আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও চুরি!? শিক্ষাক্ষেত্রে ৭২ এর পদধ্বণি- এদের হাতে তরুণ প্রজন্ম তথা দেশ কতটা নিরাপদ?

ধর্ম জটিলতায় আক্রান্ত......। প্রশ্নপত্র চুরির কারণে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয় জানানো হয়, এ পরীক্ষা ২৩ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পরীক্ষা পেছানেরা এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানা গেছে, সম্প্রতি বিজি প্রেস থেকে ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরির একটি ঘটনা ধরা পড়ে।

আরো চুরির আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রমতে, এ সময়ের মধ্যে আবারো নতুন করে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। Click this link... শিক্ষাক্ষেত্রে ৭২\'র পদধ্বণি। তরুণ প্রজন্ম নিরাপদ নয়!! শিক্ষাখাতের সফলতার বিষয়টি নিছকই গুজব। মহাজোট সরকারের ২ বছরে সবচেয়ে ব্যর্থ শিক্ষাখাত।

মহাজোট সরকারের ২ বছরে সবচেয়ে ব্যর্থ শিক্ষাখাত। শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। অথচ এই শিক্ষাখাতকেই সবচেয়ে সফল বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। শিক্ষাখাতের সফলতার বিষয়টি নিছকই গুজব। কেউ একবার কিছু মিডিয়াতে বললে, কোন চিন্তা-ভাবনা ও যাচাইবাছাই না করে অনেকে সেটাতেই তাল মেলাতে থাকে।

আর মহাজোট সরকারের শিক্ষাখাতের সফল হওয়ার বিষয়টি সেরকমই। নজীরবিহীন ব্যর্থ, অদক্ষ ও দুর্নীতি গ্রস্থ আ.লীগ সরকারের ৩২ মাসে শীর্ষে শিক্ষামন্ত্রণালয়: কিন্তু বামপন্থী মিডিয়ার প্রভাবে বর্তমান অদক্ষ সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থ মন্ত্রী সফলতার বায়বীয় মুখোশে! সরকারের ৩২ মাসে সবচেয়ে ব্যর্থ শিক্ষাখাত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে রাজনৈতিক দুর্নীতি- কারন ১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নজিরবিহীন ডিজিটাল সন্ত্রাস ২. পাবলিক পরীক্ষায় ৭২ স্টাইলে নকল উৎসব, সহজ প্রশ্ন ও খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অধিক পাশ করানোর নির্দেশ ৩. সমাপনী পরীক্ষার নামে ফি বানিজ্য ও শিক্ষার্থীদের অকালে ঝরে যাওয়ার ব্যবস্থা ৪. নাস্তিক তৈরি, ইভটিজিং সহায়ক, মূল্যবোধ ধ্বংসকারী ও ধর্মহীন শিক্ষানীতি জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া ৫. দাদাদের দেশ থেকে ভুল ছাপানো, পঁচা বাধানো বই আনা ৬. শিক্ষক নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে দলীয় অযোগ্যদের নিয়োগ ……… ৭. দেশের বিভিন্ন স্থানে এসএসসি ও এইচএসসির উত্তরপত্র উদ্ধার!! ৮. রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই নিয়ন্ত্রণ করছে কমিটি- ৯. ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির জবাবদিহিতা নেই - ১০. নির্বিকার মন্ত্রণালয়, বোর্ড ও ডিজি অফিস - ১১. অধ্যক্ষসহ শত শত শিক্ষক-কর্মচারী বিতাড়িত- আ,লীগের নেতারা পরীক্ষা হলে ঢুকে ভাল ছাত্রদের বাধ্য করেছেন সব উত্তর অন্যদের দেখাতে। এখন এরাই ম্যাজিস্টেট!!! দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্খাপনা দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডিজি অফিস ও শিক্ষাবোর্ডগুলো। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে রাজনৈতিক দুর্নীতি।

