চলে গেছে, জোনাকিরা বিশ্রামে, তবে জানি আজ রাতেই ঠিক আবার আসবে। আমি কী কাল রাতে কিংবা তার আগের রাতে অথবা তারও আগে কোনো এক রাতে কী ঘুমিয়েছি? জোনাকিরা আমাকে কী বলতে চায়? সৈন্যরা এসে কাকে খুঁজে? আমাকেই কী? আমি এতসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দিনের শুরুতেই বিষণ্ণ হয়ে যাই। আর শুরু হয় আরেকটি বিষণ্ণ দিন। # শুক্রবার দেখে বোধহয় রাস্তাঘাট ফাঁকা। আজ আমার কোনো টিউশনি নেই।

বন্ধু-বান্ধবের সাথে যোগাযোগ নেই। কোথাও চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবার তাড়া নেই। সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। চায়ের দোকানের ছোট ছেলেটি চুপচাপ ব্যস্ত চা বানাতে, বুড়ো ভিক্ষুক শকুনের চোখ নিয়ে বসে আছে মানুষের অপেক্ষায়, কারেন্টের তারে বসা কাকগুলো উড়ছে, বসছে; একদন্ড স্থিরতা নেই। অথচ আজ আমার অখন্ড অবসর।

আমি ভবঘুরে হয়ে হেঁটে বেড়াই গলি থেকে গলিতে, পথ থেকে পথে। আকাশটা দেখে মনে হচ্ছে কেউ যেন জলরঙে এঁকেছে, মনে হচ্ছে কেউ কোথাও ভালোবেসে কাঁদছে। নীলের মাঝে বিশাল বড় বড় সাদা সাদা ছোপ দেয়া, নীল রং পুরোটাই গায়েব হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মনে নাকি আমার মনে? আজ বাসায় থাকতে পারতাম। অনেকদিনের অনভ্যাসে মলিন হয়ে যাওয়া রং তুলিতে ঝড় তুলতে পারতাম। বাসায় রং নেই, তাতে কী হয়েছে? মনের ক্যানভাসে ছবি আঁকা যেত অথবা পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রবন্ধ, গল্প পড়ে কিছু সময় কাটিয়ে নিজেই কিছু একটা লেখার চেষ্টা করা যেত।

কিন্তু থাকতে পারি না। ভোরের আলো ফুটলে বাইরে বের হওয়ার জন্য হাত-পা অস্থির হয়ে ওঠে, যেন তারা আমার নিয়ন্ত্রনে নেই, আমাকে চালাচ্ছে অন্য কোনো মানুষ কিংবা ইশ্বর অথবা লুসিফার। ইশ্বরের থাকা না থাকা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান হলেও লুসিফারকে আমি অনুভব করতে পারি সবখানে, সবজায়গায়। শিমু একবার খুব খেপে গিয়েছিল। তুই সবকিছু বাদ দিয়ে সৃষ্টিকর্তার পেছনে লেগেছিস কেন? আমি হেসে বলেছিলাম, তুই সবকিছু বাদ দিয়ে আমার পেছনে লেগেছিস কেন? তখন আমি হাসতাম, রাগ করতাম, রাগ করে জিনিষপত্র ভাঙচুর করতাম, তখন আমি স্বাভাবিক ছিলাম।

ভেতরে ভেতরে নিজের এই বদলে যাওয়াটা টের পাই, টের পাই আগের মতো নেই। নিজেকে যে বৃত্তের ভেতরে নিয়ে এসেছি, সেখানে বিষণ্ণতা ছাড়া আর কোনোকিছুর চর্চা করার সুযোগ নেই। এখন ঐ শিমুর সাথেই যা টুকটাক যোগাযোগ আছে। আমি জানি সে ভালো নেই। হয়ত বেঁচে আছে আমার মতো করেই।

