আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাতিয়ায় ইউপি মেম্বারের মধ্যযুগীয় বর্বরতা: ওরা কখনোই মানুষ ছিলোনা, হবেওনা

আমি বেশ চুপচাপ!! মধ্যযুগ পার করেছি কিন্তু বর্বরতা এড়াতে পারিনি কিছু নিকৃষ্ট মানুষের জন্য....>>>>>>>>>> নোয়াখালী (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): এবার নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়ায় শালিসের নামে ইউপি মেম্বার কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক নারীকে যৌন হয়রানিসহ অমানুসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অসহায় গৃহবধু সোনাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরচেঙ্গা গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৩০) নামে এক অসহায় মহিলা তার ওপর কামাল মেম্বারের বর্বর পৈশাচিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন। এসময় মহিলাটি খুড়িয়ে খুড়িয়ে প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে তার পিঠে, হাতে-পায়ে নির্যাতনের লোমহর্ষক কথাগুলো বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। সূত্রটা এখানে....>>>>> ভিকটিম মনোয়ারা সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ তার সাথে অবৈধ সম্পর্কের চেষ্টা করে এবং বারবার লোভ লালসা দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়।

সর্বশেষ ত্রাণের টাকা দেবে বলে ঐ ইউনিয়নের মাইজচরা বাজারে অবস্থিত কথিত কামাল মেম্বারের অফিসে ডেকে অপকর্মের চেষ্টা চালায়। এসময় সুকৌশলে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করে উক্ত স্থান হতে সরে আসে মনোয়ারা বেগম। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এবং নিজের পাশবিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় কামাল মেম্বার তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। সুযোগ খুঁজতে থাকে এর প্রতিশোধ নেয়ার। বুধবার রাতে পারিবারিক বিষয়ে মনোয়ারা ও তার স্বামী আলাউদ্দিন ঝগড়া করে।

বিষয়টি শুনে কামাল মেম্বার আলাউদ্দিনকে বাজারে পেয়ে লোক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই ওয়ার্ডে নিয়োজিত জাহেদ চৌকিদারকে দিয়ে মনোয়ারাকে ডেকে পাঠান। চৌকিদারের সাথে মনোয়ারা কামাল মেম্বারের অফিসে উপস্থিত হলে কামাল মেম্বার ও তার সন্ত্রাসী আব্দুল গাফফার সারু, নুরুল আফছার, নুরুল আমিন, আব্দুল হক এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে কামাল মেম্বার মনোয়ারার এক রানে পা দিয়ে চেপে অন্য পা টেনে ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। পরে মনোয়ারার স্বজনরা তাকে পল্লী ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

পল্লী ডাক্তার আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মনোয়ারার শরীরের বিশেষ অঙ্গে আঘাতের বিষয় নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মনোয়ারা বারবার অঝোরে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, আমি গরীব অসহায় আমি সুবিচার চাই। তাই আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে এসেছি। এ ঘটনায় মনোয়ারা বেগম নিজে বাদী হয়ে কামাল মেম্বারকে প্রধান আসামী করে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুভাষ পাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় মেম্বার ভিকটিম মহিলা ও তার স্বামীকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে থানায় মহিলা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। //নোয়াখালী, ১৫ সেপ্টেম্বর (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম)//একেএ// ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.