আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুক্তির নামে ফাজলামো আর আমাদের ধোঁকা দেয়ার কি কোন দরকার আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী????

নো ম্যান্স ল্যান্ডে ২৪টি পাম্প বসিয়ে ফেনী নদীর পানি তুলছে ভারত। ছবি : এন লাভলু বিডিআর ভারত ধ্বংস করেছে এমন কথায় আমি তেমন কান দিতাম না। তবে দিনে দিনে বিভিন্ন কার্যকালাপ এবং আচরণ দেখে মনে হচ্ছে আসলেই বিডিআর ধ্বংস করে দেয়ার পিছনে ভারতের শক্তিশালী ভুমিকা ছিল। কিন্তু কেন ভারত এ কাজ করবে? উত্তর সহজ। শক্তিশালী বিডিআর ভারতের জন্য সীমান্তে বড় ধরনের মাথাব্যাথার কারন।

শুধুমাত্র বিডিআর এর সাহসিকতার কারনেই ভারত সীমান্তে অনেক অবৈধ কাজ করতে পারেনি অতীতে। ভারত আমাদের সীমান্তে তেমনি একটি অপতৎপরতা চালায় ২০০৩ সালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সীমান্তবর্তী গ্রাম অলিনগরে। সীমান্তবর্তী গ্রাম অলিনগরে হয়ে ফেনী নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ২০০৩ সালের জুলাইয়ে বিএনপি সরকারের সময়ে আমলিঘাট এলাকায় ভারত পাম্প হাউস নির্মাণ করে জোর করে বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি তুলে নেবার চেষ্টা করে। কিন্তু সেদিন বিডিআরের শক্ত প্রতিরোধে মুখে তারা ব্যর্থ হয়।

এ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের মধ্যে ভারতের বিএসএফ এর গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। সীমান্ত ঘেঁষে প্রবাহিত ফেনী নদী কিন্তু ২০০৩ সালের জুলাই মাসে ভারত যে কাজ করতে ব্যর্থ হয় সেটা তারা বাস্তবায়ন করে এবারের মহাজোট সরকার আসার পর। গত বছর জানুয়ারিতে ঢাকায় দুই দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ফেনী নদী থেকে এক কিউসেক পানি বণ্টনের বিষয়ে সমঝোতা হয় বলে জানা যায়। এরপর ভারত সেখানে ৩০-৫০ গজ দূরে স্থায়ীভাবে প্রায় ২৪ টি শক্তিশালী পাম্প হাউস নির্মাণ করে। যা থেকে তারা চুক্তি লংগন করে প্রতিদিন দুই কিউসেক পানি নিয়ে যাচ্ছে।

দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম মহকুমার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎচালিত ২৪টি লো-লিফট পাম্প দিয়ে এ পানি তোলা হচ্ছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ ছাড়া অন্য ১০ মাস এসব পাম্প দিয়ে নদী থেকে পানি তোলা হয়। এসব পাম্প দিয়ে তোলা পানি দিয়ে সাবরুম মহকুমার সীমান্ত এলাকার কয়েক হাজার একর ফসলি জমিতে সেচ দেওয়া হয়। দক্ষিণ ত্রিপুরার অমরপুরের শিলাছড়ি থেকে সাবরুমের আমলিঘাট পর্যন্ত এলাকায়ই বেশির ভাগ পাম্প হাউস স্থাপন করা হয়েছে। এর সংখ্যা কমপক্ষে ২৪টি।

পাম্প দিয়ে অবিরাম পানি তোলায় শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের ফেনী নদীটি প্রায় শুকিয়ে যায়। মুহুরি সেচ প্রকল্প নো-ম্যানস ল্যান্ডে স্থাপিত পাম্প হাউসগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে রামগড়ে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম আফজালুল আবেদীন বলেন, 'আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থায়ী অবকোঠামো নির্মাণ অবৈধ। ' তাঁর দায়িত্বে থাকা এলাকায় পাম্প হাউসগুলো কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে তা তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। আর ফেনী নদী থেকে ভারতের এই পানি চুরির জন্য মারাত্নক হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুহুরি সেচ প্রকল্প। কারণ, মুহুরি সেচ প্রকল্পের প্রায় ৭০ ভাগ পানির উৎস ফেনী নদী, কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে ভারতের অনবরত পানি উত্তোলনের কারনে এই নদী প্রায় শুকিয়ে যায়।

আর এটা চুরি কারন ভারত মাটির নিচ দিয়ে পাইপ লুকিয়ে নদীর ভেতর ফেলে পানি তুলে নিচ্ছে। ফেনীর কূলের মারমাপাড়ার বাসিন্দা আতাপ্রু মারমা বলেন, 'লোকজন যেন বুঝতে না পারে সেজন্যই মাটির নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়েছে ভারতীয়রা। ' শালার চোরের গোষ্ঠী। অথচ এবারের মনমোহনের সফরে কথা ছিল ভারত তিস্তার বিনিময়ে আমাদের ফেনী নদী থেকে পানি পাবে। আমরা তিস্তাতো পায়নি উল্টা চুক্তির আগ থেকেই আমাদের পানি হাওয়া।

ভারততো চুক্তি ছাড়ায় প্রায় দেড় বছর ফেনী নদীর পানি নিয়েই যাচ্ছে। তাহলে আবার চুক্তি নিয়ে এসব নাটকের মানে কি?? কি আজব দেশে আছি বাবা। যায় যায় ভারতের নাগরিকত্ব পায় কিনা দেখি!!! ছবি এবং সুত্র কালেরকন্ঠ- View this link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.