আসলে কে ভালো থাকে? শিমু চেয়েছিল রাজনীতি করবে, দেশটাকে বদলে দেবে, বিপ্লবের জন্য নিজেকে এবং মানুষকে প্রস্তুত করবে। আমি বলেছিলাম, তোর জামাই যদি না দেয় করতে? কিসের জামাই? না দিলে বিয়ে করব না। নাহ,শিমুর সৃষ্টিকর্তা বা প্রিয় সমাজ তার ইচ্ছে পূরণ করতে পারে নি। শুনেছি, ওকে চাকরি করতে দেয়া হয় না। এমন মেঘলা দিনে শিমুর কী কোথাও ভবঘুরে হয়ে ঘুরে বেড়াতে মন চায় না? ওর কী এভাবে অতীতের কথা ভেসে ওঠে? ওর কী আমার মতো অতীত আছে? হাঁটতে হাঁটতে কোথায় চলে এসেছি বুঝতে পারি না।

চেনা চেনা অচেনা পরিবেশ, অনেকটা গ্রামের মতো। ঢাকা শহরে গ্রাম এলো কীভাবে? একটু আগের শূন্য রাজপথ ছোট্ট একটা মেঠোপথ হয়ে গেছে। ছোট ছোট বাচ্চারা হাতে বই নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। রেইন ট্রি গাছের নিচে হেলা দিয়ে দাঁড়ালাম। ছোট্ট একটা বাচ্চাকে দেখলাম বই খাতা পথের পাশে রেখে আমগাছে ওঠার চেষ্টা করছে, নিচ থেকে তাকে সাহায্য করছে প্রায় সমবয়সী একটা মেয়ে।

চেহারায় দুজনের বেশ মিল। আমি তাদের চিনি চিনি করেও চিনতে পারছি না। স্কুলে না গেলে আব্বা কিন্তু মাইরা ফেলাইব, তাড়াতাড়ি কর। মেয়েটির কথা ছেলেটি পাত্তা দেয় না। আমি কিন্তু যামু গা।

এরপর বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করি ছেলেটি গাছে ওঠার চেষ্টা বাদ দিয়ে মেয়েটিকে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দেয়, মেয়েটি কেঁদে ওঠার বদলে ভাইকে শান্ত করতে চেষ্টা করে। দৃশ্যটি দেখে বুঝতে পারি, এই ছোট ছেলেটি আমি আর মেয়েটি আমার বোন। টাইম মেশিন ছাড়াই অতীতে কীভাবে চলে এলাম? ঐ যে মেহগনি গাছ, শিশু গাছ একটু দূরে কৃষ্ণচূড়া যার পেছনের পথ দিয়ে আমাদের বাসা,ঐ তো বাবা দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে। স্কুলে না গিয়া বাঁদরামি চলতাসে? আমি নিজেকে কুঁকড়ে যেতে দেখি। বাবাকেই শুধুমাত্র ভয় পেতাম আর অন্য সবাই ভয় পেতে আমাকে।

আমার বোনকে দেখতে পেলাম, বলছে- না আব্বা, আমার আম খাইতে ইচ্ছা হইসিল। ভাই এর দোষ নাই। এভাবেই আমাকে বাঁচিয়ে দিল সে। প্রায় বাঁচিয়ে দিত। তবু আমার রাগ থেকে তার রক্ষা হতো কোথায়? আমরা দুজন একসাথে স্কুলে যেতাম।

আরেকটু বড় হয়ে সাইকেল চালিয়ে। সে আমার সাইকেলের পেছনে বসে থাকত আর এটা সেটা বলতে বলতে যেত। আমরা একসাথে কী কী করতাম এটা বলার থেকে কী কী করতাম না এটা বলা সহজ হতো। ও আমার হাতে কম মার খেত না। তারপরেও কখনো আমার উপর রাগ করত না।

