আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কায়রোয় ইসরায়েল দূতাবাসে তাণ্ডব

কায়রোর ইসরায়েলি দূতাবাসে তাণ্ডব চালিয়েছে কয়েক হাজার মিশরীয় বিক্ষোভকারী। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা দূতাবাসের নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং ইসরায়েলের পতাকা ছিড়ে, কনস্যুলার অফিসের নথি তছনছ করে বিক্ষোভ দেখায়। স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলে। মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, এই হামলার মুখে সেখানকার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত পরিবার ও সহকর্মীদের নিয়ে দেশে ফিরে গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা জুমার নামাজের পর কায়রোর তাহরির চত্বরে সমাবেশ করে।

সেখান থেকে প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী ইসরালে দূতাবাসে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে এবং ঢিল ছুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়িও পুড়িয়ে দেয় তারা। মিশরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। সংঘর্ষে প্রায় সাড়ে চার শ' বিক্ষোভকারী এবং অন্তত ৪৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

গত মাসে প্রতিবেশী এ দুই দেশের সীমান্তে ইসরায়েলি নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে পাঁচ মিশরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কায়রোয় ইসরায়েল দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটলো। হামলা শুরুর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসরায়েলি দূতাবাসের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মিশরীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা দূতাবাস চত্বরে ঢুকে পড়ার পর শনিবার প্রথম প্রহরে কায়রো ছাড়েন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইজহাক লেভানন। রাষ্ট্রদূত, তার পরিবার ও দূতাবাসের কর্মীদের একটি বিশেষ বিমানে করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে গত ১১ ফেব্র"য়ারি মিশরের দীর্ঘ দিনের শাসক হোসনি মুবারকের পতন ঘটে।

আন্দোলনকারীরা তখন থেকেই পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য দেশটির ান্তবর্তীকালীন সেনা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।