আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীণফোন : গ্রাহকের বিকাশ সিমের ৯২ হাজার টাকা চুরি!

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই সাম্প্রতিক সময়ে টাকা হস্তান্তরের একটি মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে 'বিকাশ (bkash)'। আর দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর হলো গ্রামীণফোন। সম্প্রতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এক গ্রাহকের ‘বিকাশ সিম’ অন্য ব্যক্তিকে উঠিয়ে দিতে সাহায্য করেছেন গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার। আর এতে প্রায় ৯২ হাজার টাকা গচ্চা গেছে তার। বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি তিনি।

দীর্ঘ দুই মাস 'ন্যায় বিচার' চেয়ে তিনি ঘুরেছেন থানা-পুলিশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে। কিন্তু সমাধান পাননি কোথাও। গ্রামীণের ওই গ্রাহকের নাম আব্দুল কাদের জিলানী। ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি নিজের নামে গ্রামীণফোনের একটি সিম কেনেন (০১৭১৬৪৩২১২২ )। পরবর্তীতে এই সিমটি দিয়ে তিনি জীবন যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে তার সর্বস্ব বিনিয়োগ করে 'বিকাশ (bkash)' ব্যবসা শুরু করেন।

ব্যবসা ভালোই চলছিল, কিন্তু গত ২৭ এপ্রিল ২০১৩ তারিখ বিকেলে হঠাৎ করেই জিলানী তার মোবাইলে সিম রেজিস্ট্রেশন ফেইলড (Ragistration Failed) দেখতে পান। সাধারণত সিম অকেজো বা কেউ উঠিয়ে নিলে এ ধরণের সমস্যা দেখা যায়। সমস্যা সমাধানে জিলানী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার এ গিয়ে নিজের সমস্যার কথা জানান। কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তারা তাকে সিমটি বদলে নতুন করে উঠিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন। সিমটি বদলে নেবার পর তিনি দেখতে পান, তাঁর 'বিকাশ (Bkash)' একাউন্টে মাত্র ৮.৮৮ টাকা জমা আছে।

অথচ সেই সময় তাঁর একাউন্টে জমা থাকার কথা ছিলো ৮৭,৯৭৫.৮১ টাকা ও কমিশন ৫০০০ টাকাসহ মোট ৯২,৯৭৫.৮১ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৯২ হাজার টাকা হারিয়ে তিনি পুরোপুরি নি:স্ব হয়ে যান। গ্রামীণফোন এবং বিকাশের বিলের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী বিকেল ৫টা ৩ মিনিট ২৭ সেকেন্ড হতে বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিট ২৪ সেকেন্ড সময়ে মোট চারটি লেনদেনে ০১৭৭৯৬৪৩৮০০ নম্বরে ৬০,০০০ টাকা, ০১৮২৯৭২৯৮৪৪ নম্বরে ২৮,০০০ টাকা এবং ০১৮৫০৮২৪৪৪২ নাম্বারে দুইবারে যথাক্রমে ৫,৩০০ টাকা ও ৯০ টাকা লেনদেন হয়। নিজের ব্যবসার সম্পূর্ন পুঁজি হারিয়ে জিলানী থানায় জিডিও করেছেন। গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারেও একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন।

গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ কেবলামাত্র এটা জানিয়েছেন যে, গত ২৭ এপ্রিল বিকেল ৪.৫৮ মিনিটে কেউ তাদের মতিঝিল কাস্টমার কেয়ার থেকে এই সিমটি তুলেছিলেন। প্রশ্ন হলো এক জনের নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত সক্রিয় সিমটি কীভাবে অন্য একজন তুলে নিলেন অথচ গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ সেটা জানেন না! আর এর দায়দায়িত্বও তারা নেবেন না। কিন্তু গ্রামীণফোনের মতো এমন দায়িত্বশীল মোবাইল অপারেটর কীভাবে কোন ধরণের যাচাই বা নাম মাত্র যাচাই করে চালু সিম আরেকজনের কাছে দিয়ে দিলেন সেটা নিয়ে রয়েছে রহস্য। তবে কী কাস্টমার ম্যানেজার নিজে তার পছন্দের মানুষকে এফএনএফ নাম্বার, স্বাক্ষরসহ অন্যান্য বিষয়গুলি জানিয়ে দিয়ে সিমটি রিপ্লেস করতে সহায়তা করেছেন ? আক্ষেপ করে জিলানী পরিবর্তন ডটকমকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমি গ্রামীণফোনে অভিযোগ করেছিলাম, থানায় ডায়রীও করেছি।

আমার সিমের সকল কাগজপত্রও বৈধ তারপরও আমার সিম কীভাবে আরেকজন উঠিয়ে নিলেন এ ব্যাপারে আমাকে কোন উত্তর দেয়নি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। বিকাশ আমাকে সামান্য কিছু সহায়তা করলেও প্রকৃতপক্ষে আমাকে হারাতে হয়েছে পুঁজি। অনেক মিডিয়া আমার এ সংবাদ প্রচার করতে চেয়েছিল কিন্তু গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পরে কেউ এগিয়ে আসেনি। এভাবেই কেটে যায় দুই মাস। ” পরিবর্তন ডটকমের কাছে জিলানীর বিকাশ সাবস্ক্রাইবার কপি, গ্রামীণ ফোন সিম গ্রহণের কপি, বিকাশের লেন-দেন বিবরণী, থানায় জিডির কপি এবং গ্রামীণ ফোনের নিকট অভিযোগের কপি সংরক্ষিত রয়েছে।

Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.