আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারো ম জ বাসার কে জবাব!

প্রথমেই বলে নেই, আমি সাধারন মুসলমান। আলেম নই, আলেম হলে যে জবাব দিতে পারতাম এখন নিশ্চয়ই অত ভাল হবেনা। তবে ম জ বাসার কে জবাব দিতে আলেম হতে হয় না। এই পোস্ট এ আমি কুরান এবং হাদীস সংক্রান্ত ম জ বাসার এর ৪র্থ পোস্ট থেকে উল্লেখ করব ব্লগারদের সুবিধার জন্য। ১।

চার বিবির ব্যাপারেঃ ম জ বাসার বলেছেনঃ ২১. কোরান: বিশেষ এবং অসাধারণ কারণ ছাড়া একাধিক বিয়ে হারাম। [দ্র: ৪: ৩] হাদিছ: কোন কারণ ছাড়াই এক সঙ্গে চার জন স্ত্রী ভোগ করতে পারে এবং তা ফরজের আওতাভূক্ত মনে করে। বেশ। এবার আমি বলছি। প্রশ্ন এখন মুসলমান রা কি করে তা নিয়ে না।

কোন মুসলমান অন্যায় করলেই বলতে পারবেন না যে শরীয়তে তা বলেছে। প্রশ্ন হাদীস এবং কোরানের বক্তব্য নিয়ে। কুরানে একাধিক স্ত্রী রাখার ব্যাপারে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি আছে কি?আছে,আপনিও তা বলেছেন। এবার আপনি যে বললেন হাদীসে আছে কোন কারণ ছাড়াই এক সঙ্গে চার জন স্ত্রী ভোগ করতে পারে এবং তা ফরজের আওতাভূক্ত মনে করে। তা কোন হাদীসে আছে, বলবেন? সূত্র না দিলে গদাম।

সূত্র সহ বলবেন কোথায় আছে যে ৪ বিয়ে করা ফরয? দেখেন আপনি যদি ভাল করে পড়তেন তো দেখতেন য়াতীম মেয়ের ব্যাপারে ইনসাফ করিতে পারিবে না-এই আশংকা থাকিলে ইনসাফের ভিত্তিতে অন্য মেয়েদেরকে অনুর্দ্ধ চার পর্যন্ত বিবাহ করতে পার,এখানে এতিম দের মধ্যে ৪ জনের কথা বলা হয় নি। সন্দেহ থাকলে তাফসীর দেখেন View this link (২নং পাতায়) আপনাদের আরো সন্দেহ থাকলে যেকোন ভাল তাফসীর দেখতে পারেন। (যেমন তাফসীরে মা আরেফুল কুরান) যাই হোক প্রশ্ন কোরান হাদীস এর কনফ্লিক্ট নিয়ে। আমি ৪ বিয়ে করতে হবে তা বলছিনা। তবে কুরানে যেমন ৪ বিয়ে অবৈধ না, তেমনি কোন হাদীসে ৪ বিয়েকে ফরয বলা হয়নি।

যদি আপনি সহিহ কোন হাদীস দেখাতে পারেন যাতে ৪ বিয়ে করা ফরয বলা হইয়েছে আমি ব্লগিং ছেড়ে দেব। আর তাফসীরে এর আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে। দেখতে পারেন। তাফসীরে মা আরেফুল কুরান পাতা ২৩০। আপনি ১২৯ নং আয়াত এর কথাও বলেছেন।