বিস্তারিত Click this link... বিসিএসে যেভাবে প্রো-ইন্ডিয়ান বাছাই করা হচ্ছে - বলতে গেলে বর্তমান সরকারের আমলে বিসিএসে শতভাগ অনিয়ম ও দুর্ণীতি হচ্ছে। মেধাবী তরুণরা বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডে সরকারী চাকরির আশা অনেকটাই বাদ দিয়েছেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়া এডিসি হারুন মিথ্যা সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত ২৩ শিক্ষানবীস কন্সটেবলকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানায় আনা হয়েছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করা এক হাজার ৩৩৮ জনের মধ্যে ১৫২ জনের সনদই ভুয়া। Click this link... প্রার্থীদেরকে যেসব প্রশ্ন করা হচ্ছে......... ১. ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে কি জানা আছে? ২. বাংলাদেশের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য সাল ও তারিখ কি কি? ৩. স্বাধীনতার ঘোষণা কবে, কে, কোথায়, কিভাবে, কার মাধ্যমে প্রচার করে? এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা আওয়ামী লীগের কোন নেতার মাধ্যমে মাধ্যমে কোথায়, কিভাবে প্রচারিত হয়? ৪. কেন ও কি জন্য? ১৯৪৭, ১৯৪৯, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০- ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ, ২৩ জুন,,,, কেন বিখ্যাত? ৫. ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা সাল, তারিখ, প্রথম সভাপতি ও সাধারন সম্পাকের না, দলীয় শ্লোগান...... ৬. ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের ১৬৯টি র মধ্যে কতটি আসন পায়? পরের প্রশ্ন অবশিষ্ট আসন ২টি কোন দল থেকে কারা নির্বাচিত হন? পরীক্ষার্থী অপর ২ জন নাম ও দল না বলতে পারায় জিজ্ঞাসা করা হয় এ বিষয়ে কৌতুহল নেই কেন? ৭. তোমার জেলার মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কি জান? ৮. জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সময়ে তার সমপর্যায়ের আরো ২ জন আন্তর্জাতিক নেতা ছিলেন তারা কোন কোন দেশের? নাম কি কি? ৯. পঞ্চদশ সংশোধনীর ব্যাপারে মূল্যায়ন কি? ১০. নারী নীতি ব্যাপারে অবস্থান কি? উল্লেখ্য ১০০ নম্বরের ভাইভার কথা বলা থাকলেও তা তুঘলকি কায়দায় ২০০ নম্বর করা হয়েছে। বর্তমানেও আমাদের পবিত্র সংবিধান লঙ্ঘন করে কোটার মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন ৫৫% নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

বাকী ৪৫% এর ক্ষেত্রেও সুধাসদনের আশির্বাদ প্রয়োজন হচ্ছে। এমনকি কিছু মেধাবী নিয়োগ পেলেও তাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে ঘুষ দিতে। অন্যথায় পুলিশ ভেরিফিকশের নামে তাদের কে বাদ দেওয়া হচ্ছে। বলতে গেলে বর্তমান সরকারের আমলে বিসিএসে শতভাগ অনিয়ম ও দুর্ণীতি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ফলাফল ঘোষণার আগেই করা হচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে আওয়ামী ভেরিফিকেশন! ও মোটা অংকের বাণিজ্য।

উল্লেখ্য বর্তমান সরকারের আমলে সোনালী ব্যাংকসহ অনেক ক্ষেত্রেই চাকরির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার আগেই দলীয় নেতাদের মাধ্যমে ভেরিফেকেশন করা হচ্ছে। আর সে আলোকেই ফলাফল দেওয়া হচ্ছে। মেধাবী তরুণরা বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডে সরকারী চাকরির আশা অনেকটাই বাদ দিয়েছেন। যেখানে নিয়মিত বিসিএসগুলোতেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার অধিকাংশই ফাঁকা থাকে, সেখানে শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩২তম বিসিএসের সিদ্ধান্ত নেয়া উদ্দেশ্য ভুয়া সনদের মাধ্যমে ছাত্রলীগ তথা হারুন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া। যার লক্ষ্য মূলত আগামী নির্বাচন।

