আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিম্বাবুয়েতে দল হয়ে খেলার মানসিকতার অভাব ছিল ক্রিকেটারদের মধ্যে

সতর্ক করন " জামাত শিবির , যে কোন রকমের মৌলবাদী, ধর্ম ব্যাবসাই ও বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সকল জানয়ারের প্রবেশ নিষেধ" একটা সিরিজ জিতেই জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল হয়ে যায়নি বলেই তাঁর বিশ্বাস। তবে প্রধান নির্বাচক আকরাম খানের বিশ্লেষণ—জিম্বাবুয়েতে দল হয়ে খেলার মানসিকতার অভাব ছিল ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রধান নির্বাচক হওয়ার পর প্রথম সিরিজেই হার, তাও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে... আকরাম খান: যে রকম আশা করেছিলাম, সে রকম হয়নি। বিশেষ করে, টেস্টের প্রস্তুতি এবং মানসিকতায় ঘাটতি ছিল। আমরা চেষ্টা করেছিলাম বাড়তি একটা চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার।

কিন্তু জিম্বাবুয়ে বোর্ড সেই সুযোগ দেয়নি। এখানেও আবহাওয়া আর মাঠের কারণে ম্যাচ প্র্যাকটিস ভালোভাবে হয়নি। খেলা দেখেও তো মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত হয়ে মাঠে নেমেছে জিম্বাবুয়ে... আকরাম: হ্যাঁ, ওরা বিশ্বকাপের পর খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে আবহাওয়া ওদের পক্ষে থাকায়। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল, দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের সঙ্গে খেলেছে।

এ ছাড়া আমাদের ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকতারও খুব অভাব ছিল। সুযোগ আমরা সবাইকেই দিচ্ছি। কিন্তু যেভাবে পারফরম করার কথা, সেভাবে হচ্ছে না। এই জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ দলের চেয়ে ভালো দল—সিরিজ থেকে কি এটাই প্রমাণিত হচ্ছে? আকরাম: এই সিরিজটা হয়তো আমাদের খারাপ গেছে। তবে ওদের চেয়ে আমরা ভালো দল।

জিম্বাবুয়ে আহামরি কোনো ক্রিকেট খেলেনি। আমরাই বেশি ভুল করেছি। সিরিজে আমাদের কিছু পজিটিভ দিক আছে। সাকিব রানে ফিরেছে, রুবেল ভালো বোলিং করেছে, টেস্টে আশরাফুলের ইনিংসটা ভালো ছিল। কিন্তু তার পরও আমার মনে হয়, আমরা একটা দল হয়ে খেলতে পারিনি।

ক্রিকেটটা এখন পুরোপুরিই টিম গেম। এই জিনিসটার অভাব ছিল দলে। কেন দল হয়ে খেলতে পারেনি? মাঠের বাইরে কোনো সমস্যা কি আছে? এই সিরিজে তো বাংলাদেশ দলের একতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে... আকরাম: দল যখন খারাপ খেলে, এ রকম কিছু কথা আসে। এখানেও আসবে। পত্রিকায় দেখলাম, অধিনায়ক নাকি টেস্টের দলে আশরাফুলকে চায়নি।

অধিনায়ক যদি না চাইত, আশরাফুলকে তো আসলেই দলে নেওয়ার সুযোগ ছিল না। অধিনায়কের মতামত নিয়েই দল করা হয়েছে। কিছু সত্য আছে, কিছু মিথ্যা আছে। তবে যা-ই হোক, ওদের দল হিসেবে পারফরম করতে হবে। খারাপ খেললে এসব কথা বেশি আসে।

এ জন্যই আরও বেশি করে ভালো খেলা উচিত। নির্বাচক হিসেবে দলটাকে কাছ থেকে দেখেন। খেলোয়াড়দের নিজেদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব কি কখনো চোখে পড়েছে? আকরাম: আমি ঢাকা থেকে প্রতিদিন ফোনে সুমনের (হাবিবুল বাশার) সঙ্গে, সাকিবের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রথম দিন খারাপ করার পর কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়েরা বসে একটা মিটিং করে...আশরাফুল, শাহরিয়ার, তামিম, মুশফিকুর, সাকিব। দল চালাতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আমার মনে হয়, ওরাও চেষ্টা করে। হয়তো বা চেষ্টাটাতে সব সময় সফল হয় না। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, যারা খেলছে তারা এই মুহূর্তের সেরা খেলোয়াড়। ওদের কাছ থেকে ভালো জিনিসটা বের করে আনতে হবে আমাদের। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের কী পার্থক্য দেখলেন এই সিরিজে? আকরাম: টেস্টে বোলিংয়ের দিক দিয়ে ওরা অনেক এগিয়ে ছিল।

প্রথম বল থেকেই ঠিক জায়গায় বল করেছে, যেটা আমরা পারিনি। ইনজুরির কারণে আমাদের দলে দুজন ভালো বোলার অনুপস্থিত ছিল। যারা ছিল, টেস্টের প্রথম দুই ঘণ্টায় যেভাবে বোলিং করা উচিত ছিল, সেভাবে করতে পারেনি। এই পর্যায়ে এখন এই ভুলগুলো করা যাবে না। আমাদের স্ট্যান্ডার্ডটা আরও বাড়াতে হবে।

সমস্যা তাহলে কোথায়? সুযোগ-সুবিধা বা প্রক্রিয়ায়, নাকি অন্য কোথাও? আকরাম: আমার মনে হয়, ব্যক্তিগতভাবে আমাদের খেলোয়াড়দের অনেক উন্নতি করতে হবে। ওদের মানসিক প্রস্তুতি সেভাবে নেই। সব জায়গায় সব সুবিধা আপনি পাবেন না। আপনাকেই প্রস্তুতি নিতে হবে আপনি কোন জায়গায় গিয়ে কোন পরিস্থিতিতে খেলবেন। জিম্বাবুয়ে যাওয়ার সময় ৩৬ ঘণ্টা দেরি হয়েছে...এটা হতেই পারে।

এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।