ব্যাখ্যাটা আমি quote করছি। Note the tension between these references: 1. Sura 4:3 states that men can marry more than one woman provided they can treat them all fairly. 2. Sura 4:129 expressly says that a man will not be able to deal fairly with all of his wives, and yet still permits him to have multiple spouses. The late Muslim scholar Sayyid Abu A‘la Mawdudi sums all this up in his comments on Sura 4:129: This means that it is not possible for a man to accord complete equality of treatment to two or more wives under all circumstances and in all respects. It is possible that one is ugly, the other beautiful; one is old, the other young; one is permanently sick, the other healthy; one is irritable, the other good-tempered. These and other differences are likely to make a person less attracted to one and more to another. In such circumstances, the Law does not demand that one should necessarily maintain absolute equality between the wives in respect of love, emotional attachment and sexual relationship. What it does demand is that if a husband does not repudiate marriage despite aversion for his wife, either because of his own desire or out of consideration for the desire of his wife, he should at least maintain a good relationship short of which his wife begins to feel if she is without a husband. In such circumstances, while it is natural that a person should prefer one wife to the other, this should not go to the extent that the woman remains, as it were, in a state of suspension, as if she were without a husband at all. যাই হোক, প্রশ্ন অনেক মুসলমানরা ৪ বিবির মধ্যে ইনসাফ করতে পারবেনা। তো না পারলে ৪ বিয়ে করবেনা। আপনার ভাষায় হাদীসে যেমন ৪ বিয়ে ফরয বলা হয়েছে আসলে তো তা না। একটি হাদীস এর উল্লেখ করেছেন।

হাদীস এর সঠিক ব্যখ্যা দিতে অনেক জানার দরকার আছে। প্রশ্ন ইনসাফ এর, যে খানে রসুল(সঃ) কখনও ছাড় দেন নি। কোন বিবির অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্যের সাথে বেশি সময় কাটান নি। সমান ভাবে সময় কাটাতেন। রাসুলুল্লাহ(সঃ) যদি আয়েশা(আঃ) এর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতেন তাহলে আয়েশা(আঃ) আক্ষেপ করে এ কথা বলতেন নাঃ In Sahih Bukhari, Volume 5 Tradition 166, Ayesha herself narrates: "I did not feel jealous of any of the wives of the Prophet as much as I did of Khadija though I did not see her, but the Prophet used to mention her very often, and whenever he slaughtered a sheep, he would cut its parts and send them to the women friends of Khadija. When I sometimes said to him, "(You treat Khadija in such a way) as if there is no woman on earth except Khadija," he would say, "Khadija was such-and-such, and from her I had children." শুধু তাই নয়।

অন্য একটি হাদীসে রাসুল(সঃ) জগতের শ্রেষ্ঠ ৪ নারী কে কে তা বলেনঃ Imam Ahmed records: Anas narrated that the prophet (s) said: "The most excellent of the women of all worlds are: Mary the daughter of Imran, Khadija the daughter of Khuwaylid, Fatimah the daughter of Muhammad, and Asiya the wife of Pharaoh" Musnad Ahmed bin Hanbal, Volume 3 page 135 Hadith 12414 এখানে খাদিজা(রাঃ) এর কথা বলেছেন। পক্ষপাত করলে তার কথা না বলে হযরত আয়েশা(রাঃ) এর কথাই বলতেন। এর পরের আপনার বিশাল লেখাটায় একটা জিনিস দেখলাম আপনি বলছেন মুসলমানদের মধ্যে কাফির আছে। ফানি কথা!! যে আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার করে(শিরক করে)সে মুসলমান হল কিভাবে? যারা পীর কে সেজদা দেয় তারা তো মুসলমান ই না। তো মুসলমান দের মধ্যে কেমন করে কাফির থাকে? তিনি বলেছেন "ইহুদি, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, জৌন, শিখগণ প্রধানতঃ মুর্তি পুজা করেন না; আর সকল হিন্দুগণই যেমন মুর্তি পুজা করে না তদ্রুপ সকল মোসলমানগণও শরিয়তী নামাজ-রোজা বা ৫ম স্তম্ভ মেনে চলে না; অর্থাৎ মোসলমান জাতির মধ্যেও মোনাফেক, মোশরেক, কাফের, ব্যাভিচারী বা ভালো-মন্দ উভয়ই রয়েছে বলে কোরান স্বয়ং সাক্ষ্য দেয়।