ঠিক একটু আগে দেখা দৃশ্যের মতো উল্টো আমাকে সান্ত্বনা দিত কিংবা ঠান্ডা করতে চেষ্টা করত। আমই হারতে পছন্দ করতাম না। সবসময় জিততে চাইতাম। প্রায় রাতে লুডু খেলার সময় সে ইচ্ছে করে হেরে যেত, যেন আমি জিতি, যেন আমার মুখে হাসি থাকে। চোখের সামনে আবার দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে গেল, কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না।

বাড়ির পেছনের পুকুর দেখতে পেলাম। দেখতে পেলাম মাথার উপর যে সূর্যটা ছিল, সেটি এখন আর নেই, এখন ভোররাত। আমি আর আমার বোন মাছ ধরছি। ও পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর আমি জাল হাতে বেশ গভীরে নেমেছি। গাছের আড়াল থেকে বর্তমান আমি লুকিয়ে দেখছি আমার অতীত।

আমি জানি এরপর কী হবে, আর কিছুই দেখতে চাই না। চোখ বন্ধ করে ফেলি। সাথে সাথেই আবার ফিরে এলাম পরিচিত রাজপথে। আবার আকাশের রঙ বদলে গেছে। দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে।

দীর্ঘশ্বাস কখনো স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রনাকে মুক্ত করে না, বরং বাতাসে ভেসে বেড়ানো আরো সব স্বপ্নহীন স্বপ্ন টেনে নিয়ে যন্ত্রনার পাল্লা ভারি করে। তখন আমার কোনো অতীত ছিল না, তাই ভালো ছিলাম। এখন আমার অতীত আছে, তাই বুঝি ভালো নেই? কেউ ভালো থাকে না? অতীত নামে আমার একটা বিশুদ্ধ আয়না আছে। আমার ঘরের আয়নায় দাগ আছে, মাঝে মাঝে শেভ করতে গিয়ে কেটে ফেলি কিন্তু অতীতের আয়নায় কোনো দাগ নেই, সবকিছু ঝকঝকে স্পষ্ট। আমি দেখতে পাই, আমার ভুলগুলো সেখানে।

মনে করতে চাই না। মা’র চিঠিটাই যত নষ্টের গোড়া। ভালোই তো ছিলাম গত তিন বছর। মুখোশ পড়ে দিব্যি বেঁচে আছি। এই ভবঘুরে হয়ে বেড়ানো, দায়িত্বহীন জীবনের দায়িত্ব; আজ আবার কী হলো? চিঠিটা পড়ে কুঁচিকুঁচি করে ছিড়ে ফেলে দিতে হবে।

আমি নস্টালজিক মানুষ নই। খুব বমি বমি লাগতে শুরু করে। নস্টালজিয়াকে বমি করে উগড়ে দিতে ইচ্ছে করে, পারি না। চোখের সামনে আবার ভেসে ওঠে আমাদের বাড়ি, উঠোন, বাড়ির পেছনে বিশাল বড় পুকুর, আমার বোন,মা’র হাতের রান্না। আমি বাড়ি ফিরতে চাই না।

বন্ধ হোক এসব। কিছুটা চিৎকার দিয়ে বলে ফেলি। আমি মহাশূন্যে যাত্রা করব, আজ রঙ পেন্সিল কিনে নিয়ে যাব, সাদা কাগজ কিনে নিয়ে যাব; বাড়ি গিয়ে মহাশূন্যে যাত্রার কক্ষপথ তৈরী করব, একটা রকেট পর্যাপ্ত জ্বালানিসহ দরকার হবে। তারপর, আমি রওনা দেব অনন্তে, মহাশূন্যে, হারিয়ে যাব কৃষ্ণগহবরে। # বাসায় ফিরব ফিরব করেও ফিরতে দেরি হয়ে যায়।

পথে এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যায়। উপযাচক হয়ে সে আমাকে ডিনার করায়। হাতমুখ ধুয়ে সিগারেট ধরাতে ধরাতে মায়ের চিঠিটা খুলে ধরি। খুব সম্ভবত কাউকে দিয়ে লিখিয়েছে মা। তাতে কী? কথাগুলো তো মায়ের।

