আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লর্ডসে আরেক রোমাঞ্চ?

লর্ডসে অ্যাশেজ
ম্যাচ ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া ড্র
৩৪ ৬ ১৪ ১৪
কঠিন সত্য অনেক সময় মানুষকে বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়। অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের যেমন মনে করিয়ে দিচ্ছেন ড্যারেন লেম্যান। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের চতুর্থ দিন বিকেলে খবর এল, হেডিংলিতে মারা গেছেন জেসন গিলেস্পির বাবা নিল গিলেস্পি। জেসনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুই শুধু নন, গিলেস্পি পরিবারেরও খুব ঘনিষ্ঠ লেম্যান। তবে মুষড়ে পড়ার মতো খবরটি দিয়েই সবাইকে চনমনে রাখার চেষ্টায় নেমে গেছেন অস্ট্রেলিয়া কোচ।


ভাবছেন সেটি কীভাবে? দর্শন দিয়ে! ‘যতটা সম্ভব নির্ভার থাকাই আমাদের মন্ত্র। আমরা চাই উপভোগ করতে। ক্রিকেট স্রেফ একটি খেলা। হ্যাঁ, সিরিজটি মহাগুরুত্বপূর্ণ অ্যাশেজ। কিন্তু জীবনে ক্রিকেটের চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আছে।

’ মানে বার্তাটা পরিষ্কার, অল্পের জন্য হেরে গিয়ে হতাশায় ডুবে যাওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটের হারে জীবনের শেষ নয়, বরং জীবনের ভ্রমণে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু আছে। কাজেই উপভোগ করো প্রতিটি মুহূর্ত!
এমনিতে লেম্যানের জীবন-দর্শনও এটাই। তাঁকে কোচ নিয়োগ দেওয়ার একটা মূল কারণও এই দর্শন অস্ট্রেলিয়া দলে ছড়িয়ে দেওয়া। কে না জানে, উপভোগ করলেই বেরিয়ে আসে সেরাটা! সেই দর্শন মাইকেল ক্লার্করা কতটা আপ্ত করতে পারলেন, প্রমাণ মিলবে সময়ে।

তবে খুব একটা উপভোগ করার মতো অবস্থায় নেই অস্ট্রেলিয়ানরা। জেমস অ্যান্ডারসনের সুইং বিষের যন্ত্রণা ভুলতে না-ভুলতে গায়ে এসে বিঁধেছে মিকি আর্থারের অভিযোগের তির। দলের অন্তঃকলহের খবর যতই উড়িয়ে দিন ক্লার্ক-লেম্যানরা, ড্রেসিংরুমে এটি অস্বস্তির হাওয়া না বইয়ে পারেই না। এ জন্যই হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে স্টিভ ওয়াহ, শেন ওয়ার্ন, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও গ্লেন ম্যাকগ্রাকে। গতকালই অস্ট্রেলিয়া শিবিরে গিয়ে উত্তরসূরিদের চাঙা করার কথা ছিল চার গ্রেটের।


ইংলিশদের আপাতত ‘মনোবল’ ধার করতে হচ্ছে না কোথাও থেকে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৫ রান এবং দুই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শেষ জুটির বিস্ময়-প্রতিরোধের ধাক্কা সামলেও শেষ পর্যন্ত ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টটা জিততে পেরেছে। নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে তাই জয়টা অনায়াসই হওয়ার কথা, এই বিশ্বাস লর্ডসে সঙ্গী হবে ইংলিশদের। আগের টেস্ট একটি সতর্কবার্তা হয়েও এসেছে ইংল্যান্ডের জন্য। অ্যাশেজপূর্ব আলোচনায় অস্ট্রেলিয়াকে অনেকেই পাত্তা না দিতে চাইলে কী হবে, সিরিজটা সহজ হবে না মোটেও।

ম্যাট প্রায়রের কণ্ঠে সেই উপলব্ধিরই প্রতিফলন, ‘অস্ট্রেলিয়ানরা জাত লড়াকু। কোনো পরিস্থিতিতেই ওরা হাল ছেড়ে দেয় না। ’ এএফপি, রয়টার্স ও ওয়েবসাইট।
সিরিজপূর্ব একটা আলোচনা অবশ্য সত্য প্রমাণিত হয়েছে ট্রেন্ট ব্রিজে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং-অর্ডার যথেষ্টই ভঙ্গুর।

ইংল্যান্ডের কোনো বোলার সেভাবে অ্যান্ডারসনের পাশে দাঁড়াতে পারেননি, তার পরও দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং। ম্যাচটা জমজমাট হলো তো অস্ট্রেলিয়ার লেজের লড়াইয়ে! লেম্যান তাই দলের টপ-অর্ডারকে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন—বড় রান চাই। বড় রান।
ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত দুই দলের একাদশ নিয়ে খবর—এড কাওয়ানের জায়গায় তিন নম্বরে দেখা যেতে পারে উসমান খাজাকে। মিচেল স্টার্কের জায়গায় ফেরার সম্ভাবনা আছে রায়ান হ্যারিসের।

উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না নাথান লায়নকে নিয়ে দুই স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনাও। ইংল্যান্ডজুড়ে চলা দাবদাহে লর্ডসের কন্ডিশন নাকি উপমহাদেশের রূপ নিয়েছে! ইংল্যান্ড দল নিয়ে প্রশ্ন একটাই—ফিন, না ব্রেসনান?
মাঠের ক্রিকেটের পাশাপাশি ম্যাচের ফলাফলে বড় ভূমিকা রাখতে পারে ডিআরএসের চতুর ব্যবহারও। যেমনটি রেখেছে ট্রেন্ট ব্রিজে। তবে আরও একবার ডিআরএস ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে না দিলেই ভালো। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।