আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দোয়া করুন

আপাতত শূণ্য কি ভীষণ সুযোগ সামনে আজ । আজ সেই মহিমান্বিত রাত । এমনিতে রমজানে কোন ভালো কাজের জন্য অন্য সময়ের তুলনায় সত্তর গুন বেশি সওয়াব দেন আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন , আর সেখানে এই পবিত্র রাতের ব্যাপারে তো বলাই হয়েছে যে - মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। আজ বেশি করে ইবাদত করুন , বেশি করে দোয়া করুন । দোয়া করুন আপনার জন্য , আপনার পরিবারের জন্য,আপনার পূর্ব পুরুষদের জন্য ।

আল্লাহ্‌র কাছে ঈমানী শক্তি প্রার্থনা করুন ,গুনাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন, হায়াত প্রার্থনা করুন,রোগমুক্তি প্রার্থনা করুন ...সকলের জন্য । বিশেষত মা-বাবার জন্য দোয়া করুন , এই দুই জন মানুষ ছাড়া জীবন অর্থহীন মনে হয় । আপনার চলে যাওয়া পূর্বপুরুষদের জন্য দোয়া করুন , ভেবে দেখুন – ওপারের জীবনে উনাদের কিছুই নেই , শুধু নিজেদের নেক আমলসমূহ ব্যতীত । আর এপারে উনাদের জন্য একমাত্র আশা আছেন আপনারা । আপনার দাদা-দাদী,নানা-নানী কিংবা অন্য কোন পূর্বপুরুষ আজ হয়তো অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন আপনার দিকে , আপনার দোয়ার দিকে ।

উনাদের গুনাহ মাফ করার জন্য , কবরে শান্তি বর্ষণের জন্য , বেহেস্ত দান করার জন্য আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের নিকট মুনাজাত করুন। এছাড়া বিভিন্ন নিয়তে দুই রাকআত করে নফল নামাজ পড়তে পারেন , যেমন – জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য, সরল পথ প্রাপ্তির জন্য,ঈমানী শক্তি বৃদ্ধির জন্য, আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য । সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য প্রার্থনা করুন - আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সার্বিক অবস্থার উন্নতি করেন; ফিলিস্তিন,কাস্মীর,আফগানিস্থান,ইরাক প্রভৃতি স্থানে থাকা আমাদের ভাই-বোনদের হেফাজত দান করেন । অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যকে জয়ী করে দেন । তছ্-বীহ্ , তাহ্-মীদ , তাহ্-লীল ও তক্-বীর- সুবহানআল্লাহ ( একে তছ্-বীহ্ বলে ) আলহামদুলিল্লাহ্‌ (একে তাহ্-মীদ বলে) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (একে তাহ্-লীল বলে) আল্লাহু আকবর (একে তক্-বীর বলে) এই চারটি কলেমাকে একত্রিত করলে হয় - সুবহানাল্লাহে ওয়াল্ হামদু লিল্লাহে ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর ।

বেশী করে এগুলো পড়তে পারেন। আরো পড়তে পারেন – সুবহানাল্লাহে ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহীল আজীম । হযরত কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, এই রাত্রে যে ব্যক্তি তিনবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করে, তার প্রথমবারের পাঠের সাথে সাথেই সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়, দ্বিতীয়বার পড়ার সাথে সাথেই আগুন থেকে মুক্তি পেয়ে যায় এবং তৃতীয়বারের পাঠের সাথে সাথেই জান্নাতে প্রবেশ সুনিশ্চিত হয়ে যায়। বর্ণনাকারী বলেন; হে আবু ইসহাক (র) ! যে ব্যক্তি সত্য বিশ্বাসের সাথে এ কালেমা উচ্চারণ করে তার কি হয়? জবাবে তিনি বলেন; সত্য বিশ্বাসীর মুখ হতেই তো এ কালেমা উচ্চারিত হবে। যে আল্লাহর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ ! লায়লাতুল কাদর কাফির ও মুনাফিকদের উপর এতো ভারী বোধ হয় যে, যেন তাদের পিঠে পাহাড় পতিত হয়েছে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে নিচের এ দু‘আটি বেশী বেশী করার জন্য উৎসাহিত করেছেন : “ হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমার আধার, আর ক্ষমা করাকে তুমি ভালবাস। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। (তিরমিযী) মহিমান্বিত লাইলাতুল কদরে আমরা কী কী ইবাদত করতে পারি? উত্তর : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে এ রাত কাটাতেন এর পূর্ণ অনুসরণ করাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য । এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নবর্ণিত কাজগুলো করা আবশ্যক : (ক) নিজে রাত জেগে ইবাদত করা এবং নিজের অধীনস্ত ও অন্যান্যদেরকেও জাগিয়ে ইবাদতে উদ্বুদ্ধ করা। (খ) লম্বা সময় নিয়ে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পড়া।

এসব সালাতে কিরাআত ও রুকু-সিজদা লম্বা করা। রুকু থেকে উঠে এবং দুই সিজদায় মধ্যে আরো একটু বেশী সময় অতিবাহিত করা, এসময় কিছু দু‘আ আছে সেগুলে পড়া। (গ) সিজদার মধ্যে তাসবীহ পাঠ শেষে দু‘আ করা। কেননা সিজদাবনত অবস্থায় মানুষ তার রবের সবচেয়ে নিকটে চলে যায়। ফলে তখন দু‘আ কবুল হয়।

(ঘ) বেশী বেশী তাওবা করবে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বে। ছগীরা কবীরা গোনাহ থেকে মাফ চাইবে। বেশী করে শির্কী গোনাহ থেকে খালেছ ভাবে তাওবা করবে। কারণ ইতিপূর্বে কোন শির্ক করে থাকলে নেক আমল তো কবুল হবেই না, বরং অর্জিত অন্য ভাল আমলও বরবাদ হয়ে যাবে। ফলে হয়ে যাবে চিরস্থায়ী জাহান্নামী।

(ঙ) কুরআন তিলাওয়াত করবে। অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ কুরআন অধ্যয়নও করতে পারেন। তাসবীহ তাহলীল ও যিক্র-আযকার করবেন। তবে যিকর করবেন চুপিসারে, নিরবে ও একাকী এবং কোন প্রকার জোরে আওয়ায করা ছাড়া। এভাবে যিকর করার জন্যই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন : “সকাল ও সন্ধ্যায় তোমার রবের যিকর কর মনে মনে বিনয়ের সঙ্গে ভয়ভীতি সহকারে এবং জোরে আওয়াজ না করে।

এবং কখনো তোমরা আল্লাহর যিকর ও স্মরণ থেকে উদাসীন হয়োনা। ” (আরাফ : ২০৫) সাহায্য - (কুরআনের আলো) http://www.quraneralo.com/laylatul-qadr/ (সরল পথ) Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।