এড়াতে পারি না, অথচ খুব করে চাচ্ছিলাম জানালা দিয়ে চিঠিটা ছুঁড়ে ফেলে দেই। বাবা, অনেকদিন হয়ে গেল। এতদিনে একবার এলি না। তোর বাবা মারা যাওয়ার পর বাসাটা ফাঁকা হয়ে গেছে একদম। পাড়া প্রতিবেশি সবাই তোর কথা জিজ্ঞেস করে।

অনেকে তোর নামে নানা কথা বলে বেড়ায়। বলে, তুই নাকি পড়াশোনা না করে, টইটই করে ঘুরে বেড়াস। তুই নাকি ধর্ম মানিস না? আল্লাহকে ডাকিস না। আমার বয়স হচ্ছে। এতসব টেনশন সহ্য হয় না।

দুনিয়ার সবাই ফোনে কথা বলে। অথচ তোর সাথে কথা বলার জন্য কোনো নাম্বার নেই। এমন কেন হয়ে গেলি? কী হয়েছে, বাবা? তুই না আমার রান্না ছাড়া খেতে পারতি না? প্রায় রাতে ভয়ে পেয়ে আমাদের ঘরে চলে আসতি? এখন তুই তাহলে কীভাবে খাওয়া-দাওয়া করিস? এখন কী আর ভয় লাগে না? তুই কী অনেক বড় হয়ে গেছিস? অনেক বড়? মায়ের কাছে যে ছেলে কখনো বড় হয় না রে বোকা। সেদিন তোর মামা মাগুর মাছ নিয়ে এলো। বল, খোকা কী আর আসবে না? আমি সেই মাছ তোর মামাকে ফিরিয়ে দিলাম।

খোকা নেই, কে খাবে? আমাদের বাসাটা ছোটই হবে হয়ত। কিন্তু এখন এই বাসাটাই আমার জন্য বিশাল হয়ে গেছে। একবার সে ঘুরে যা, তোকে আটকে রাখব না। একবার শুধু তোকে দেখব। চিঠি লিখে অভ্যাস নেই, তোদের মতো পড়াশোনাও নেই।

কী বলতে,কী বলেছি জানি না। শুধু জানি, আমি ভালো নেই। আমি জানি আমার খোকাও ভালো নেই। একবার ফিরে আয় মা’র কোলে। আর পেছনের পুকুর ভরাট করে ফেলেছি।

সেখানে এখন কিছু নেই। এবার তো আসার কথা ভাবতে পারিস? আর কিছু বলব না। বলার ক্ষমতা নেই। কী আশ্চর্য চিঠিটা শেষ করে দেখি আমার চোখের কোণে জল। শুয়ে পড়ি।

আজ রাতেও আসবে সৈন্যের দল, জোনাকির আলো। আমি ঘুমের ভেতর এই প্রথমবারের মতো শুনতে পাই জোনাকিরা ফিসফিসিয়ে আমাকে বলছে, পুকুর ভরাট করলেই কী হবে,খোকা? যে পুকুরে তোমার জিদের কারণে বোনকে পানিতে নামতে হলো আর তুমি ফেরার সময় পেছন ফিরে না তাকিয়ে চলে এলে,টের পেলে না বোন হয়ত ডুবে গেছে, সেই পুকুর ভরাট কী করা যায়? তোমার সমস্ত জীবনটাই এখন পুকুর। পালিয়ে কোথায় যাবে? আমি কথাটা শুনে বিছানায় পাশ বদলাই। এখন আমি জানি, সৈন্যরা আমাকেই খুঁজছে। মুখোশ পড়ে আছি বলে চিনতে পারছি না।

এটাও বুঝতে পারি- আমার মুখোশ ফুটো হয়ে গেছে, মাঝে মাঝে হাওয়া-বাতাসের সাথে বিবেক ঢুকে পড়ে; আমাকে জ্বালায়, বড় জ্বালায়। শিঘ্রী নতুন মুখোশ পড়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.