আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক ডিসেম্বরে উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে।

বেপোয়া মানুষ কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক ডিসেম্বরে উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে সরকার আগামী ডিসেম্বরে হাইটেক পার্ক উন্মুক্ত করবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এটা হবে একটি সর্ববৃহৎ জোন। এখানে বিশ্বের নামীদামী সব প্রযুক্তি কোম্পানি তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে বিনিয়োগ করবে। এতে একদিকে যেমন স্বাগতিক দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে অন্যদিকে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি সংস্কৃতির প্রসার, দেশীয় শিল্পের দ্রুত বিকাশ, দক্ষ জনশক্তি তৈরি এ রকম নানা ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধিত হবে।

দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল বর্তমান সরকারের। সরকারের এই পরিকল্পনা আগামী ডিসেম্বরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে বিজ্ঞান এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় দেশে একটি হাইটেক পার্ক স্থাপনের প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ শুরু করে। কখনও প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি, কখনও সময় বৃদ্ধি এসব নানা সমস্যার বেড়াজাল ছিড়ে বর্তমানে হাইটেক পার্ক প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। হাইটেক পার্ক শুধু জাতীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রতিনিধিত্বই করবে না, এটি সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রেরও (পিআরএসপি) একটি অংশ।

সেখানে এই পার্ককে বিভিন্ন খাতে ব্যবহারের প্রস্তাবনা রয়েছে, যেমন- সফটওয়্যার এবং আইসিটি সংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানা, পিসিবি সংশ্লিষ্ট পণ্য উৎপাদন, টেলিকমিউনিকেশন, হার্ডওয়্যার এ্যাসেম্বলি উপকরণ, ভিএলএসআই ডিজাইন এবং নির্মাণ, অপটো-ইলেকট্রনিক উপকরণ, বায়োটেকনোলজি এবং তৎসংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এই পার্কে একটি হাইটেক প্রতিষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে এবং আরএ্যান্ডডি-এর কাজ করবে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটাতে হাইটেক পার্কের মতো প্রযুক্তি জোন বিশেষ ভূমিকা রাখবে। কিন্তু বাস্তবতা দেশের মানুষের প্রত্যাশার মূল্য না দিয়ে জোট সরকার দীর্ঘদিন প্রকল্পটির কোন কাজ করেনি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছে।

রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক স্থাপনের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। ঢাকা শহর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক অবস্থিত হওয়ায় দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের পার্কের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ বলে সরকার মনে করছে। তিন’শ’ ফিট প্রশস্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে পার্কটি অবস্থিত হওয়ায় বিমানবন্দর, রেলওয়ে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে এর শক্তিশালী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে- যা বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।