" যে লোক শরীয়তের ৫ স্তম্ভ মানে না সে কোন দিক দিয়ে মুসলমান? আগে নিজে ক্লীয়ার হোন মুসলমান সম্পর্কে। ম জ বাসার বলেছেন . ঘনিষ্ঠ ভাই-বোন ও স্বজন বিয়ের জন্য অবৈধ: ১১. [৪:২২ ] নারীদের মধ্যে তোমাদের পিতৃপুরুষ যাদেরকে বিয়ে করেছে, তোমরা তাদের বিয়ে করিও না; পূর্বে যা হয়েছে, হয়েছে। ইহা অশ্লীল, অতিশয় ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ঠ আচরণ। ১২. [ ৪: ২৩] তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে: তেমাদের মাতা, কন্যা, ভগ্নী, ফুফু, খালা, ভ্রাতুষ্পুত্রী, ভাগিনী, দুধ-মাতা, দুধ-ভগিনী, শাশুড়ী ও তোমাদের স্ত্রীদিগের মধ্যে যার সহিত সংগত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত কন্যা, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে; তবে যদি তাদের সহিত সংগত না হয়ে থাক তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। এবং তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী ও দুই বোনকে একত্র করা; পূর্বে যা হয়েছে. হয়েছে।

আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হায়রে সহজ কথাটাও বোঝেন না। আপনার নিজের লেখাটি ই পড়েন। যে সব নারীদের বিয়ে হারাম তার মধ্যে খালা ফুফু আছে,তাদের মেয়েরা কি আছে?তো খালাতো বোন ফুফাতো বোন হারাম হবে কেন? ৮ জনস্থানীয় নারীর সাথে বিয়ে হারাম। ১ The father's wife, whether divorced or widowed. During the period of jahiliyyah such marriages were allowed. Then Islam prohibited them, for once a woman is married to a man's father she acquires the status of his mother, and this prohibition is out of honor and respect for the father. Moreover, as this inviolable prohibition leaves no room for sexual attraction between the son and his step-mother, they are able to develop a relationship of respect and honor. 2. The mother, including the grandmothers on both sides. ৩।

The daughter, including the granddaughters from the son or daughter. 4.The sister, including the half, and step-sisters. 5.The paternal aunt, whether she is the real, half, or step-sister of the father. 6. The maternal aunt, whether she is the real, half, or step-sister of the father. 7. The brother's daughter, i.e., his niece. 8. The sister's daughter, i.e., his niece. তারপর বলেছেন ৩ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, নিকট বোনদের মধ্যে যারা রাছুলের কারণে বা সঙ্গে দেশ ত্যাগ করেছেন, কেবলমাত্র সেই সকল ঘনিষ্ঠ বোনগণই রাছুলের জন্য হালাল; সুতরাং যে সকল ঘনিষ্ঠ বোনগণ তাঁর সাথে দেশ ত্যাগ করেনি তারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত নবির জন্যও হারাম। অতএব সাধারণের জন্য তাদের হালাল করার তিল পরিমাণও ফাঁক ফোঁকড় নেই এইখানেই মিথ্যাচারটা করেছেন। তাফসীর পড়লে যে কেউ বুঝবেন এই ধারায় শুধু রাসুল(সঃ) এর জন্য প্রযোজ্য যে খালা বা ফুফুর মেয়েদের হিজরত করতে হবে। সাধারন মুসলমানদের নিজ খালা বা ফুফুর মেয়ে বিয়েতে হিজরত করতে হবে এমন বাধা নেই। তাফসীরে মা আরেফুল কুরান।

পাতা ১০৮৯। এইটা শুধু এই তাফসীর না। আপনারা যে কোন ভাল তাফসীর দেখতে পারেন। এবং তাফসীরে খুব স্পষ্ট ভাবে তার উল্লেখ আছে। আল্লাহ সর্বজ্ঞানী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।