কোটার নামে বৈষম্য পবিত্র সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। মুক্তিযুদ্ধ কি বৈষম্য বাড়ানোর জন্য হয়েছিল? এদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ে বিশেষ বিবেচনায় একবার কোটার মাধ্যমে সুযোগ তো দেওয়াই হয়েছে, যোগ্যতায় মাধ্যমে টিকতে না পারলে আবার সুযোগ কেন?? কোটার মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দেয়া, ডাকাত দিয়ে রোগীর অপারেশনের নামান্তর মাত্র। ২৯তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারের ৪১২ জনের মধ্যে ২১১ জন কোটায় আর ২০১ জন মেধায় নিয়োগ পেল। ২৮তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে মোট ৬৫৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৭ জনই নিয়োগ পাচ্ছেন বিভিন্ন কোটায়।

মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে সত্য ইতিহাস হচ্ছে প্রায় শতভাগ লোক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সেখানে ০.১২% মুক্তিযোদ্ধার সনদ প্রদান করে যে বৈষম্য করা হয়েছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। প্রকৃত অর্থে ১৯৭১ সালে দেশের গুটিকয়েক রাজাকার ছাড়া প্রায় সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধা। যে দেশের/সংগ্রামের জন্য কবিতা লিখেছে, যে বৃদ্ধ পিতা-মাতা মুক্তির জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়ে মোনাজাত করেছে, যে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার বা আশ্রয় দিয়েছে, যে শিশু শত্রুদের গোপন খবর বয়ে এনেছে, যারা মাঠে যুদ্ধ করেছে তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের (নাতি-নাতনি) জন্য সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা থাকবে।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সমাজের যেকোনো শ্রেণীর মানুষকে বিশেষ সুযোগ দেয়ার প্রয়োজনটা যেকোনো সমাজের জন্য অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেটা কখনো ৫০ শতাংশ বা ৫৫ শতাংশ হতে পারে না।

আর প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তো অবশ্যই নয়। কারণ গাড়ির চালকের আসনে কোনো হেলপারকে বসানোর পরিণতি কী হতে পারে তা আমাদের প্রশাসনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। কোনো সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীকে যেখানে সহযোগিতা করার অনেক উপায় রয়েছে সেখানে অসংখ্য মেধাবীকে বাদ রেখে কম মেধাবীদের সুযোগ ড্রাইভার রেখে হেলপারকে চালকের আসনে বসানোর নামান্তর মাত্র। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষ সুবিধা পাওয়ার আশায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও কিছু স্বঘোষিত সুশীলরা সম্পূর্ণ আবেগ ও অযৌক্তিক কারণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না কমানোর দাবি করছেন। পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের দেশের মেয়েরাও কোটা নয় বরং তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে তারা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। কোনো কোটা ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী নারী। প্রায় ২৬.২ শতাংশ নারী তাদের যোগ্যতায় শিক্ষক হতে পেরেছেন। সেখানে ১০ শতাংশ কোটা রাখা তাদের জন্য অমর্যাদাকর ও অপ্রয়োজনীয়। এর পরও কোনো বিশেষ শ্রেণীকে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির কিংবা আর্থিক সুবিধা দেয়া যেতে পারে।

কিন্তু জাতির নীতিনির্ধারক ও দাতারা কোন যুক্তিতে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনে ৫০ শতাংশ কোটার সুপারিশ করেন তা মোটেই বোধগম্য নয়। এর অর্থ কি তারা আমাদের সিভিল সার্ভিসকে উন্নত দেশের তুলনায় অদক্ষ ও অযোগ্য রাখতে চায়? দেশের মেধাবীরা কোটার ব্যাপারে পিএসসি’র বর্তমান সুপারিশে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছে। পরিশেষে বলতে চাই একবিংশ শতাব্দীর অগ্রসরমান বিশ্বে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে অযৌক্তিক আবেগ পরিহার করে বাস্তবমুখী হওয়া দরকার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.